v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-12-07 16:20:01    
৭ই ডিসেম্বর পার্ল হারবারের উপরে জাপানের অতর্কিত আক্রমণ

cri
    ১৯৪১ সালের ৭ই ডিসেম্বর, জাপানের যুক্ত নৌবহর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের ঘাটি- পার্ল হারবারের উপরে অতর্কিত আক্রমণ চালায় । সেই দিন সকাল সাতটার দিকে জাপানের ১৮৩ টি জংগী বিমান পার্ল হারবারে নঙ্গর ফেলা মার্কিন নৌবহরের উপরে প্রচন্ড আক্রমণ চালায় । এক ঘন্টা পর , জাপানের ১৯১ টি জংগী বিমান দ্বিতীয়বার আক্রমণ চালায় । দুবারের আক্রমণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি প্রকাণ্ড 'ব্যাটলশিপ' ডুবে যায় , অন্য ৩টি 'ব্যাটলশিপ' এবং অন্য ধরনের ১০টি যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ; ১৮৮টি বিমান ধ্বংস হয় ,২৯১টি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ২৪০৮ জন মার্কিন সৈন্য নিহত আর ২ হাজারের বেশি মার্কিন সৈন্য আহত হন। হনুলুলু দ্বীপের পার্ল হারবারের ওপর জাপানের এই অতর্কিত আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহর গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পক্ষান্তরে জাপানী বাহিনীর ক্ষতি খুব কম: শুধু ৫টি ক্ষুদ্র ডুবোজাহাজ,২৯টি বিমান বিধ্বস্ত এবং এক শোরও কম সৈন্য নিহত হয় ।

    ৮ই ডিসেম্বর দুপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণদানের সময়ে বলেছেন , "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানী নৌবাহিনীর পরিকল্পিত অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছে । আমি মার্কিন কংগ্রেসকে এই কথা ঘোষনা করতে অনুরোধ করছি যে , জাপান অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান ইতিমধ্যেই যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে । "

    দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন

    ১৯৮৫ সালের ৭ ডিসেম্বর দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সংসদভবনে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে উদ্বোধন হয়। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ইতিহাসে এই প্রথম সাতটি দেশের প্রধানরা এক সঙ্গে বসে আঞ্চলিক সহযোগিতার ব্যাপারাদি নিয়ে আলোচনা চালান।

    সাত দেশের প্রধানরা পর পর শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেন। তাঁরা সর্বসম্মতিক্রমে ঘোষণা করেন, দক্ষিণ এশিয়ার সাত দেশের শীর্ষ নেতারা এই প্রথম এক সঙ্গে বসে আলাচনা চালিয়েছেন। এটা দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক তাত্পর্য-সম্পন্ন ঘটনা, তা আঞ্চলিক সহযোগিতা , পারস্পরিক আস্থা ও সমঝোতা ত্বরান্বিত করার অনুকূল। তাঁরা দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করেন যে, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা আশাব্যঞ্জক।

    দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতার সর্বপ্রথম, উদ্যোক্তা ছিলেন বাংলাদেশের মরহুম প্রেসিডেণ্ট জিয়াউর রহমান । তিনি ১৯৮০ সালের মে মাসে এই আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রস্তাব পেশ করেন এবং তাতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য ৬টি দেশ সম্মতি ও সাড়া দেয় ।

    নানচিংয়ে ভয়াবহ গণহত্যা ঘটনার স্মরণে নিউইয়র্কে সঙ্গীতানুষ্ঠান

    নানচিংয়ে ভয়াবহ গণহত্যা ঘটনার ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ১৯৯৭ সালের ৭ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে "নানচিং গণ হত্যায় শহিদদের স্মৃতি ফেডারেশন-সহ বিভিন্ন সং গঠনের উদ্যোগে " শান্তির জন্য গান" নামক এক সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজিত হয় । তাতে ৬০ বছর আগে নানচিংয়ে দখলদার জাপানী বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে নিহত তিন লক্ষ নিরীহ সাধারণ চীনা মানুষের কথা স্মরণ করা হয় এবং বিশ্ববাসীকে এই ইতিহাস ভুলে না যাওয়ার জন্য স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।

    এই সঙ্গীতের অনুষ্ঠানে তিন শো লোক মঞ্চে উঠে বিরাট সঙ্গীতের আসর পরিবেশন করেন। চীনের জাতীয় সঙ্গীত সমিতির 'আই ইউয়ে' সঙ্গীতদল এবং থাইপেই শহরের "ইউশেং সমবেত সঙ্গীত দল" প্রভৃতি সংস্থা আমন্ত্রণক্রমে যুক্তরাষ্ট্র-স্থ চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এবং প্রবাসী চীনাদের সঙ্গে একত্রে একই মঞ্চে অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। তাতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের চীনাদের শান্তি রক্ষা এবং যুদ্ধের বিরোধিতার অভিন্ন আকাঙ্খা ব্যক্ত করা হয়।