** নবম এশিয় গেমস স্পোর্টমিটিং সমাপ্ত
১৯৮২ সালের ৩ ডিসেম্বর ১৫ দিন ব্যাপী নবম এশিয় গেমস নয়া দিল্লীতে সমাপ্ত হয়। চীনা ক্রীড়াবিদরা প্রতিযোগিতায় মোট ৬১টি স্বর্ণ পদক, ৫১টি রুপ্য পদক এবং ৪১টি ব্রোজ্ঞ পদক অর্জন করেন। আহেবার এশিয় গেমসে স্বর্ণ পদকের সংখ্যার দিক থেকে জাপান দল বরাবরই প্রথম ছিল, এই প্রথমবার চীন প্রথম হল। পুরুষ হাই জাম্নের প্রতিযোগিতায় বিশ্বের সবচেয়ে চমত্কার রেকর্ড সৃষ্টিকারী, চীনা ক্রীড়াবিদ জু চিয়ানহুয়াকে একমাত্র শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদের সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে ।
এশিয়ার ৩৩টি দেশ ও অঞ্চলের ৩৩০০জনেরও বেশি ক্রীড়াবিদ এবারকার ২২টি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং মোট ১৯৯টি স্বর্ণ পদক অর্জন করেন। প্রতিযোগিতায় মোট ১৬টি দল স্বর্ণ পদক অর্জন করে।
** পেইচিংয়ে প্রথম কিস্তির বেসরকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান অনুমোদিত
১৯৮৮ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথমদিকে পেইচিং শহরের প্রথম কিস্তির আটটি বেসরকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান তুংছেং এলাকার শিল্প ও বানিজ্য ব্যুরোর কাছ থেকে ব্যবসার লাইসেন্স পায় । এটা স্বাক্ষর বহন করে যে, এই ধরণের নতুন অর্থনৈতিক রূপ রাজধানীতে আবির্ভূত হতে শুরু করেছে এবং সরকারের স্বীকৃতি পেয়েছে ।
এই আটটি বেসরকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের "মালিক"-দের সবাই- ছিলেন স্বনির্বাহী পরিবারের লোক । এদের মধ্যে পেইচিং শহরের সাবেক "বিং থাং হু লু নামক চীনফলের মিষ্টি আচারের-রাজা ওয়েই সি ওয়াং ছাব্বিশজন লোককে ভাড়া করেছেন । ভাড়াটেদের মধ্যে একজন অধ্যাপক ও দু'জন ইঞ্জিনিয়ারও রয়েছেন । পঞ্চাশ বছর বয়স্ক চেন বাও লিংয়ের নিবন্ধিত পুঁজি পরিমাণ সাত লক্ষ আশি হাজার ইউয়ান রেনমিনপি । তিনি ছিলেন পেইচিংয়ের বিদেশী অতিথিদের অভ্যর্থনার যোগ্য প্রথম ব্যক্তি- মালিকানাধীন হোটেলের মালিক । আটটি বেসরকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরো রয়েছে খাদ্যদ্রব্য তৈরীর কারখানা , বিভাগীয় বিপণী , সাজ-সজ্জা ও নক্সা সংস্থা ইত্যাদি । কনিষ্ঠ বেসরকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের "মালিক" হলেন বিশ বছর বয়স্ক একজন মেয়ে । তার ভাড়াটে-শ্রমিকদের সবাই-বিকলাংগ এবং তারা সাজ-সজ্জা ও নকশার কাজে নিয়োজিত । তখন পেইচিং শহরে প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার স্ব-নির্বাহী পরিবার ছিলো ।
সংশ্লিষ্ট নিয়মবিধি অনুসারে যে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ভাড়াটেদের সংখ্যা আটজনের বেশী আর সম্পত্তি ব্যক্তিগত এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি "চীন গণ প্রজাতন্ত্রের বেসরকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত নিয়মবিধি" মেনে নেয় সে সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান বেসরকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য আবেদন জানাতে পারে ।
** বৌচোস-ঘালি জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচিত
বৌচোস-ঘালি জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব , মিসরের কূটনীতিবিদ । কাইরোতে তাঁর জন্ম হয়। ১৯৪৫ সালে তিনি কাইরো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে লেখাপড়া শেষ করে আবার ফ্রান্সের প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আইন বিভাগে লেখাপড়া করেন এবং ১৯৪৯ সালে তিনি ডক্টর ডিগ্রী অর্জন করেন। নিজের দেশে ফিরে তিনি কাইরো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের প্রধান আর আন্তর্জাতিক আই বিভাগের প্রফেসর নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি আবার মার্কিন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। ১৯৭৩ সালে রাজনৈতিক মহলে প্রবেশ করেন। ১৯৯১ সালের ৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী গৃহিত একটি প্রস্তাবে বৌচোস-ঘালি জাতিসংঘের ষষ্ঠ মহাসচিব পদে নিযুক্ত হন।
|