**পেইচিং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যুরো চালু হয়
১৯৮৭ সালের ২৩শে ডিসেম্বর চীনের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নির্মান প্রকল্প পেইচিং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যুরো রাষ্ট্রের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ও আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ।
পেইচিং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যুরো হচ্ছে বর্তমানে চীনের অভ্যন্তরের আধুনিক আন্তর্জাতিক টেলিফোন ও ব্যবহারকারী টেলিফোনের বিশেষ এন্ট্রি ও এক্সিট ব্যুরো । এটি রাজধানীর পূর্ব শহরবেষ্টনী রাস্তার উত্তরাংশের সংযোগস্থলের সান ইউয়ান ওভারব্রিজের পাশে অবস্থিত । এর প্রধান ভবন ষোলো তলা , ভূগর্ভে তিন তলা আর ওপরে তেরো তলা । এর মোট মেঝের আয়তন পনেরো হাজার বর্গমিটার । এটি আকাশের কৃত্রিম উপগ্রহ , শূন্যের মাইক্রোওয়েব আর ভূগর্ভের বৈদ্যুতিক কেবল্ ইত্যাদি সাকার ও আকারবিহীন সারকিট দিয়ে দেশের সর্বত্র ও পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলকে সংযোগকারী আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক রচনা করেছে ।
পেইচিং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যুরো চালু হওয়ার ফলে ব্যস্ত জাপান , হংকং , যুক্তরাষ্ট্র , ইতালি , ফ্রান্স ইত্যাদি উনিশটি দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে চীনের সরাসরি টেলিফোন করা যায় । এক্সচেঞ্জের পর চীনের আধা- স্বয়ংক্রিয় টেলিফোনও প্রথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে করা যায় । আন্তর্জাতিক তারবার্তাও সরাসরি পৃথিবীর ক্রিশটি দেশ ও অঞ্চলে পাঠানো যায় । পেইচিং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যুরো চালু হওয়ার ফলে যেমন চীনের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগের পরিসেবার মান আর এন্ট্রি ও এক্সিটের ক্ষমতাই বেড়েছে, এবং রাজধানীর আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগের ব্যস্ততার অবস্থা বহুলাংশে প্রশমিত হয়েছে , তেমনি চীনের ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক ও আভ্যন্তরীণ দূরপাল্লার টেলিযোগাযোগের উন্নয়নের জন্যেও অনুকূল শর্তও সৃষ্ট হয়েছে ।
** চীনের আধুনিক ঐতিহ্যিক চিত্র ছি বাইশির জন্ম
১৮৬৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর চীনের হুনান প্রদেশের সিয়াংথান জেলার সিংজিউসিংতৌথাংয়ে ছি বাইশির জন্ম হয়। তিনি ছোটবেলা থেকে খুবই মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করেন, ৮ বছর বয়সে তিনি গ্রামের স্কুলে একবছর ধরে পড়েন, তারপর বাড়িতে কৃষির কাজ করেন। শ্রমের আবসরেও তিনি লেখাপড়া করেন । ২৭ বছর বয়সে তিনি চিত্রকর হু ছিনইউয়ান ও পন্ডিত ছেন শাওফান প্রমুখের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি ফুল, পাখি , মাছ বিশেষভাবে ভাল করে আঁকেন। তিনি ছিলেন ঐতিহ্যিক চিত্র মহলের একজন খুবই বিখ্যাত চিত্রকর। নয়া চীনে মাত্র কয়েকজন শিল্পী "গণ শিল্পীর " সুনাম অর্জন করেছেন, তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম। তিনি চীনের চিত্রকর সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৫৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পেইচিংয়ে মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
** ইয়াংসি নদী ব্যুরোর সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধিদলের একীকরণ
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি দল চৌ এনলাই, ওয়াংমিং, বোকু ও ইয়ে চিয়ানইং নিয়ে গঠিত ছিল। তাঁদের দায়িত্ব ছিল চীনের কুওমিনটাংয়ের সঙ্গে আলোচনা করা। ইয়াংসি নদী ব্যুরো চৌ এনলাই, বোকু, সিয়াংইং ও তুং পিউকে নিয়ে গঠিত ছিল। তাঁদের দায়িত্ব ছিল চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দক্ষিণ অঞ্চলের কাজ নেতৃত্ব দেয়া । ১৯৩৭ সালের ৯ ডিসেম্বর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পীলট ব্যুরোর অধিবেশনের একটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ব্যুরো স্থাপন করা হয়। ১৯৩৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর চীনের উহানে অনুষ্ঠিতপ্রথম যৌথ অধিবেশনে দুটো ব্যুরোর একীকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
|