v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-12-16 10:42:44    
১৬ ডিসেম্বর

cri
** মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বাধীন চীনা প্রতিনিধিদলের প্রক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর

    ১৯৪৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর চীন গণপ্রজাতন্ত্রের কেন্দ্রীয় গণ সরকারের চেয়ারম্যান মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বে চীনা প্রতিনিধিদল প্রক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর করে । নয়াচীন প্রতিষ্ঠিত হবার পর এটাই ছিল চীনের সরকারপ্রধানের প্রথম বিদেশ সফর । সফরকালে মাও সেতুং সোভিয়েতইউয়ানের মন্ত্রীসভার চেয়ারম্যান স্তালিনের সঙ্গে চীন-সোভিয়েত দ্বিপাক্ষিক সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে বৈঠক করেন । ১৯৫০ সালের ২০ জানুয়ারি চীনের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী চৌ এনলাই মস্কোয় পৌঁছে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন ।

    ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী চৌ এনলাই আর সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিসিংস্কি মস্কোয় ৩০-বছর মেয়াদী " চীন-সোভিয়েত মৈত্রী ও পারস্পরিক সাহায্য চুক্তি" স্বাক্ষর করেন । চুক্তিটি একই বছরের ১১ এপ্রিল থেকে বলবত্ হয় । চুক্তির মোট ৬টি ধারা আছে , এর প্রধান প্রধান বিষয়বস্তু হলো : চুক্তি স্বাক্ষরকারী উভয় দেশই প্রতিশ্রতি দেয় যে, উভয় পক্ষই মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যথা সম্ভব যাবতীয়প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবলম্বন করে যে-কোনো দেশের হামলা ও শান্তি-ভংগের অপপ্রয়াস প্রতিহত করবে । চুক্তিস্বাক্ষরকারী যে-কোনো পক্ষ জাপান বা জাপানের মিত্রদেশের দ্বারা আক্রান্ত হলে চুক্তিস্বাক্ষরকারী অন্য পক্ষ অবিলম্বেই তাকে সামরিক ও অন্যান্য সাহায্য দেবে ; চুক্তি স্বাক্ষরকারী দুই পক্ষের কোনো পক্ষই অপর পক্ষের বিরুদ্ধে কোনো জোট, গোষ্ঠি বা তত্পরতায় অংশ নেবে না ; উভয় পক্ষই চীন-সোভিয়েত অভিন্ন স্বার্থজড়িত যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয়াদিতে একে অপরের সংগে আলাপ-পরামর্শ করবে ; সমতা, পারস্পরিক উপকারিতা, সার্বভৌমত্ব ও ভূভাগীয় অখণ্ডতার উপর পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শন এবং একে অপরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার নীতি অনুযায়ী চীন ও সোভিযেত ইউনিয়নের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উন্নয়ন করবে, পরস্পরকে অর্থনৈতিক সাহায্য দেবে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা চালাবে ।

** পেইচিং অপেরার বিখ্যাত শিল্পী মা লিয়ানলিয়াংয়ের মৃত্যু

    ১৯৬৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর পেইচিং অপেরার বিখ্যাত শিল্পী মা লিয়ানলিয়াং মারা যান। তিনি ছিলেন চীনের হুই জাতির লোক। ৯ বছর বয়স থেকে তিনি পেইচিং অপেরা শিখতে শুরু করেন। ইয়ে ছুনশান, ছাই রুংকুই, সিও ছাংহুয়া, কুও ছুনশান, রু লাইছিং প্রমুখ বিখ্যাত শিল্পীর কাছে থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তিনি বিভিন্ন পক্ষের সদগুণ গ্রহণ করে যেমন তাদের অভিনয়ের কৌশল শিখেন, তেমনি তাদের অভিনয়ের উপায়ও শিখেন । আস্তে আস্তে তিনি নিজের অভিনয়ের রীতি গড়ে তুলেন ।

** চীন-যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রতিষ্ঠা 

    মাও সেতুং, জৌ এনলাই প্রমুখ চীনের প্রবীণ রাজনীতিবিদদের প্রচেষ্টার পর ১৯৭৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর চীন-মার্কিন " যুক্ত ইস্তেহার " প্রকাশিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করে যে , চীন গণ প্রজাতন্ত্র হচ্ছে চীনের একমাত্র বৈধ সরকার। এবং এর আওতায় তাইওয়ানের সঙ্গে সংস্কৃতি, বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রের বেসরকারী সম্পর্ক বজায় রাখবে । ১৯৭৯ সালের পয়লা জানুয়াইরী চীন-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ।