ইয়াং: Happy New Year
লিলি: 新年快乐!
মাও: শুভ নববর্ষ!
ইয়াং-লি: (হাসবে)
ইয়াং: আজকে আমরা অনেক ভাষায় কথা বলব মনে হচ্ছে।
লি: কারণ আজ আন্তর্জাতিক নববর্ষ।
মাও: আমরা কি এত ভাষায় কথা বলতে পারি?
ইয়াং: আমরা না পারলে কি হবে? যারা পারে তাদের কাছে শুনব।
লি: এই যে! আমরা কি শ্রোতাদের শুভেচ্ছা জানাব না?
মাও: ওহো, তাই তো! সুপ্রিয় শ্রোতা বন্ধুরা, ২০০৬ সালের প্রথম দিনে আমাদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা নিন।
ইয়াং: আজ আপনাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি নববর্ষের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। আমি ইয়াং ওয়েইমিং, লিলি (লিলি), তাহের (তাহের)।
মাও: আজকের অনুষ্ঠানে আমরা বিশেষ একটি নাম দিয়েছি। তাহলো: সুরে ও ছন্দে বিশ্বকে খুঁজে পাই।
ইয়াং:আপনাদের সঙ্গে নববর্ষ উদযাপন করার জন্যে বিভিন্ন দেশের বিশেষ রীতি-পথা ও তাদের যার যার বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সঙ্গীতের সামান্য পরিচয় দেবো।
লি: হ্যাঁ, বন্ধুরা, ২০০৫ সাল খুব দ্রুত চলে গেছে। ফুলের পাঁপড়ির মতো ঝরে গেছে ৩৬৫ দিন। প্রতি বছরের শেষ সময় হচ্ছে পুরনো দিনের সারসংকলন ও ভবিষ্যত বিশ্লেষণ করার শ্রেষ্ঠ সময়। আমরা জানতে চাই গত বছরে আপনারা কি কি সাফল্য অর্জন করেছেন এবং নতুন বছরে আপনাদের কি কি আকাংক্ষা ও পরিকল্পনা আছে।
মাও: চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের বৃহত্তম সাফল্য হচ্ছে: আমাদের অনুষ্ঠানের প্রতি আপনাদের অব্যাহত অমূল্য সমর্থন। তারই অবশ্যম্ভাবী সুফল হিসেবে আমাদের অনুষ্ঠান নিরন্তর উন্নত ও পুর্ণাঙ্গ হচ্ছে। আজ বিশেষ দিনে আমরা বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে প্রিয় শ্রোতাবন্ধুদেরকে সর্বান্তকরণ ধন্যবাদ ও নির্জলা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
লি: আচ্ছা, তাহের, এখন আমরা অনুষ্ঠান শুরু করি, কেমন?।
মাও: নিশ্চয়ই। অনুষ্ঠানের শুরুতে আমরা----?
ইয়াং: তাহের, আমার একটি প্রশ্ন আছে। আমরা সবাই জানি বিভিন্ন দেশের ভৌগলিক অবস্থান বিভিন্ন বলে একেক দেশে বর্ষশুরুও একেক সময় হয়। আপনি জানেন কি কোন দেশ সবার আগে নতুন বছরের সুর্যোদয় দেখতে পায়?
মাও: আগে তো শুনেছি জাপান--।
ইয়াং: ( হেসে) জানেন না? তা হচ্ছে ওশেনিয়ার টোংগা। তা ডেইট লাইনের (date line)পশ্চিম দিকে অবস্থিত। তাই টোংগা হচ্ছে বিশ্বে সবচেয়ে আগে নতুন দিন শুরু হওয়ার দেশ।
লি: তাহের, আপনি জানেন কোন দেশ সবচেয়ে দেরীতে নতুন বছরে প্রবেশ করে?
মাও: থাক, হেঁয়ালি রেখে আপনিই জবাবদিন।
লি: তা হচ্ছে ডেইট লাইনের পূর্ব দিকে অবস্থিত পশ্চিম সামোয়া।
ইয়াং: আর চীন হচ্ছে বিশ্বে নববর্ষকে স্বাগত জানানো দ্বাদশ দেশ ।
মাও: তাহলে আমরা কোন দেশ থেকে আমাদের আজকের অনুষ্ঠান শুরু করবো?
ইয়াং: আমার একজন বন্ধু অসহিষ্ণুভাবে তাঁর নববর্ষের শুভেচ্ছা শ্রোতাবন্ধুদেরকে জানাতে চান। তিনি হচ্ছেন ব্রাজিল থেকে আসা আমাদের বেতারের পোর্তুগীজ বিশেষজ্ঞ--ফিলিপু। চলুন, বন্ধুরা, একসাথে শোনা যাক, তিনি শ্রোতাদের কি কি বলতে চান।
(সংগীত ১--ফিলিপের কথা)
মাও: তিনি বলেছেন: সবাই ভালো আছেন? আমি ফিলিপ, আমি ব্রাজিল থেকে চীনে এসেছি। আমি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের পোর্তুগীজ ভাষা বিভাগে চাকরি করছি। আমি আপনাদের শুভ নববর্ষ জানাচ্ছি। আমি আশা করি, আজকে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে প্রতিটি মানুষ তার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আনন্দে সময় কাটাতে পারেন।
ইয়াং: ফিলিপ আরো বলেছেন, কিছু কিছু পরিবার শ্যামপেইন ও খাবার নিয়ে সাগরের তীরে এসে নববর্ষকে অভ্যর্থনা জানায়। তাদের আরেকটি বিশেষ রীতিনীতি আছে। জোয়ার আসার আগে মানুষ সমুদ্রতীরে একটি গর্ত খোঁড়েন। তারপর মোমবাতি ও ফুল গর্তের ভেতরে রাখেন। পরে ঢেউ এসে এগুলো ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর মানুষ ডান পায়ে একই স্থানে ৭বার লাফ দেয়। জানা গেছে, এটি মানুষের জন্যে সৌভাগ্য বয়ে আনবে। আচ্ছা, আপনারা জানেন ব্রাজিল এবং পর্তুগালে নববর্ষের বিশেষ খাবার কি?
মাও: আমি জানি। পুডিং।
লি: এখন আমরা একসাথে নববর্ষ সম্পর্কে পর্তুগালের একটি গান শুনবো।
(সংগীত ২--পর্তুগাল সংগীত)
লি: পর্তুগালের সুপ্রতিবেশী স্পেনের নববর্ষের সময়ে একটি বিশেষ রীতিনীতি আছে। আপনারা কি তা জানেন? স্পেনে চান্দ্র নববর্ষের আগের দিন রাত ১২টায় প্রথম বার ঘন্টাধ্বনি বাজে, তখন মানুষ আঙ্গুর খেতে শুরু করেন। ১২বার ঘন্টাধ্বনি বাজার সময়ের মধ্যে ১২টি আঙ্গুর খেলে নতুন বছরের প্রতি মাস শান্তিময় ও সুন্দর হবে। ত ছাড়া, প্রতি আঙ্গুরের বিভিন্ন অর্থ আছে। যেমন প্রথমটি শান্তির প্রতীক, পঞ্চমটি সম্প্রীতির প্রতীক, ষষ্ঠটি বিপর্যয় এড়ানোর প্রতীক, সপ্তমটি রোগ তাড়ানোর পতীক।
মাও: তাহলে তো কোনো সমস্যাই থাকবেনা দেখছি।আমার একজন ফরাসী বন্ধুর নাম ভিলাই। তাঁরও নববর্ষের শুভেচ্ছা আছে।
সংগীত ৩--ভিলাইয়ের কথা
মাও:তিনি বলেছেন: আমি ভিলাই। নতুন বছরে সবকিছু মনের মতো সুন্দর হোক, সবার জন্যে এটাই আমার শুভ কামনা।তার কন্ঠ খুব ভালো। শুনুন।
সংগীত ৪--ফ্রান্চ সংগীত
মাও: আমরা সবাই জানি, ফ্রান্স হচ্ছে আঙ্গুরের মদের জন্মস্থান। নববর্ষের রাতে সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজনীয়। জানা গেছে, নববর্ষের আগে ফরাসীদের পরিবারের সব মদ খেয়ে শেষ করতে হবে। নাহলে নতুন বছরে দুর্ভাগ্য হবে। ফরাসীদের মতে নববর্ষের আগে মানুষকে সামুদ্রিক খাবার খেতে হয়।
ইয়াং: আমিও খেতে চাই। আচ্ছা, এখন আমাদের একজন কানাডীয় বন্ধু সামান্হাও তাঁর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
লি+মাও: তাই?
(সংগীত ৫--সামান্থা, সংগীতের সঙ্গে)
ইয়াং: সামান্হা আমাকে বলেছেন, উত্তর আমেরিকান অঞ্চলের জনগণ নববর্ষ উদযাপনের জন্য একটি মজার তত্পরতায় অংশ নেন। তাঁরা এই তত্পরতাকে পোলার বেয়ার সুইম বলে ডাকেন। নববর্ষের আগের রাতে মানুষ বিশেষ কাপড় পরে ইংলিশ চ্যানেলে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতার কাটান। মনে হয় তাঁরা একটি দুঃসাহসী কাজ দিয়ে নববর্ষের সূচনা করতে চান।
মাও: আমরা বাংলায় বলতে পারি, মেরু-ভল্লুকের সাঁতার। তাইনা?
লি: আমার মনে হয়, এশিয়ায় আন্তর্জাতিক নববর্ষ অত জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয় না। তাই না?
মাও:আমিও তাই মনে করি। কারণ অধিকাংশ এশিয় দেশে নিজেদের বর্ষ হিসাবের পদ্ধতি আছে। যেমন চীন দেশের বষন্ত উত্সব। তা জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারী মাসে হয়। থাইল্যান্ডেও একই অবস্থা। থাইল্যান্ডের নববর্ষ হলো সংক্রান উত্সব অথবা জল বিচ্ছুরণ উত্সব, তা এপ্রিল মাসের ১৩ থেকে ১৬ পর্যন্ত। বাংলাদেশে হয় ১৪ এপ্রিল।
লি: আমার কাছে থাইল্যান্ডের জল বিচ্ছুরণ উত্সবের সংগীত আছে। তা থাইল্যান্ড- বৈশিষ্টসম্পন্ন। আমরা শুনি।
(রেকর্ডিং ৬, থাই সংগীত)
মাও: উত্সবের সময়ে, মানুষরা বড় বড় বৌদ্ধ মূর্তি নিয়ে বের হয়। মূর্তির পেছনে একটি ফুলভর্তি গাড়ি থাকে। গাড়িতে অনেক মানুষ সংক্রান দেবীর রূপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দলে দলে তরুণ-তরুণীরা রঙিণ জাতীয় কাপড় পরে, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে নাচ করে। মিছিলের দু'পাশে দাঁড়ানো মানুষরা একটি রুপার বালতি-ভরা পানি মূর্তি ও সংক্রান দেবীর গায়ে ছিটিয়ে দেয়। এবং মানুষেরা একে অপরে গায়ে পানি ছিটিয়ে দেয়। এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করে।
ইয়াং: তবে আমি জানি, এশিয়ার মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক নববর্ষ পালনের ওপর অনেক গুরুত্ব দেয়।
লি:ঠিক বলেছো। নতুন বছরের ঠিক আগের দিন মধ্যরাতে জাপানের বিভিন্ন মন্দিরের ঘন্টা ১০৮ বার বাজানো হয়। তার মানে পাপগুলোকে মেরে ফেলা। জাপানীরা বসে বসে ঘন্টার আওয়াজ শুনে। ঘন্টার আওয়াজ বন্ধ হলে নতুন বছর শুরু হয়। তখন মানুষরা ঘুমিয়ে পড়ে রাতে সুন্দর স্বপ্ন কামনা করে। সকালে ওঠের পর পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হয়ে নিজেদের স্বপ্নের কথা বলে।
মাও: আচ্ছা, জানা হলো। আমার কাছে একজন রুশ ভাষা বিশেষজ্ঞের শুভেচ্ছা আছে। আমরা শ্রোতা বন্ধুদের সঙ্গে এখন তা শুনবো।
ইয়াং,লি: আচ্ছা।
(রিকর্ডিং ৭, রুশ বিশেষজ্ঞের রেকর্ডিং)
লি: আমার কাছে একটি খুব মজার রুশ গান আছে। শ্রোতাদের শোনাবো।
(রিকর্ডিং ৮, রাশিয়া গান)
মাও: আন্তর্জাতিক নববর্ষের সংগীতের কথা উঠলে অবলীলায় বার্ষিক ভিয়েনা নিউ ইয়ার কন্সার্টের কথা মনে পড়ে যায়।
ইয়াং: ঠিক বলেছেন। জন স্ট্রোসের ওয়ালজ শুনে আমিও নাচতে চাই।
লি: তাই? তাহলে আমরা ওই গান শোনাবো। গানের নাম আমাকে বলতে হবে কিন্তু।
(রিকর্ডিং ৯, the Nutcacker)
মাও: হুঁ হুঁ! আমি জানি। তা তো দ্য নাটক্র্যাকার। খুব বিখ্যাত একটি নাটক।
ইয়াং: এমন গান শুনে আমারও চোখের সামনে ভেসে উঠলো ক্রিস্মাস ট্রি, মোমবাতি আর মধুর রাত।
লি: জানো? জার্মানিতে নতুন বছরের প্রাক্কালে মজার মজার রীতি আছে। নতুন বছরের ঘন্টা বাজার আগে জার্মান চেয়ারের উপরে উঠে অপেক্ষা করে। ঘন্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে তারা চেয়ার থেকে লাফিয়ে নামে এবং একটি ভারী জিনিস চেয়ারের পেছনে ফেলে দেয়। তা মানে দুর্ভাগ্য ফেলে দিয়ে নতুন বছরে লাফিয়ে প্রবেশ করা। জার্মানির গ্রামাঞ্চলে একটি গাছে চড়ার ঐতিহ্য আছে। তরুনরা গাছে চড়ার প্রতিযোগিতা করে এবং যে প্রথম হয়, সে নতুন বছরের বীর খেতাব পায়।
মাও: বাহ, খুব মজার । কিন্তু আপনারা জানেন, কোন দেশের নববর্ষ সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যময়?
ইয়াং: কোন দেশের?
লি: আরে বলুন না,প্লীজ।
মাও: তা হলো অস্ট্রেলিয়া। কারণ অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত। চীনে নববর্ষ শীতকালে, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় তখন গ্রীস্মকাল। প্রথমে আমরা আমাদের অস্ট্রেলিয়ার বন্ধু জেমসের শুভেচ্ছা শুনি।
(রিকর্ডিং ১০ james)
(রিকর্ডিং ১১, secret garden)
মাও: জেমস চার মাস আগে চীনে এসেছেন। এটি চীনে তাঁর প্রথম নববর্ষ। আগে জেমস আর তাঁর বন্ধুর সঙ্গে আগে সমুদ্রতীরে গরম রোদের নিচে নববর্ষ কাটাতেন এ বছর তাঁর নিশ্চয় নতুন অভিজ্ঞতা হবে।
ইয়াং: ঠিক বলেছেন, অনেক বিদেশী বন্ধু চীনে এসে চীনের বৈশিষ্ট্যময় সংস্কৃতি ও ইতিহাস জানার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন নতুন ধারণা চীনে নিয়ে এসেছেন। তাঁরা পৃথিবীর চীনকে জানা এবং চীনের পৃথিবীকে জানার জন্য ভালো সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। এবং আমাদের আজকের বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে আদানপ্রদান ও যোগাযোগের সেতু স্থাপন করা।
লি: তাহের, আপনাকে একটি প্রশ্ন করতে পারি? চীনে প্রায় ৯ বছর কাটিয়েছেন। এর মধ্যে কোন নববর্ষ আপনার মনে সবচেয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে?
মাও: ভালো প্রশ্ন। ১৯৯৯ সালের শেষ রাতে আমরা অনেক বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার পরিজন সারা রাত পেইচিং শহরে ঘুরে ঘুরে আলোক সজ্জা, আতসবাজি পোড়ানো, শতাব্দি বেদীর সাড়ম্বর অনুষ্ঠান দেখা শেষ করে চলে যাই মহা-প্রাচীরে। সেখানে রাত কাটিয়ে নববর্ষের প্রথম সুর্যকে স্বাগতম জানাই। সেদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো হিমাংকের নীচে ১৭ ডিগ্রী। অবিস্মরণীয় বটে।
ইয়াং: That's a crazy new start!
ইয়াং: প্রিয় বন্ধুরা, আনন্দের সময় খুব দ্রুত চলে যায়। আমাদের অনুষ্ঠানেরও সময় শেষ হয়ে এলো্। তবে অনুষ্ঠান শেষ হলেও আপনাদের জন্য আমাদের শুভেচ্ছা ও আমাদের দুপক্ষের মৈত্রী চিরকাল থাকবে।
লি: সংগীত হলো আন্তর্জাতিক ভাষা। আশা করি আজ আমাদের উপস্থাপিত দেয়া সংগীতগুলো বিভিন্ন দেশের বৈশিষ্ট্য কিছুটা হলেও তুলে ধরেছে।
মাও: আশা করি, নতুন বছরে আপনারা অব্যাহতভাবে আমাদের অনুষ্ঠান শুনবেন এবং আপনাদের বহুমুখী প্রস্তাব দেবেন, যাতে আমরা অনুষ্ঠানের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। যাবার আগে আবারও সবাইকে জানাই:
সবাই: শুভ নববর্ষ!
|