শিক্ষাবিদ ছাই ইউয়ানফেইয়ের জন্ম
১৮৬৮ সালের ১১ই জানুয়ারি চীনের আধুনিক শিক্ষাবিদ ছাই ইউয়ানফেই চেচিয়াং প্রদেশের শাওসিং শহরের একটি বণিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯০২ সালে গণতন্ত্র ও বিপ্লবের প্রচার শুরু করেন । ১৯০৪ সালে তিনি কুয়াংফুহুই দল গঠন করেন, পরের বছরে থোংমেনহুই দলে যোগ দেন। ১৯১১ সালের সিংহাই বিপ্লবের পর তিনি নানচিং অস্থায়ী সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি সামন্তবাদী শিক্ষা ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করেন। ১৯১৭ সালে তিনি পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেণ্ট হন এবং নয়া সাংস্কৃতিক আন্দোলন সমর্থন করেন। জাপানের আগ্রাসন প্রতিরোধ যুদ্ধকালে তিনি প্রতিরোধযুদ্ধ এবং কুওমিনতাং - কমিউনিস্ট সহযোগিতা সমর্থন করেন। ১৯৪০ সালের ৫ই মার্চ তিনি রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মহান আন্তর্জাতিকতাবাদী যোদ্ধা রোসেনফেল্ডের জন্ম
১৯০৩ সালের ১১ জানুয়ারি মহান আন্তর্জাতিকতাবাদী যোদ্ধাজেকব রোসেনফেল্ডের জন্ম অস্ট্রিয়ায়। তিনি অস্ট্রিয়ায় চিকিত্সাবিদ্যা বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রীলাভ করেন এবং চীনের আধুনিক ইতিহাসে একজন মহান আন্তর্জাতিকতাবাদী যোদ্ধা হিসেবে তাঁর নাম লিপিবদ্ধ হয়। ১৯৩৯ সালে ডক্টর রোসেনফেল্ড সাংহাইয়ে আসেন। তিনি চীনে দশ বছর থেকেছেন, তার মধ্যে ৯ বছর চীনের গণ সৈন্যবাহিনীতে(অর্থাত্ কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে পরিচালিত সৈন্যবাহিনীতে) দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যথাক্রমে বৃহত্ সামরিক অঞ্চলের চিকিত্সাবিষয়ক উপদেষ্টাএবং আর্মির স্বাস্থ্য দফতরের মহাপরিচালক নিযুক্ত হন । তাঁর একই সময়পর্বে চীনের বিপ্লবে সাহায্যদানকারী আন্তর্জাতিক বন্ধুদের মধ্যে তিনিই একমাত্র বিদেশী ডাক্তার ,যিনি চীনা সৈন্যবাহিনীর উচ্চ সামরিক পদমর্যাদায় ভূষিত ছিলেন। তিনি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বিশেষ সদস্য।
ডাক্তার রোসেনফেল্ড চিকিত্সা করে চীনের বহুসংখ্যক আহত ব্যক্তি ও রোগীকে বাঁচিয়েছেন। তিনি একই সময়ে একজন কবি , সংগীতকার এবং রাজনীতিবিদ । চীনের নতুন চতুর্থ ফৌজ এবং চীন বিপ্লব সম্পর্কে তাঁর লেখা একটি বই প্রকাশিত হয়। বইটির নাম " অস্ট্রিয়া--চীন"।
১৯৩৮ সালের ১১ই জানুয়ারী "সিনহুয়া ডেইলি" পত্রিকার আত্মপ্রকাশ
১৯৩৮ সালের ১১ই জানুয়ারী চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ইয়াংসি নদী ব্যুরোর মুখপত্র "সিনহুয়া ডেইলি" উহান শহরের হানখৌতে প্রকাশিত হয়। এর মহাপরিচালক ফান জি নিয়েন, সাধারণ সম্পাদক হুয়া কাং, ডেপুটি সম্পাদক চাং হান ফু, জেনারেল ম্যানেজার সিয়োং চিনতিং । ১৯৩৮ সালের ২৫শে অক্টোবরজাপানী বাহিনীর হামলায় উহান শহরের পতন হওয়ার পর এই পত্রিকার কার্যালয় ছোংছিং শহরে স্থানান্তরিত এবং অব্যাহতভাবে প্রকাশিত হয়। ১৯৪৭ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারী কুওমিনটাং পার্টি তা বন্ধ করে দেয়ার সময় পর্যন্ত "সিনহুয়া ডেইলি" নয় বছর বিদ্যমান ছিলো।
১৯৩৯ সালের ১লা জানুয়ারী , "সিনহুয়া ডেইলি"পত্রিকার উত্তরচীনের সংস্করণ শানশি প্রদেশে প্রকাশিত হয়।
১৯৪৫ সালের ৯ই ডিসেম্বার "সিনহুয়া ডেইলি" পত্রিকা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্য চীন ব্যুরোর মুখপত্র হিসেবে চিয়াংসু প্রদেশের হুয়াই ইন জেলায় প্রকাশিত হয়।
১৯৪৮ সালের ১লা জানুয়ারী, "সিনহুয়া ডেইলি" পত্রিকা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্য চীনের কার্যনিবাহী কমিটির মুখপত্র হিসেবে তার মধ্য চীনের সংস্করণপ্রকাশিত হয়।
১৯৪৯ সালের ১০ই ডিসেম্বার, "সিনহুয়া ডেইলি" পত্রিকা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষিণ-পশ্চিম ব্যুরোর মুখপত্র হিসেবে ছোংছিং শহরে প্রকাশিত হয়।
১৯৪৯ সালের ৩০শে এপ্রিল, "সিনহুয়া ডেইলি" পত্রিকা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নানচিং পৌর কমিটির মুখপত্র হিসেবে নানচিং শহরে প্রকাশিত হয়।
১৯৫২ সালের ১লা নভেম্বর তা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চিয়াংসু প্রাদেশিক সরকারের মুখপত্র হিসেবে আজ পর্যন্ত প্রকাশিত হচ্ছে।
|