v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-12-14 15:01:02    
১৪ ডিসেম্বর

cri
  **সোমালিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা

    ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সোমালিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় ।

    সোমালিয়া প্রজাতন্ত্র আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে পূর্ব দিকের সোমালিয়া উপদ্বীপে অবস্থিত। সোমালিয়ার আয়তন ৬৩৭৬৫৭ বর্গকিলোমিটার , লোকসংখ্যা ১ কোটি ৪ লক্ষ(২০০৪ সাল)। নাগরিকদের অধিকাংশই সোমালীয় জাতি । সরকারী ভাষা সোমালীয় ভাষা এবং আরবী ভাষা। এদেশে ইংরেজি এবং ইতালী ভাষাও প্রচলিত। ইসলাম হলো রাষ্ট্রীয ধর্ম। রাজধানী মোগাদিশু। এদেশের মোট আয়তনের ১৩ শতাংশই বনাঞ্চল। মত্স্য সম্পদ সমৃদ্ধ। অর্থনীতি পশুপালন-প্রধান। অর্থনীতিতে কৃষি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। খাদ্যশস্যে সোমালিয়া স্বাবলম্বী নয় । শিল্পের ভিত্তি খুবই দুর্বল, উপকরণ এবং যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ সবই আমদানী করতে হয় । সোমালিয়া জাতিসংঘের ঘোষিত স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাভুক্ত।

    **এশিয়া ও আফ্রিকার ১৪টি দেশে প্রধানমন্ত্রী চৌ এনলাইয়ের সফর

    ১৯৬৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৯৬৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এনলাই এশিয়া ও আফ্রিকার ১৪টি দেশ সফর করেছেন। প্রধানমন্ত্রী চৌ আর তাঁর সফরসংগীরা যথাক্রমে মিসর, আলজেরিয়া, মরক্কো, তিউনিসিয়া, ঘানা, মালি, গিনি, সুদান, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া প্রভৃতি ১০টি আফ্রিকান দেশ , ইউরোপের আলবেনিয়া এবং এশিয়ার বার্মা, পাকিস্তান সিলন( বর্তমান শ্রীলংকা সফর করেছেন। গোটা সফরে মোট ৭২ দিন লেগেছে, পথের মোট দৈর্ঘ্য ছিল ১ লক্ষ ৮ হাজার কিলোমিটার। চৌ এনলাইয়ের আফ্রিকা সফর হলো আফ্রিকান দেশগুলোতে চীনের কোনো রাষ্ট্রীয় নেতার প্রথম আনুষ্ঠানিক শুভেচ্ছা সফর।

    **ইয়াংসি নদীর তিন গিরিখাত প্রকল্পের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

    ১৯৯৪ সালের ১৪ই ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে চীনের তখনকার রাষ্ট্রীয় পরিষদের প্রধানমন্ত্রী লি ফেং সারা বিশ্বের কাছে "ইয়াংসি নদীর তিনগিরিখাত প্রকল্পের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু " হবার কথা ঘোষণা করেন।

    নয়া চীনের কয়েক প্রজন্মের পানিসম্পদ ও জলবিদ্যুত্ -বিষয়ক বিজ্ঞানীরা ৪০ বছর ধরে যত্নের সংগে এই প্রকল্পের গঠনপরিকল্পনা ও ডিজাইন করেছেন এবং প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা বারংবার যাচাই ও স্থির করেছেন । ১৯৯২ সালের ৩রা এপ্রিল চীনের সপ্তম জাতীয় গণ-কংগ্রেসের পঞ্চম অধিবেশনে " তিন গিরিখাত প্রকল্প নির্মাণের প্রস্তাব গৃহিত হয়েছে । তাতেই অর্ধ শতাব্দী ধরে তিন গিরিখাত প্রকল্পের সম্ভাব্যতা ও কার্যকরিতা যাচাইয়ের কাজের সাফল্যমণ্ডিত সমাপ্তি ঘটল এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর্ব সূচিত হলো ।

    তিন গিরিখাত জলবিদ্যুত কেন্দ্র হলো বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুতকেন্দ্র । এর মোট বিদ্যুত উত্পাদনক্ষমতা এক কোটি ৮২ লক্ষ কিলোওয়াট ।     বিদ্যুত্ উত্পাদনের বার্ষিক পরিমাণ ৮৪.৬ বিলিয়ন কিলোওয়াটঘণ্টা , এটা পাঁচ কোটি টন কয়লার জ্বালানী শক্তির সমান । তিন -গিরিখাত প্রকল্পের জলাধার এতোই দীর্ঘ যে, তা ছোংছিং মহানগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে , ফলে ইয়াংসি নদীর মধ্যভাগের ৬৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ নৌপথ জাহাজ চলাচলের জন্য আগের চেয়ে বেশি সুবিধাজনক হয়েছে , এমন কি সাগর থেকে, ইয়াংসি নদীর মোহনায় অবস্থিত সাংহাই বন্দর হয়ে দশ হাজার টনী জাহাজ ইয়াংসি নদী বেয়ে পশ্চিমচীনের ছোংছিং মহানগর পর্যন্ত যেতে পারে, বছরে এই নৌপথে যত জাহাজ চলে, তার মোট পরিবহন ক্ষমতা এক কোটি টন থেকে বেড়ে পাঁচ কোটি টন হয়েছে । দক্ষিণপশ্চিম চীনের ছোংছিং মহানগর ও সিছুয়েন প্রদেশ এমন কি গোটা দক্ষিণপশ্চিম চীন থেকে নদী বেয়ে সাগরে যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে ।

    ১৯৯৪ সালের জুন মাসে বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত " বিশ্বের সুপার প্রকল্প সম্মেলনে তিন-গিরিখাত প্রকল্প তার যোগ্যতা অনুযায়ী সুপার বা বৃহত্তম প্রকল্প হিসেবে হয়েছে ।