**আন্তর্জাতিক টেবল টেনিস পেশাদার ভ্রাম্যমাণ প্রতিযোগিতায় ওয়াং নান চ্যাম্পিয়ন হন
২০০২ সালে দ্যাভিদ আন্তর্জাতিক টেবল টেনিস পেশাদার ভ্রাম্যমাণ প্রতিযোগিতা চীনের থিয়েনচিনে অনুষ্ঠিত হয় । চীনের নারী টেবল টেনিস খেলোয়াড় ওয়াংনান আরেকবার বিশ্ব নারী টেবল টেনিসের শীর্ষ স্থান অমন রাখেন । বিশ্ব পেশাদার ভ্রাম্যমাণ প্রতিযোগিতার ফাইনালে তিনি ৪:২ সেটে অন্য একজন চীনা নারী খেলোয়াড় নিউ চিয়ানফেংকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মত এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন ।
** মার্কিন লেখক জ্যাক লন্ডনের জন্ম
জ্যাক লন্ডন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বাস্তববাদী লেখক । ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারী তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি ধ্বংসপ্রাপ্তকৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । ছোটবেলায় তিনি দারিদ্র ভোগ করেছিলেন । ৮ বছর বয়সেতিনি একটি পশুখামারে গিয়ে রাখালীর কাজ করেন । ১৬ বছর বয়সে তিনি বেকার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চল আর ক্যানাডার নানা শহরে ভবঘুরে জীবন কাটান ।
কয়েক বছর পরে তিনি সংবাদদাতা হিসেবে লন্ডন সফরের পর " সহবরে নিমজ্জিত জনগণ" নামক একটি বাস্তব ভিত্তিক কাহিনী লিখেন । ১৯০৫ সালে তিনি সোসালিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে শ্রমিক আন্দোলনে যোগদান করেন ।
২৪ বছর বয়সে তিনি লিখতে শুরু করেন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল কেবল ৪০ বছর । ১৬ বছরে তিনি ১৯টি দীর্ঘ উপন্যাস দেড় শোরও ছোট গল্প রচনা করেন । তাছাড়া তিনি ৩টি নাটক আর বেশ কিছু প্রবন্ধ লিখেন । এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে আর বিশ্বের অন্যান্য দেশে গভীর প্রভাব ফেলেছে ।
** লিউ হুলান নির্ভীকভাবে শহীদ হন
১৯৩২ সালে লিউ হুলান শানসি প্রদেশের ওয়েনসুই জেলার ইউয়ুনচৌশি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ১৯৪৬ সালে তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন এবং সেই গ্রামের নারী ত্রাণ সমিতির সচিব এবং আঞ্চলিক নারী ত্রাণ সমিতির কর্মীর দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৪৭ সালের ১২ জানুয়ারী বিশ্বাসঘাতক বিশ্বাস ভঙ্গ করার কারণে তিনি গ্রেফতার হন। অবশেষে তিনি শত্রুদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন । চেয়ারম্যান মাও ১৯৪৭ সালে আর ১৯৫৭ সালে দু'বার অভিলিখন লিখে তাঁর " মহত্ জন্ম এবং গৌরবোজ্জ্বল মৃত্যুর " প্রশংসা করেন ।
** চীন ও আংগোলার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা
আংগোলা আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে অবস্থিত। তার আয়তন ১২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭০০ বর্গ কিলোমিটার। লোকসংখ্যা ১ কোটি ৫ লক্ষ। আংগোলার ত্রিশাধিক সম্প্রদায় আছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ হচ্ছে ওভিমবুনদু জাতি , ২২ শতাংশ হচ্ছে কিমবুনদু জাতি। সরকারী ভাষা হচ্ছে পর্তুগীজ ভাষা। ৪৯ শতাংশের অধিবাসীরা রোম ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী, ১৩ শতাংশের অধিবাসীরা প্রটেস্টন্ট ধর্মাবলম্বী। রাজধানী লুয়ান্ডা।
কৃষি এবং খনি খনন শিল্প হচ্ছে আংগোলার জাতীয় অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভ। আংগোলার প্রধান রপ্তানি দ্রব্য হচ্ছে পেট্রোলিয়াম, হীরা ,কফি ইত্যাদি। তার প্রধান আমদানি দ্রব্য হচ্ছে কাঁচা মাল , খাদ্য, দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস এবং যন্ত্রপাতি ও সাজসরজ্ঞাম।
১৪৮২ সালে পর্তুগাল আংগোলায় অনুপ্রবেশ করে তাকে তার উপনিবেশে পরিণত করে । ১৯৫১ সালে আংগোলা পর্তুগালের একটি প্রবাসীপ্রদেশে পরিণত হয় । বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশক থেকে আংগোলার জনগণ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম চালাতে শুরু করেন ।
১৯৭৫ সালের ১১ই নভেম্বর আংগোলা স্বাধীনতা লাভ করে । ১৯৮৩ সালের ১২ই জানুয়ারী আংগোলা চীনের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
|