v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-12-23 15:55:09    
২৫ ডিসেম্বর

cri
**পাকিস্তানের "জাতিয় জনক " জিন্না'র জন্ম

    ১৮৭৬ সালের ২৫শে ডিসেম্বর করাচীর একটি ব্যবসায়ী পরিবারে জিন্না'র জন্ম হয় । তাঁর বয়স আঠারো বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি বৃটেনে আইনজীবীর যোগ্যতা অর্জন করেন । দু'বছর পর তিনি ভারতে ফেরেন এবং অল্পকাল পর বোম্বা অঞ্চলের একজন বিখ্যাত আইনজীবী হন । ১৮৯৬ সালে তিনি রাজনৈতিক তত্পরতা শুরু করেন এবং ভারতের কংগ্রেস পার্টিতে যোগ দেন । ১৯১৩ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগে যোগ দেন । ১৯২১ সালে রাজনৈতিক মতভেদের দরুন কংগ্রেস পার্টির সংগে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন করেন জিন্না'র সংগঠনে ও নেতৃত্বে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ ভারতের মুসলমানদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হয় । ১৯৪০ সালের ২২শে থেকে ২৪শে মার্চ পর্যন্ত জিন্না'র সভাপতিত্বে লাহোরে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের এক অধিবেশনে ঐতিহাসিক "পাকিস্তান প্রস্তাব" গৃহীত হয় । একই সালের ২৩শে মার্চ জিন্না ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা এক লক্ষ মুসলমানের একটি সমাবেশে ঘোষণা করেন , "ভারতের উত্তরপশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল (বর্তমান বাংলাদেশ) -কে নিয়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গড়ে তোলা উচিত্" । পরে এই দিনটি পাকিস্তানের জাতীয় দিবসে পরিণত হয় ।

    ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট পাকিস্তান স্বাধীনতা অর্জন করে । জিন্না পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট হন । ১৯৪৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর জিন্না অতি পরিশ্রমের কারণে রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন ।

** রাশিয়া ও বিয়েলো রাশিয়ার মধ্যে ইউনিয়নভুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা স্বাক্ষর করেন

    ১৯৯৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বোরিস ইয়েলটসিন বিয়েলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট লুকাশেনকোর সঙ্গে দুপক্ষের ইউনিয়নভুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা স্বাক্ষর করেন।

    সেইদিন দুদেশের প্রেসিডেন্ট এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, রাশিয়া ও বিয়োলো রাশিয়ার মধ্যে ইউনিয়নভুক্ত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা হচ্ছে " দুটি ভাইয়ের মতো দেশ ঐক্যের পথে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ এগিয়ে গেলো"। দেশে ও প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানে ইউনিয়নভুক্ত সংস্থা স্থাপন করা হবে এবং সমজে ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্র , কূটনৈতিক নীতি, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তার উপর ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে দুদেশ সার্বভৌম দেশ ও আন্তর্জাতিক সমাজের সমান সদস্যহিসেবে বজায় থাকবে ।

** ঐতিহাসিক কু চিয়েকাংয়ের মৃত্যু

    ১৯৮০ সালের ২৫ ডিসেম্বর চীনের বিখ্যাত ঐতিহাসিক কু চিয়েকাং পেইচিংয়ে মারা যান । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

    ১৮৯৩ সালে চীনের চিয়াংসু প্রদেশের সুচৌয়ে কু চিয়েকাংয়ের জন্ম হয়। ১৯২০ সালে পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করেন। পরে সিয়ামেন বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়ানচিং বিশ্ববিদ্যালয়, পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার হিসেবে এবং চুংশান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ভাষা গবেষণা বিভাগের প্রধান পদে নিযুক্ত ছিলেন। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর আবার ফুতান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার, চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের প্রতিনিধিএবং চীনের জনগণের রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের জাতীয় কমিটির সদস্য পদে নিযুক্ত ছিলেন।