v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-01-02 16:33:20    
২৬ ডিসেম্বর -- ২ জানুয়ারী , ২০০৬

cri
 ২০০৫ সালের বিদায় আর ২০০৬ সালের আগমনের এই শুভলগ্নে আমাদের এই আসর থেকে সকলের তা সুখ-আনন্দ আর সমৃদ্ধি কামনা করছি। ২০০৬ সালের প্রথম সপ্তাহের এই অনুষ্ঠান নববর্ষের শুভেচ্ছা বানী দিয়ে শুরু করছি।

 *** ২০০৬ সালের নববর্ষের প্রাক্কালে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ৩১ ডিসেম্বর পেইচিংয়ে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের মাধ্যমে "হাতে হাত মিলিয়ে স্থায়ী শান্তি ও অভিন্ন সমৃদ্ধির সুষম পৃথিবী নির্মান করুন " শিরোনামে নববর্ষের বানী প্রদান করেছেন।

 তাতে তিনি বলেছেন, বিগত এক বছরে চীনের বিভিন্ন জাতির জনগণ একাত্ম হয়ে অগ্রগতি অর্জন করে সার্বিকভাবে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং সুষম সমাজের নির্মান কাজ সামনে এগিয়ে নিয়েছেন, জাতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধি অপেক্ষাকৃত দ্রুত, মুনাফা ভালো, পণ্যের দাম স্থিতিশীল, প্রাণশক্তি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে, নানা সামাজিক ব্রত নিরন্তরভাবে বিকাশ লাভ করেছে, জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান অব্যাহতভাবে উন্নত হয়েছে।

 ২০০৬ সাল হচ্ছে চীনের ১১তম পাঁচ সালা পরিকল্পনার প্রথম বর্ষ। সম্প্রতি, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৬তম কেন্দ্রীয় কমিটির পঞ্চম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন আয়োজিত হয়েছে, তাতে পরবর্তী পাঁচ বছরে চীনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রধান লক্ষ্য , উপদেশক নীতি এবং গুরুত্বপূর্ণ বন্দোবস্ত উত্থাপিত হয়েছে। চীনের বিভিন্ন জাতির জনগণ উত্সাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে সার্বিকভাবে অপেক্ষাকৃত সচ্ছল সমাজ গঠনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং আরো উজ্জ্বল ও সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টির জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

 চীনা জনগণ শান্তি ভালবাসেন এবং সুন্দর জীবনের প্রত্যাশা করেন। আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বের শান্তি রক্ষা এবং দুনিয়ার অর্থনীতির স্থিতিশীল ও সুশৃঙ্খল উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার একটি দৃঢ় শক্তি হতে চাই। চীনা জনগণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের সঙ্গে সংহতি জোরদার করে, ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করে, হাতে হাত মিলিয়ে এক স্থায়ী শান্তি এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির সুষম বিশ্ব নির্মান করতে ইচ্ছুক।

 *** ২০০৬ সালের নববর্ষের সন্ধিক্ষণে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের মহা-পরিচালক ওয়াং গেং নিয়েন সি আর আইয়ের সকল কর্মীর পক্ষ থেকে শ্রোতাবন্ধুদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

 তিনি বলেছেন, ২০০৫ সালে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বিভিন্ন কাজকর্মের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। ব্যাপক শ্রোতাবন্ধুদের চীনের প্রতি মনোযোগ দেয়া, চীনকে জানা এবং চীনের জনসাধারণের জীবনযাত্রা জানার ইচ্ছা আরো ভালোভাবে মেটানোর জন্য আমরা অনুষ্ঠান প্রচারের সময় বাড়িয়েছি, অনুষ্ঠানের কাঠামো সুবিন্যস্ত করেছি, আরো বেশি টাটকা খবরাখবর এবং আরো বেশি তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি, প্রতিবেদনগুলোর গভীরতা জোরদার করেছি। আমাদের প্রয়াস আমাদের ব্যাপক শ্রোতাদের প্রশংসা পেয়েছে। ২০০৫ সালে আমাদের পাওয়া বিদেশী শ্রোতাদের চিঠি ২০ লক্ষের বেশি, তা নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

 আমরা ভালোভাবে জানি যে, সি আর আই-এর অর্জিত প্রতিটি সাফল্য আপনাদের সমর্থন এবং মনোযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না, কারণ আপনারাই হচ্ছেন আমাদের বেতারের অস্তিত্বের ভিত্তি। এই সুযোগে আমি সি আর আই-এর সকল কর্মীর পক্ষ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ব্যাপক শ্রোতাবন্ধুদের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।

 *** নববর্ষ উপলক্ষে কতকগুলো দেশের নেতৃবৃন্দ তাদের প্রকাশিতবাণী বা বক্তৃতায় নতুন বছরে অর্থনীতির আরো উন্নয়ন সাধন আর দারিদ্র্য বিমোচনের কথা জোরালোভাবে উল্লেখ করেছেন এবং ২০০৬ সালে বিশ্বের শান্তি , স্থিতিশীলতা আর উন্নয়ন কামনা প্রকাশ করেছেন ।

 মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ বলেছেন , মার্কিন জনগণ বিপুল উদ্দীপনার সংগে নতুন বছর আর ভবিষ্যতের বহু নতুন সুযোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন।

 রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন , নতুন বছরে রাশিয়া প্রতিরক্ষা ক্ষমতা জোরদার করবে , ব্যাপকভাবে স্বদেশের নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করবে এবং নিজের সামর্থ্যের উপর নির্ভর করে বিদ্যমান সমস্যা নিষ্পত্তি করবে ।

 দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট রোহ্ মু হিউন দেশের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে সৃজনশীল ও উন্মুক্ত মন নিয়ে ভবিষ্যত উন্নয়নের রণনীতি প্রণয়নের আহবান জানিয়েছেন।

 *** ১ জানুয়ারী চীনের রাষ্ট্রীয় কর প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে , ২০০৫ সালে চীনে কর জনিত আয় ২০০৪ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়ে ৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে । চীনের কর জনিত আয় এই প্রথমবারের মতো ৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে গেল ।

 *** চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৫ সালে চীনের সামাজিক ভোগ্যপণ্যের খুচরা-বিক্রয়ের মোট মূল্য ৬.১ ট্রিলিয়ান ইউয়েন রেনমিনপি ছাড়িয়ে যাবে, অর্থাত্ গত বছরের অনুরূপ সময়ের তুলনায় প্রায় ১২.৮ শতাংশ বাড়বে, অর্থনীতির বিকাশের জন্য এর ভূমিকা ধাপে ধাপে বেড়ে যাচ্ছে।

 ২০০৫ সালে চীনের অর্থনীতি সামষ্টিক নিয়ন্ত্রণের পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গেছে, পণ্যভোগের চাহিদা, পণ্য বাজার এবং দৈনন্দিন ভোগ্যপণ্য বাজার স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের প্রথম দশ মাসে চীনের সামাজিক দৈন্দিন ভোগ্যপণ্যের খুচরা-বিক্রয়ের বাস্তব প্রবৃদ্ধির হার আগের বছরের অনুরূপ সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশেরও বেশি। তা ১৯৯৭ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

 *** চীনের কৃষি মন্ত্রী তু ছিং লিন ২৮ ডিসেম্বর চীনের কৃষি উত্পাদন সংক্রান্ত এক জাতীয় অধিবেশনে বলেছেন , ২০০৪ সালের তুলনায় ২০০৫ সালে চীনের কৃষকদের গড়পড়তা আয় প্রায় ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

 তিনি আরো বলেছেন, গত ২০০৩ সালের তুলনায় ২০০৪ সালে চীনের কৃষকদের গড়পড়তা আয় ৬.৮ শতাংশ বেড়ে ২৯৩৬ ইউয়ানে দাঁড়িয়েছিল । ১৯৯৭ সালের পরবতী বছরগুলোর মধ্যে ২০০৫ সালেই কৃষকদের আয় সবচেয়ে বেশী হয়েছে ।

 *** চীনের কৃষিমন্ত্রী তু ছিংলিন বলেছেন , ২০০৫ সালে চীনের খাদ্যশস্যের মোট উত্পাদন পরিমান ৪৮ কোটি টন ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে । ২০৪ সালের তুলনায় এটা দেড় কোটি টন বেশী ।

 তিনি ২৮ডিসেম্বর পেইচিংয়ে এক কৃষি সম্মেলনে বলেছেন , সাম্প্রতিক দু বছরে চীনের খাদ্যশস্যের উত্পাদন পরিমান একটানা বেড়ে গেছে । বৃদ্ধির মোট পরিমান ৫ কোটি টন ছাড়িয়ে গেছে ।

 কৃষিমন্ত্রী তু আরও বলেছেন , ২০০৫ সালের প্রথম ১০ মাসে চীনের কৃষিজাত দ্রব্যের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের মোট মূল্য ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে , যা গত বছরের অনুরুপ সময়ের ৯ শতাংশ বেশী । চীন ইতিমধ্যে বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম কৃষিজাত দ্রব্যের রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে ।

 *** ২০০৫ সালে চীনের শাংহাই বন্দরের মাল পরিবহনের পরিমাণ ৪৪.৩ কোটি টনে পৌঁছেছে, এই প্রথম বার সিঙ্গাপুর বন্দরকে পিছনে ফেলে শাংহাই বন্দর বিশ্বের প্রথম বৃহত্তম বন্দরে পরিণত হয়েছে।

  শাংহাই বন্দর পরিচালনা ব্যুরোর ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৫ সালে শাংহাই বন্দরে কন্টেনার পরিবহনের পরিমাণ ধাপে ধাপে বেড়েছে । ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে শাংহাই বন্দর মোট ১ কোটি ৮০ লক্ষ ৯০ হাজার কন্টেনারের মাল পরিবহন করেছে এবং অব্যাহতভাবে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। শাংহাই বন্দরে প্রতি মাসে ১৯০০টিরও বেশি জাহাজ আসা-যাওয়া হয়।

 *** ১ জানুয়ারী চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ও ভারতের প্রেসিডেন্ট আবদুল কালামের মধ্যে চীন-ভারত মৈত্রী বর্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া উপলক্ষে তারবার্তা বিনিময় হয়েছে।

 হু চিন থাও অভিনন্দন তারবার্তায় বলেছেন, চীন "চীন-ভারত মৈত্রী বর্ষের " মাধ্যমে দু'দেশের ঐতিহ্যিক মৈত্রী আরো সুসংবদ্ধ করবে, দু'পক্ষের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংলাপ ,আদানপ্রদান ও সহযোগিতা জোরদার করবে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়বস্তু অব্যাহতভাবে গভীর করবে এবং দু'দেশের সহযোগিতার সম্পর্ক সার্বিকভাবে রণনৈতিক পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

 কালাম অভিনন্দন তারবার্তায় বলেছেন, "চীন-ভারত মৈত্রী বর্ষ" তত্পরতার আয়োজন হচ্ছে চীন ও ভারতের সম্পর্কের উন্নয়নে একটি মাইলফলক। ভারত আশা করে, এর মাধ্যমে দু'দেশের সম্পর্ক আরো গভীর ও সম্প্রসারিত হবে।

 *** চীন আর পাকিস্তানের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত চশমা পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ২৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মিয়ানওয়ালি নগরে আয়োজিত হয়েছে ।

 পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ সহ চীন আর পাকিস্তানের সংশ্লিষ্ট সংস্থার নেতারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন । প্রধানমন্ত্রী আজিজ বিদ্যুত কেন্দ্রটির ২ নম্বর জেনারেটিং সেটের কনক্রীট দেয়ার জন্যে সুইচ অন করেছেন । তিনি বলেছেন , আজ চশমা পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের ২ নম্বর জেনারেটিং সেটের কনক্রীট দেয়ার অনুষ্ঠান চীন -পাকিস্তান মৈত্রীর আর একটি মাইলফলক । এথেকে পাকিস্তানের পারমানবিক প্রকৌশল প্রয়োগের অগ্রগতি প্রমাণিত হয়েছে ।

 *** দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল চুক্তি ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারী থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলবত হয়েছে।

 সার্কের সাতটি সদস্য দেশের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুয়ায়ী, বিভিন্ন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশগুলোর জন্য শুল্ক কমানোর প্রক্রিয়ায় আলাদা আলাদা বন্দোবস্ত করা হবে। নেপাল, বাংলাদেশ, ভূটান ও মালদ্বীপ আগামী দশ বছরের মধ্যে তাদের শুল্কের হার পাঁচ শতাংশের নিচে কমিয়ে আনবে। ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা আগামী সাত বছরের মধ্যে শুল্ক এই মানে কমাবে। তাছাড়া সার্কের সব সদস্য দেশ অর্থনৈতিক অবাধ নীতি কার্যকরী করবে এবং মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে।

 *** দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার বাণিজ্য আলোচনা কমিটির দশম অধিবেশন এক সপ্তাহ চলার পর ২৭ ডিসেম্বর কাটমন্ডুতে শেষ হয়েছে ।

 এই অধিবেশনে স্থির করা হয়েছে যে, বাণিজ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যকার মতবিরোধ দূর করার জন্য এক উচ্চ পর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় সালিস কমিটি গঠন করা হবে । ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ব্যাংককে বাণিজ্য আলোচনা কমিটির অনুষ্ঠিতব্য একাদশ অধিবেশনে অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল গড়ার ব্যাপারে বিদ্যমান বাণিজ্য সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে ।

 এই অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে , অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের দ্রুতগামী চ্যানেলে পন্যদ্রব্যের কর কমিয়ে শূন্য শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা হবে । সাধারণ চ্যানেলের মাধ্যমে যে সব পন্যদ্রব্য চালান দেওয়া হবে সেগুলোর কর ধাপে ধাপে কমানো হবে ।

 *** ৩০ ডিসেম্বর ভারতের তথ্য মাধ্যমের খবরে প্রকাশ , ইরানের উপ তেলমন্ত্রী হুসেইনিয়ান ২৯ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বলেছেন , ইরান-পাকিস্তান-ভারত প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন প্রকল্পে ইরান অশংগ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে , এবং ইরান এই গ্যাস লাইনের মাধ্যমে ভারতে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করতে ইচ্ছুক ।

 ভারতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে হুসেইনিয়ান বলেছেন , ইরান , পাকিস্তান ও ভারত আগামী মার্চ মাসে তেহরানে সংশ্লিষ্ট চু্ক্তি স্বাক্ষর করবে , এই চুক্তিতে তিন পক্ষের দায়িত্ব নির্ধারণ করা হবে এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম সংক্রান্ত কাঠামো চুক্তি প্রণয়ন করা হবে । তিন দেশ এই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে , অনুমান করা যায় ২০১০ সাল অথবা ২০১২ সালে এই লাইন চালু হবে ।