**কোফি আন্নান জাতি সংঘের সপ্তম মহাসচিব নিযুক্ত হন
১৯৯৬ সালের ১৩ই ডিসেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, তাতে সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কাছে তখনকার শান্তিরক্ষা বিষয়ক উপমহাসচিব কোফি আন্নানকে নতুন মেয়াদের জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ করার জন্য সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । ১৭ তারিখে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কণ্ঠভোটে গৃহীত একটি প্রস্তাবে সাহারা মরুভুমির দক্ষিণ দিকের ঘানার নাগরিক কোফি আন্নানকে আগেকার মহাসচিব বুট্রোস ঘালির স্থলে জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব নিযুক্ত করা হয়, অতএব বিশ্বের এই বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থাটির ৫১ বছরের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো একজন কৃষ্ণাঙ্গকে তার সর্বোচ্চ পদে নিযুক্ত করা হল ।
ছোটবেলা থেকেই ঐতিহ্যিক শিক্ষাদীক্ষায় শিক্ষিত কোফি আন্নান চালচলন বা হাবভাবে খুবই সুমার্জিত, আচরণে খুব সত্ , লোকদের সঙ্গে খুব খোলাখুলীভাবে আন্তরিক ব্যবহার করেন । মহাসচিব নির্বাচিত হবার সময়ে তাঁকে খুব শান্ত দেখাচ্ছিলো । তিনি তখন বলেছেন, " এটা তেমন কিছু নয়, তবে তার অর্থ আমি খুবই ভাগ্যবান ।" জাতিসংঘের ভেতরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুবই ভাল, কর্মীদের মনে তিনি এমন ছাপ রেখেছেন যে, " তিনি দায়িত্বের প্রতি খুব বিশ্বস্ত "। তাঁর আছে অসাধারণ সামর্থ্য, তিনি কাজে বস্তুনিষ্ঠ, জাতিসংঘের কূটনীতিকদের মধ্যে তিনি বেশ উচ্চ পর্যায়ের সম্মান ও খ্যাতি অর্জন করেন ।
** চীন-রাশিয়া , চীন-মার্কিন নেতারা ইরাকের পরিস্থিতির ওপর মত বিনিময় করেন
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বোরিস ইয়েলটসিন চীনের প্রেসিডেন্ট চিয়াং জেমিনকে ফোন করেন। টেলিফোনে দুদেশের নেতারা ইরাকের পরিস্থিতি নিয়ে মত বিনিময় করেন।
বোরিস ইয়েলটসিন বলেন যে রাশিয়া পক্ষ ইরাক সমস্যার উপর চীনের অধিষ্ঠানের উচ্চ মূল্যায়ন করে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরাকের অস্ত্র পরিদর্শনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার সময়ে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদ এড়িয়ে গিয়ে ইরাকের উপর সামরিক অভিযান চালিয়েছে বলে জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনগুলো স্থলভাবে লংঘন করেছে। এটা রাশিয়া পক্ষ কোনো মতেই মেনে নিতে পারে না।
দুদেশের নেতারা বলেন যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচিত আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব নেয়া, জাতিসংঘের মহাসচিবকে সক্রীয়ভাবে তাঁর ভূমিকা পালন করতে সমর্থন করা। দুই নেতা জানিয়েছেন যে,তাঁরা আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে ইরাকে সামরিক অভিযান যথাশীঘ্র থামিয়ে দিতে ইচ্ছুক ।
** চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের ভাইসচেয়ারম্যান চি ফাংয়ের মৃত্যু
১৯৮৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর চীনের রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের ভাইসচেয়ারম্যান চি ফাং পেইচিংয়ে মারা যান।
১৮৯০ সালে চীনের চিয়াংসু প্রদেশের হাইমেন জেলার সানইয়াং উপজেলার এক কৃষক পরিবারে চি ফাংয়ের জন্ম । তরুনকালে তিনি " সিন হাই " বিপ্লব, ইউয়ান শিখাইয়ের বিরুদ্ধে দেশরক্ষার অভিযানে অংশ গ্রহণ করেন এবং উত্তরসুখী অভিযান, জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধ যুদ্ধ ও মুক্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় মুক্তি এবং নয়া চীন প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি অনেক অবদান রেখেছেন।
|