১৯৮৩ সালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে আয়োজিত সপ্তম জোটনিরপেক্ষ দেশ ও সরকারী প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনে বিভিন্ন পক্ষ জোটনিরপেক্ষ দেশের তথ্য মন্ত্রী সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । সম্মেলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল আরো ন্যায়সংগত , আরো কার্যকর "বিশ্বের সংবাদ ও প্রচারণের নতুন ব্যবস্থা" স্থাপন করা , দক্ষিণ দক্ষিণ দেশের ঐক্য জোরদার করা এবং যৌথভাবে সমৃদ্ধ হওয়া । জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সদস্য দেশ মনে করে , এই নতুন ব্যবস্থা স্থাপন বর্তমান আন্তর্জাতিক সংবাদ ও সম্প্রচারের ওপর উন্নত দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও অধিপত্যের "আভারসাম্যের" অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে । জোটনিরপেক্ষ দেশের তথ্য মন্ত্রী সম্মেলন একটি ফোরাম হিসেবে দক্ষিণ দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনার প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় দক্ষিণ দেশগুলোর স্বার্থ সুনিশ্চিত করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
১৯৮৪ সালে প্রথম জোটনিরপেক্ষ দেশের তথ্য মন্ত্রী সম্মেলন ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অনুষ্ঠিত হয় । এর পর তথ্য মন্ত্রীরা ১৯৮৭ , ১৯৯০ , ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালে জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে , কিউবার রাজধানী হাভানা , উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিংইয়াং ও নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় চারবার সম্মেলন আয়োজন করেন ।
আবুজায় অনুষ্ঠিত পঞ্চম জোটনিরপেক্ষ দেশের তথ্য মন্ত্রী সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা ৫টি বিষয় নিয়ে পরামর্শ করেছেন । এর মধ্যে রয়েছে : বিশ্বের সংবাদ ও প্রচারণ সম্পর্কে মতামত , বিশ্বের সংবাদ ও প্রচারণের নতুন ব্যবস্থা যাচাই করা , জোটনিরপেক্ষ দেশের সম্প্রচার সংস্থা , জোটনিরপেক্ষ দেশের সংবাদ সংস্থাগুলোর সংঘ এবং নিরপেক্ষ দেশের আন্তর্জাতিক তথ্য কেন্দ্রের নিয়ম ইত্যাদি । প্রতিনিধিরা উন্নয়নশীল দেশের প্রতি জোটনিরপেক্ষ দেশের সম্প্রচার সংস্থা এবং সংবাদ সংস্থাগুলোর সংঘের ভূমিকা জোরদার করা , নিরপেক্ষ দেশের আন্তর্জাতিক তথ্য কেন্দ্রের নির্মাণ দ্রুততর করার আহ্বান জানিয়েছে ।
গত শতাব্দির ৯০ দশকের শেষে বিশ্বের অর্থনীতির অবনতি ঘটে , এটি অধিকাংশ দক্ষিণ দেশের ওপর প্রভাব ফেলেছে । নিরপেক্ষ দেশের তথ্য মন্ত্রী সম্মেলনও বন্ধ হয়েছে । ৯ বছরের পর , ষষ্ঠ জোটনিরপেক্ষ দেশের তথ্য মন্ত্রী সম্মেলন চলতি মাসের ২১ থেকে ২২ তারিখ মালয়েসিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আয়োজিত হয়েছে ।
|