v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-01-19 11:29:25    
১৯ জানুয়ারী

cri
    **১৯ জানুয়ারী তেং সিয়াওপিং চীনের দক্ষিণ অঞ্চল পরিদর্শন করেন এবং বক্তব্য রাখেন

    ১৯৯২ সালের ১৮ জানুয়ারী থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চীনের প্রবীণ নেতা তেং সিয়াওপিং চীনের দক্ষিণ অঞ্চলের উহান, শেনচেন, চুহাই, সাংহাই প্রভৃতি শহর পরিদর্শন করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ করেন । তাঁর বক্তব্য চীনের বিংশ শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের অর্থনৈতিক সংস্কার ও সামাজের অগ্রগতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক ভুমিকা পালন করেছে ।

    তিনি বলেছেন, কিছু লোক মনে করে, বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চীনে পুঁজিবাদের উপাদান বাড়বে । "বহিরাগত পুঁজির শিল্পপ্রতিষ্ঠানের" সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চীনে পুঁজিবাদের বিকাশ হবে । এসব লোকের মৌলিক জ্ঞানও নেই । তেং সিয়াওপিং স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন , পরিকল্পনা কিছু বেশি না বাজার কিছু বেশি তা সমাজতান্ত্রিকতা ও ধনতান্ত্রিকতার মৌলিক পার্থক্য নয় । পরিকল্পিত অর্থনীতি সমাজতান্ত্রিকতার সমান সমান নয়, ধনতান্ত্রিক সমাজেও পরিকল্পনা রয়েছে ; বাজার অর্থনীতি পুঁজিবাদের সমান সমান নয়। সমাজতান্ত্রিক সমাজেও বাজার রয়েছে । পরিকল্পনা আর বাজার উভয়ই অর্থনৈতিক পদ্ধতি।

    তিনি আরো বলেছেন, চীনের অর্থনীতির উন্নয়ন কয়েক বছর পর পর একটি ধাপে এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা চালাতে । যেমন, কুয়াংতোং প্রদেশের কয়েক ধাপে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । প্রচেষ্টা চালিয়ে ২০ বছরের মধ্যে এশিয়ার " চারটি ছোটড্রাগনকে" ছাড়িয়ে যেতে হবে । তিনি বলেছেন, অর্থনীতির দ্রুততর উন্নয়ন করতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং শিক্ষার উপর নির্ভর করতে হবে । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হচ্ছে প্রথম উত্পাদন শক্তি।

    **লিয়াং ছিছাও পেইচিংয়ে মৃত্যুবরণ করেন

    ১৯২৯ সালের ১৯ জানুয়ারী লিয়াং ছিছাও পেইফিংয়ের সিয়েহো হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর । লিয়াং ছিছাও কুয়াংতোং প্রদেশের সিনহুই জেলায় জন্মগ্রহণ করেন । তিনি আইন সংস্কারের মাধ্যমে চীনের সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে সমর্থন করতেন।

    **১৯ জানুয়ারী বিখ্যাত বিজ্ঞানী ওয়াটের জন্ম

    জ্যাম্স ওয়াট ছিলেন বৃটেনের আধুনিককালের একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানীও সংস্কৃত বাষ্পীয়যন্ত্রের আবিষ্কারক। ১৭৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারী তিনি জন্মগ্রহণ করেন । ছোটবেলাথেকে তাঁর পিতা ওয়াটকে নানা ধরনের বিজ্ঞান শেখানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পর্যবেক্ষণ ও হাতে-কলমে কাজ করার সামর্থ্য প্রশিক্ষণ দেন । ২১ বছর বয়সে তিনি মেরামোতী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন । পরে রসায়নিক বিজ্ঞানী ব্ল্যাক আর পদার্থবিজ্ঞানী রুবিসেনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় । তাঁদের কাছ থেকে তিনি বিজ্ঞানের অনেক তত্ত্বগত জ্ঞান শিখেন । তখন থেকে তিনি বাষ্পীয়যন্ত্রের গবেষণা শুরু করেন । দশ বছরের অব্যাহত প্রচেষ্টায় তিনি নতুন ধরনের বাষ্পীয়যন্ত্র আবিষ্কার করেন ।

    **দূর প্রাচ্য আন্তর্জাতিক সামরিক আদালত প্রতিষ্ঠিত

    ১৯৪৬ সালের ১৯ জানুয়ারী দূর প্রাচ্যের মিত্র দেশগুলোর সর্বোচ্চ সদরদফতর মিত্র দেশগুলোর আদেশক্রমে অনুযায়ী "দূর প্রাচ্য আন্তর্জাতিক সামরিক আদালত সনদ" প্রকাশ করে দূর প্রাচ্য আন্তর্জাতিক সামরিক আদালত প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করে যাতে টোকিওতে জাপানী যুদ্ধবন্দীদের বিচার করা যায় ।

    দূর প্রাচ্য আন্তর্জাতিক সামরিক আদালত চীন, সোভিয়েট ইউনিয়ন,যুক্তরাষ্ট্র,বৃটেন,ফ্রান্স,হোল্যান্ড,ক্যানাডা,অস্ট্রেলিয়া, নিইজিল্যান্ড, ভারত, ফিলিপাইন ইত্যাদি ১১টি দেশ নিয়ে গঠিত হয় । ১৯৪৬ সালের ২৯ এপ্রিল ১১টি দেশের জর্জ নিয়ে গঠিত কমিটি আদালতের কাছে অভিযোগপত্র পেশ করে । আদালত উত্থাপিত "দূর প্রাচ্য আন্তর্জাতিক সামরিক আদালতের বিচারপত্রে" ১২০০টিরও বেশী পৃষ্ঠা রয়েছে । বিচারপত্রে চীনের বিরুদ্ধে জাপানী বাহিনীর আক্রমণ,নানচিং বিরাট হত্যাকান্ড, প্রাশান্ত মহাসাগরে জাপানী বাহিনীর যুদ্ধ ও দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়ায় জাপানের দূরাচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় ।