গম আর যব উভয়ই একই পরিবার ভূক্ত। তবে স্বাদের দিক থেকে যব কিছুটা নোনতা এবং ঊষ্ণ প্রকৃতির। গমের স্বাদ মিষ্টি মিষ্টি এবং ঠান্ডা ধরণের।
যব বা ইংরেজীতে barley-তে রয়েছে মালটোজ, গ্লুকোজ, স্যাকারিন, লেসিথিন, এল্যানটয়েন, এমাইলেস এবং ভিটামিন-বি।
এর প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যব প্লীহা আর পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং অজীর্ণ রোগ যাকে ইংরেজীতে dyspesia বলে, যা এক ধরণের পেটের পীড়া তা দূর করতে এবং প্রস্রাবের সমস্যা নিরসনে সহায়তা করে।
গরমের মওসুম এখনো অনেক জায়গায় বর্তমান। এ সময় মাত্রাতিরিক্ত গরমের আঘাতে নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় বা দিতে পারে। সেজন্যে এসময় কিছু প্রতিষেধক ব্যবস্থা নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং এ ক্ষেত্রে যবের ভূমিকা বেশ কার্যকর।
যারা চা খান, তারা চায়ের বিকল্প হিসেবে যব দিয়ে বানানো পানীয় সেবন করতে পারেন। বানানোর পদ্ধতি খুব সহজ। পঞ্চাশ গ্রাম যব কড়াইতে বাদামী রং ধারণ করা পর্যন্ত ভেজে নিয়ে পরিমান মতো ফুটন্ত পানিতে মেশাবেন। তারপর তাতে ছোটো ছোটো কয়েক টকুরো আদা ঢেলে দেবেন। এখন দ্রবণটি চায়ের মতো করে খাবেন।
এবার প্রস্রাবের স্বল্পতা বা ডায়োরেসিসের সমস্যায় যব দিয়ে পথ্য তৈরী করে সেবন করার পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু বলছি।
একশো গ্রাম যব নিয়ে ২০০ মিলিলিটার পানিতে ১০ মিনিট খানেক ফুটিয়ে নেবেন। এরপর মিশ্রণটিতে বেশ ক'ফোটা টাটকা আদার রস মেশাবেন। পুরো মিশ্রণটি খাবার আগে সেবন করবেন।
|