v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-12-27 14:06:00    
বানর রাজা সুন উখোং (২৩)

cri
    উখোং-ও কম যায় না । সে যাদু বলে এক নকল উখোং তৈরি করে দড়িটি নিয়ে নিজে আবার চলে এলো গুহার বাইরে ।

    বাইরে থেকে সে চিত্কার করে দানবদের ডেকে বললো যে সুন উখোং-এর ভাই উখোং সুন এসেছে । রুপোর শিং দানব লাউ হাতে বাইরে এসে উখোং-সুনকে তার মধ্যে বন্দি করলো ।

    একটু পরেই সে কৌশলে লাউ-এর ভেতর থেকে মুক্তি পেলো । যাদুবলে সে নকল লাউ তৈরি করে তার বিনিময়ে বগলদাবা করলো আসল লাউটা । তারপর গুহার বাইরে এসে আবার চিত্কার করে বললো , এই যে দানবেরা শোনো , এবার সুন উখোং-এর ভাই সুন খোংউ এসেছে । তা শুনে রুপোর শিং দানব বের হলো নকল লাউ নিয়ে । এবার উখোং-ই তার লাউ-এর মধ্যে দানবকে বন্দি করলো । তারপর আবার গালাগালি করতে লাগলো গুহার বাইরে থেকে ।

    সোনার শিং দানব বাইরে এসে উখোং-এর সঙ্গে লড়াই শুরু করলো । সে কি প্রচন্ড লড়াই । গায়ের লোম ছিঁড়ে অসংখ্য বানর সৃষ্টি করলো উখোং । তারাই খুদে দানবদের দমন করলো । বড়ো দানব তখন একটা কলাপাতার পাখা দুলিয়ে সৃষ্টি করলো আগুন । উখোং ফিরে এলো পদ্মপুষ্প গুহায় । সেখানে যশম বোতলটি পেলো সে ।

    ক্লান্ত সোনার শিং দানব গুহায় এসেই ঘুমিয়ে পড়লো । এই সুযোগে তার কলাপাতা পাখা চুরি করে নিলো উখোং ।

    ঘুম ভাঙার পর আবার উখোং-এর সঙ্গে দানবের লড়াই শুরু হলো । দানব হেরে গিয়ে পালিয়ে গিলো ইয়ালোং তোং গুহায় । সেখানে দানবের মামা হু আছি মহারাজকে সব ঘটনা বললো । ওদিকে শা পাচিয়ে এবং আচার্য সবাইকে মুক্ত করলো উখোং ।

    আবার মামাম ভাগ্নে ফিরে এলো পদ্মপুষ্প গুহায় । উখোং-এর সঙ্গে শুরু হলো লড়াই । এবারের লড়াইতে পাচিয়ে এবং ভিক্ষু শা-ও যোগ দিলো । এই প্রচন্ড লড়াইতে দানবদের হার হলো । সোনার সিং দানবকে যশম বোতলে বন্দি করলো উখোং ।

    এমন সময় দেবতা লাওজি এলেন শুভ মেঘে চড়ে । তিনি উখোংকে বললেন , অস্ত্রগুলো ফেরত দিতে । লাউটি হলো তাঁর পরমায়ু বটিকা রাখার পাত্র , যশম বোতল হলো অমৃত রাখার পাত্র , পাখাটি হলো চুল্লিতে হাওয়া দেয়ার মন্ত্রপুত পাখা , সোনালি দড়িটি হলো কোমরের ফিতে । আর এই দানব দুটি ছিলো আমার অমর বটিকা সেঁকার পরিচারক । চিন্তা নেই । ওদের আমি নিয়ে যাবে ।

    দেবতা লাউ ও যশম বোতল উপুড় করে ধরলেন । বেরিয়ে এলো দুটি বালক । তাদের নিয়ে লাওজি চলে গেলেন স্বর্গরাজ্যে । কেটে গেলো সব বিপদ । আচার্য এবং তাঁর তিন শিষ্য আবার পশ্চিম দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ।

    আচার্য ও তাঁর শিষ্য পশ্চিম দেশের দিকে যাচ্ছেন । দিন নেই রাত নেই পথ চলছেন তাঁরা । যেতে যেতে একদিন আচার্য ও তাঁর দল বিরাট এক পাহাড়ের সামনে উপস্থিত হলেন । আচার্য বললেন , আমার মন বলছে এখানে নিশ্চয় কোনো বৌদ্ধ বা তাও মন্দির আছে । রাতটা সেখানেই কাটাতে হবে । উখোং এক ডিগবাজি খেয়ে উপর উঠে দেখলো , গুরুর কথাই ঠিক । সত্যি পাহাড়ের উপর এক বিরাট এবং চমত্কার কাঠের বৌদ্ধ মন্দির আছে । ঠিক হলো , রাত্রি যাপন করা হবে ঐ মন্দিরে ।

    মন্দিরে এলেন আচার্য এবং অন্যরা । প্রধান কক্ষে ঢুকে তারা তিনটা বুদ্ধমুর্তি দেখতে পেলো । সেখানে তখনও ধুপকাঠি জ্বলছিলো । সুগন্ধি ধোঁয়ায় ঘর ভরে আছে । ক্রমে মন্দিরের সন্যাসিরা ঘরে এলেন । তাঁদের সঙ্গে আচার্যের পরিচয় হলো । তিনি জানালেন যে মহা থাং সম্রাট তাকে পাঠিয়েছেন পশ্চিম দেশ থেকে বৌদ্ধশাস্ত্র গ্রন্থ সংগ্রহ করতে । সন্যাসিরা এই কথা শুনে তাড়াতাড়ি আচার্য ও তিন শিষ্যকে চা ও ফল দিয়ে আপ্যায়ন করলেন ।