v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-01-12 16:38:09    
১৩ জানুয়ারী

cri
** রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ কনভেনশন স্বাক্ষরিত

    দীর্ঘ ২৪ বছরের আলোচনার পর রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়ন, উত্পাদন, মজুদ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং এই ধরনের অস্ত্রের ধ্বংস সাধন সংক্রান্ত কনভেনশন অর্থাত্ রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ কনভেনশনের স্বাক্ষর দান অধিবেশন ১৯৯৩ সালের ১৩ই জানুয়ারী বিকালে প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয় । বিশ্বের ১২০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা সরকারী প্রতিনিধিরা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন, অধিকাংশ দেশ এই কনভেনশন স্বাক্ষর করে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিয়ান ছি ছেন চীন সরকারের পক্ষ থেকে কনভেনশন স্বাক্ষর করেন।

    রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ কনভেনশন হচ্ছে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর প্রথম বহু পাক্ষিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি। তার মধ্যে সার্বিকভাবে বিরাট মাত্রার বিধ্বংসী রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়ন, উত্পাদন, মজুদ এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করণের বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত আছে।

    ২৪ বছরের কঠোর আলোচনার পর " রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ কনভেনশনের " স্বাক্ষরিত হয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই কনভেনশন স্বাক্ষরের জন্য ১৯৭৮ সালে প্রথম নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত জাতি সংঘ বিশেষ সাধারণ অধিবেশন রাসায়নিক অস্ত্রের কনভেনশন সংক্রান্ত আলোচনা বহুপাক্ষিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার সবচেয়ে জরুরী কর্তব্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে । গত শতাব্দীর ৯০য়ের দশকের প্রথম দিক পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি প্রচন্ড পরিবর্তনের ফলে কনভেনশন আলোচনার প্রক্রিয়ায় অনুকূল পরিবর্তন দেখা দেয় এবং অবশেষে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । কনভেনশনে কড়াকড়ি পর্যক্ষেপের ব্যবস্থা রাখা হয়। তার নিয়ম অনুযায়ী কোনো স্বাক্ষরকারী দেশই রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়ন, উত্পাদন, মজুত এবং ব্যবহার করতে পারবে না এবং রাসায়নিক অস্ত্রের অধিকারী দেশগুলো ১০ বছরের মধ্যে তাদের সমস্ত রাসায়নিক অস্ত্র এবং এর উত্পাদনে ব্যবহৃত সাজ-সরজ্ঞাম ধ্বংস করবে। অন্য দেশের ভূভাগে স্বাক্ষরকারী দেশের রেখে যাওয়া সমস্ত রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার দায়িত্ব তার আছে। কনভেনশনের এই সব লক্ষ্যের বাস্তবায়ন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা আর শান্তি সুরক্ষা এবং রাসায়নিক যুদ্ধের হুমকি পুরোপুরি দূর করার পক্ষে সহায়ক হবে ।

** আরাব দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    ১৯৬৪ সালের ১৩ জানুয়ারী আরাব দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত হয়। ইস্রাইল জর্দান নদীর পথের পরিবর্তনের যে আগ্রাসী তত্পরতা চালিয়েছে, সম্মেলন তার নিন্দা করা হয় এবং তার প্রতিকারের নীতিগুলো নির্ধারণ করা হয়। সম্মেলনে প্যালেস্টাইনী জনগণের অধিকার পুনপ্রতিষ্ঠা এবং আরাব যুক্ত কমান্ড স্থাপন ইত্যাদি সমস্যায়ও প্রস্তাব গৃহীত হয়।

** থাইপেইতে জিয়াং চিংকুওয়ের মৃত্যু

    জিয়াং চিংকুওয়ের আরেক নাম হলো চিয়ান ফেং । তিনি ছিলেন জিয়াং কাইশেকের ছেলে এবং চীনের জে চিয়াং প্রদেশের ফেং হুয়া জেলার অধিবাসী। ১৯১১ সালে চীনের সিন হাই বিপ্লব ঘটে । সেই বছরে তাঁর জন্ম হয়।

    ১৯২৫ সালের অক্টোবর জিয়াং চিংকুও প্রাক্তাতন সোভিয়েত ইউনিয়নে লেখাপড়া করতে যান। তারপর তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। জিয়াং কাইশেকের মৃত্যুর পর ১৯৭৮ সালের ২০ মে জিয়াং চিংকুও তাইওয়ানের ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। ১৯৮৮ সালের ১৩ জানুয়ারী তাইপেইয়ে মারা যান।