চীনের নিরস্ত্রীকরণ বিষযক রাষ্ট্রদূত হু সিয়াওতি ৫ ডিসেম্বর জেনিভায় উল্লেখ করেছেন , জৈব প্রযুক্তি ও জীবন-বিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশ এবং এর বিরাট প্রচ্ছন্নশক্তিএকদিকে মানবজাতির রোগ প্রতিরোধ ও সুস্বাস্থ্য উপভোগ করার জন্যে বিরাট অবদান রেখেছে , অন্য দিকে জিবাণু সন্ত্রাসের হুমকী প্রতিরোধ ও জীবাণু অস্ত্র তৈরীতে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনেরব্যবহার রোধ করার ব্যাপারে নতুন চ্যালেন্জ সৃষ্টিও করেছে ।
একই দিনে " জীবাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি"ভূক্ত দেশগুলোর ২০০৫ সালের বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময়ে হু সিয়াওতি বলেছেন , চুক্তিটির আওতায় বহুপাক্ষিক সামরিক নিয়ন্ত্রন চুক্তির ছাঁচে উপযুক্ত "বৈজ্ঞানিক আচরণের মানদন্ড" নিযে আলোচনা করা জৈব সামরিকসজ্জা নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্যে ইতিবাচক তাত্পর্যসম্পন্ন । তিনি মনে করেন যে , বিভিন্ন দেশের উচিত যার যার রাষ্ট্রীয় অবস্থা অনুযায়ী নিজের দেশের জীবাণু বিজ্ঞানীদের আচরন পরিচালনা করার মানদন্ড প্রণয়ন ও পরিপূর্ণ করা ।
রাষ্ট্রদূত হু বলেছেন , সার্বিকভাবে এবং সম্পূর্ণরূপে জীবাণু-অস্ত্র নিষিদ্ধ করা , এ ক্ষেত্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত বিকাশকে মানবজাতির সভ্যতা ও প্রগতির পরিসেবায় ব্যবহারকরা যেমন চুক্তিটির লক্ষ্যতেমনি চুক্তিটির সদস্যদেশগুলোর অকৃত্রিম ইচ্ছা ও অভিন্ন দায়িত্ব । চীন পক্ষ অব্যাহতভাবে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলাপ পরামর্শ ও সহযোগিতা জোরদার করবে এবং মিলিতভাবে লক্ষ্যটি বাস্তবায়নের জন্যে অক্লান্তপ্রয়াস চালাবে ।
|