|
|
(GMT+08:00)
2006-01-10 14:02:18
|
|
গুটি বসন্ত ও একজিমার ঘরোয়া চিকিত্সা
cri
কথায় আছে, শরীর চর্চা বা খেলাধূলো শরীরকে ঠিক রাখার অব্যর্থ উপায়। তার সাথে আরো একটি কথা যোগ করা যায়, Excess of two things is good অর্থাত্ দুটো জিনিষ অতিরিক্ত করা ভালো। যেমন-বেশী বেশী পানি খাওয়া এবং বেশী হাঁটা। আমার মনে আছে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের রাউজান থানার আফতাব আলী নামক এক বৃদ্ধের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিলো আজ থেকে ২৩ বছর আগে। তখন তাঁর বয়েস ১০৮ বছর। হাতে লাঠি বা অন্য কোনো সহায়ক বস্তু নেয়া তো দূরের কথা, খালি হাতে নিজের পায়ের উপয় ভর করে অনেকটা যুবকের মতোই হাঁটতে দেখেছি আমি তাঁকে। তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম এই বিস্ময়কর রহস্যের উত্স সম্পর্কে। তিনি শিশুর মতো হেসে বলেছিলেন, বেশী পানি খাই, বেশী হাঁটি। পান-বিড়ি-চা বা অন্য কোনো কিছুর নেশা নেই। ভোরবেলার নিষ্কলুষ হাওয়ায় বুক ভরে দম নেই আর হাঁটি। মুগ্ধ হয়ে সেদিন যে কথাগুলো তার মুখ থেকে শুনেছিলাম-তার কোনো অক্ষরই আজও ভুলিনি। দীর্ঘায়ূ হওয়া তো ভবিতব্যের ব্যাপার-তবে সুস্থ শরীর গঠনে এর চমত্কার প্রভাব আমি হাতেনাতে পেয়েছি। বেশী পানি খেলে বেশী প্রস্রাব হয় বলে শরীরের ভেতরটাকে জীবানুমুক্ত হতে সহায়তা করে। হাঁটাহাটিতে যে ব্যায়াম হয়, তা নিশ্চয়ই তর্কসাপেক্ষ নয়। চলুন তাহলে দেখা যাক, গুটি বসন্তের ঘরোয়া উপশম সম্পর্কে চীনা ডাক্তার কী বলেন। এমন পরিস্থিতি দেখা দিলে প্রথমেই যা করবেন, তা হলো ১০০গ্রাম গাজর নিয়ে টুকরো করুন এবং ৬০ গ্রাম টাটকা ধনে নিয়ে একসাথে পানিতে ছেড়ে দিন। এবার মিশ্রনটি ১০/১৫ মিনিট সিদ্ধ করুন। এরপর তলানি ছেঁকে ফেলে দিন। দিনে একবার পুরো স্যুপটি খাবেন। অবশ্যই ভালো ফল পাবেন। এবারে দেখা যাক, একজিমার চিকিত্সা কীভাবে ঘরে বসে করবেন। ভূট্টার লম্বা লম্বা চুলের মতো যে আঁশ রয়েছে, তার ১০ গ্রাম নিন। তার সাথে ৫০ গ্রাম পদ্মফুলের বীচি অর্থাত্ বীজ আর ১৫ গ্রাম মিছরি পানিতে মিশিয়ে দিন। এরপর মিশ্রনটি কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নেবেন, যাতে পদ্ম-বীচি নরম হয়। এখন মিশ্রনটি সেবন যোগ্য। একজিমার আরো একটি চিকিত্সা আছে। তা হলো কার্প মাছ আর লাল সীমের স্যুপ। কার্প মাছের সঙ্গে ৩০ গ্রাম লাল সীম দিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে স্যুপ বানিয়ে খেলেও তা একজিমা সারাতে সহায়ক।
|
|
|