হাংচৌ চেচিয়াং প্রদেশে উত্তর-পূর্ব এলাকায় অবস্থিত, চীনের একটি প্রাচীন রাজধানী, হাংচৌর ইতিহাস ২২০০ বছরের বেশী। আজকের হাংচৌ চেচিয়াং প্রদেশের রাজধানী, চেচিয়াং প্রদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
হাংচৌ "মানব সমাজের স্বর্গ" নামে আখ্যায়িত। তার ডান দিকে সিহু হ্রদ (পশ্চিম হ্রদ) ফুছুনচিয়াং আর সিনআনচিয়াং নদীর বিখ্যাত জাতীয় পর্যায়ের দর্শনীয় স্থান, বাম দিকে ছিয়ানদাও হ্রদ, দাছিসান পাহাড়, উছাওশান পাহাড়, ফুছুনচিয়াং নদী-এই চারটি জাতীয় বন পার্ক ও থিয়ানমুশান পাহাড়, ছিংলিয়াং ফেং দুইটি জাতীয় প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চল। তার মাধ্যে রয়েছে চিচিয়াং জাতীয় পর্যটন অঞ্চল। হাংচৌর আবহাওয়া আর্দ্র, চারটি ঋতু স্পষ্ট, বছরের গড়পড়তা তাপমাত্রা ১৬.২ ডিগ্রী এবং বৃষ্টি পড়ার গড়পড়তা পরিমাণ ১৫০০ মিলিমিটার।
হাংচৌর সাংস্কৃতিক সম্পদ প্রচুর। পশ্চিম হ্রদের চার দিকে বহু বিখ্যাত পাথর গুহা, ভঞ্চর্য শিলালিপ ফলক, প্রাচীন স্থাপত্য। বিভিন্ন যুগের সাহিত্যিকরা এখানে প্রচুর ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি নিদর্শন, কবিতা, বই ও চিত্রকলা রেখে গেছেন। এখানকার সব দর্শনীয় স্থানে গল্প আছে। হাংচৌ চীনের চারটি প্রাচীন মহা উদ্ভাবনের অন্যতম আবিষ্কার একটি-সরণযোগ্য অক্ষর মুদ্রণের উদ্ভাবক বিশেং আর প্রাচীন চীনের উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞানী শেনখুও প্রমুখ মহা ব্যক্তিদের জন্মস্থান।
হাংচৌর অর্থনীতি উন্নত, শিল্প ও কৃষির মোট উত্পাদন গূল্যের মান চীনের বড় বড় শহরের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে। হাংচৌ চীনের "সিল্ক শহর", সিল্কের উত্পাদনের ইতিহাস দীর্ঘ, পন্যদ্রব্যের রকম রিতা বেশী এবং গুনমান ভাল। হাংচৌ চীনের মাছ, ধান ও চা উত্পাদনের এক চমত্কার স্থান, এখানে বিখ্যাত লংচিং চা উত্পন্ন হয়। বিখ্যাত পর্যটন শহর হিসেবে, প্রতি বছরে দুই কোটি দেশী-বিদেশী পর্যটক হাংচৌ ভ্রমণ করে।
হাংচৌ এলাকার মোট আয়তন ১৬.৫৯৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার, খাস শহরের আয়তন ৬৬৮ বর্গকিলোমিটার। লোকসংখ্যা ৫.৯৬৯৭ মিলিয়ন, খাস শহরের লোকসংখ্যা ১.৬৩ মিলিয়ন।
|