**১৯৮৭ সালের ২৪শে নভেম্বর চীনে বিদ্যুত্-চালিত কৃত্রিম হৃতপিণ্ড তৈরী
১৯৮৭ সালের নভেম্বর মাসে সাংহাইয়ের দ্বিতীয় চিকিত্সা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃত্রিম হৃতপিণ্ড গবেষণালয়ের লেক্চারার ছিয়েন খুনশি কৃত্রিম হৃতপিণ্ডের আকার ছোট করার ক্ষেত্রে গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেছেন । গবেষণার মাধ্যমে তিনি সত্যিকারভাবে মানুষের শরীরের ভেতরে সংযোজনযোগ্য ক্ষুদ্র আকারের কৃত্রিম হৃতপিণ্ড তৈরি করতে সমর্থ হন এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কৃত্রিম হৃতপিণ্ড প্রভৃতি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গবেষক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেন ।
সেই বছর ছিয়েন খুনশির বয়স ৪২ বছর । তিনি ১৯৬৮ সালে ফুতান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন, ১৯৮০ সালে ফেডারেল জার্মানির পশ্চিম বার্লিনের লিবারেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান এবং সেখানে ডক্টরেট ডিগ্রী পাওয়ার পর ১৯৮৩ সালে পূর্বনিরূপিত মেয়াদ শেষ হবার আগেই স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন । তিনি স্বদেশে কৃত্রিম হৃতপিণ্ড গবেষণায় ব্রেকথ্রু ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করার দৃঢ়সংকল্প গ্রহণ করেন । তাঁর ডিজাইন অনুযায়ী তৈরী বিদ্যুত্চালিত সহায়ক কৃত্রিম হৃতপিণ্ডের ওজন মাত্র ২৫০ গ্রাম , অর্থাত্ শুধু সত্যিকারের মানুষের হৃতপিণ্ডের অর্ধেক । তাঁর আবিষ্কৃত বিদ্যুত্চালিত কৃত্রিম হৃতপিণ্ডের ইঞ্জিনব্যবস্থাটির ওজন আগেকার ২০-৩০ কিলোগ্রাম থেকে কমে মাত্র কয়েক কিলোগ্রাম হয়েছে । কৃত্রিম হৃতপিণ্ডের আকার ছোট করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু অর্জিত হবার সংগে সংগে ছিয়েন খুনশি পর্যায়ক্রমে বিদ্যুত্চালিত হৃতপিণ্ডের নানা কঠিন সমস্যার সমাধান করেছেন, যেমন : এই হৃতপিণ্ডের রক্ত চয়ন, হৃতপিণ্ডের বায়ুরোধ ক্ষমতা স্পন্দনপ্রবাহ ইত্যাদি সমস্যা। এই সমস্যাগুলো এতোই কঠিন ছিল যে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এর আগে সমাধান করা হয় নি ।
ছিয়েন খুনশির গবেষণার সাফল্য আন্তর্জাতিক কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গবিদ্যা মহলে ব্যাপক মনোযোগ ও উচ্চপর্যায়ের মূল্যায়ন অর্জন করেছে । ১৯৮৭ সালের মে মাসে তাঁর একটি গবেষণাভিত্তিক নিবন্ধ নিউইয়র্কের কৃত্রিম অঙ্গ গবেষণা সমিতির ৩৩তম বার্ষিক অধিবেশনে প্রকাশিত হয়েছে, এবং অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীরা তাঁর এই নিবন্ধকে "কৃত্রিম হৃতপিণ্ড উন্নয়নের দিশার প্রতিনিধিত্বকারী" বলে প্রশংসা করেছেন । তিনি পর পর তিন বার আন্তর্জাতিক কৃত্রিম অঙ্গবিদ্যা সমিতির একাডেমিক অধিবেশনে গবেষণামূলক নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন **২৪শে নভেম্বর মার্কিন বাহিনী ফিলিপাইনের সুবিক ঘাঁটি থেকে সরে যায়
১৯৯২ সালের ২৪ নভেম্বর মার্কিন বাহিনী ফিলিপাইনের সুবিক নৌ ঘাঁটি থেকে সরে যায় । এতে ফিলিপাইনে মার্কিন বাহিনী এক শতাব্দীব্যাপী অস্তিত্বের অবসান ঘটে । একই সঙ্গে ১৫৭১ সালে স্পেইনের ওবৈনিবেশকদের দ্বারা ফিলিপাইন দখল করার পর, ফিলিপাইনে বিদেশী বাহিনীর নিরন্তর অবস্থানের ইতিহাস চিরকালের জন্যে গত হয়ে গেছে । এর আগে ৯৪ বছর ধরে সুবিক নৌ বাহিনীর ঘাঁটি মার্কিন বাহিনীর দখলে ছিল । সেই ঘাঁটি ছিল এশিয়ায় মার্কিন বাহিনীর বৃহত্তম নৌ ঘাঁটি ।
** চীনের জাপানী হামলা বিরোধী বীর জি হোংছাং নিহত
১৮৯৫ সালে জি হোংছাং হোনান প্রদেশের ফুকৌয়ে জন্মগ্রহণ করেন । ১৯২৯ সালে তিনি চীনের জাতীয় বিপ্লবী বাহিনীর দ্বিতীয় জোট বাহিনীর দশম আর্মীর কমান্ডার এবং নিংসিয়া প্রদেশের চেয়ারম্যান হন । ১৯৩১ সালের আগস্ট মাসে জি হোংছাং কুওমিনতাং পার্টির চেয়ারম্যান ছিয়াং কেইশেকের "কমিউনিস্ট পার্টিকে নির্মূল করার" সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করার কারণে বিদেশে চলে যেতে বাধ্য হন । ১৯৩২ সালে স্বদেশে ফিরে আসার পর তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন এবং তখন থেকে জাপানী হামলা বিরোধী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ।১৯৩৩ সালের ৯ নভেম্বর তিনি কুওমিনতাং পার্টির হাতে গ্রেফতার হন । ২৪ তারিখে ছিয়াং কেইশেকের সিদ্ধান্ত অনুসারে তাঁকে হত্যা করা হয় ।
|