২৬ ডিসেম্বর থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া পৃথক পৃথক তত্পরতা গ্রহন করে ভারত মহাসাগরীয় সুনামির প্রথম বার্ষিকী পালন করেছে ।
একই দিন সকাল ১০ টায় থাইল্যান্ডের ৭টি জায়গায় স্মরণতত্পরতা অনুষ্ঠিত হয় । প্রতিটি তত্পরতা একজন উপপ্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় । থাই সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, থাইল্যান্ডস্থ বিভিন্ন দেশের কুটনীতিক এবং ৪৫টি দেশ আর অঞ্চলের সুনামীতে নিহতদের পরিবারপরিজন সহ মোট দশ হাজার লোক স্মরণ তত্পরতায় অংশ নিয়েছেন । থাইল্যান্ডের পর্যটন ও ক্রীড়া মন্ত্রী প্রাচা মালিনন্ট থাই সরকারের পক্ষ থেকে ভাষণ দিয়েছেন । তিনি বলেছেন ,আজ আমরা এখানে অভিন্ন স্নেহ , ভালবাসা ও সমবেদনা অনুভব করছি । এই উপলব্ধির অর্থ হচ্ছে আমরা চিরকালই মনে রাখব যে আমরা নিঃসংগ নই । বিশ্বে অনেক বন্ধু আমাদের সাহায্য ও সমর্থন করতে ইচ্ছুক ।
ইন্দোনেশিয়ার স্মৃতিচারণ -অনুষ্ঠান উত্তর আচেহ প্রদেশের রাজধানী বান্দা আচেহতে অনুষ্ঠিত হয় । প্রেসিডেন্ট সুসিলো অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন এবং ভাষণ দিয়েছেন ।। তিনি বলেছেন পুনর্গঠন কাজ সম্পন্ন করতে আরও অনেক কিছু করতে হবে । এক লক্ষ গৃহহারা মানুষের জন্যে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে , মাসে ৫ হাজারটি বাড়ি নির্মান সহ আরও অনেক কাজ করতে হবে । বিগত এক বছরে আচেহর পুনর্গঠন কাজে কিছু সাফল্য অর্জিত হয়েছে বটে , কিন্তু পুনর্গঠনের পথ দুরুহ এবং দীর্ঘ হবে । পুনর্গঠন কাজ সম্পন্ন করতে আমরা যেমন সক্ষম তেমনি সংকল্পবদ্ধ ।
দক্ষিণ ভারতের তামিলনাডু প্রভৃতি দুর্গত এলাকা , শ্রীলংকাও স্মৃতিচারণআনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ।
|