v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-11-23 11:04:22    
কবি সু ছাই

cri
    কবি সু ছাই কুটনীতিক ছিলেন , একটি বানিজ্যিক কম্পানির পদস্থ কর্মচারীও ছিলেন , কিন্তু কবিতা রচনা পছন্দ করেন বলে তিনি এই সব কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করে পেশাদার কবি হয়েছেন । সু ছাইয়ের বয়স এখন চল্লিশ , তিনি বর্তমানে চীনের কবি মহলে বেশ তত্পর আছেন । তিনি পেইচিং বিদেশী ভাষা ইন্সটিটিউটে পড়াশুনার সময়ই কবিতা রচনা করতে শুরু করেন । তিনি বলেছেন , আমি মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় থেকেই কবিতা পড়তে পছন্দ করি এবং মনের অনুভুতি প্রকাশের জন্য কবিতা রচনার প্রয়াস করেছি । মাধ্যমিক স্কুলের পড়াশুনা শেষ করে তিনি পরীক্ষার মাধ্যমে পেইচিং বিদেশী ভাষা ইন্সটিটিউটে ভর্তি হন । জন্মস্থান থেকে রাজধানী পেইচিং আসার পর সু ছাইয়ের জীবনে পরিবর্তন এসেছে । রাজধানী পেইচিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক পরিবেশ সু ছাইয়ের কবিতা রচনার উপযোগী । তিনি তার সহপাঠীর সঙ্গে এক কবিতা রচনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন এবং 'থাই সি ' নামে এক কাব্য পত্রিকা প্রকাশ করেন । পত্রিকার নাম 'থাই সি ' ইংরাজী শব্দ test থেকে নেয়া হয়েছে । পেইচিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি চার বছর ছিলেন , এই চার বছর সু ছাইয়ের কবিতা রচনার পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ , এই সময় থেকে কবিতা রচনার প্রতি তার আগ্রহ দ্রুত বাড়ে এবং তিনি মনোযোগ সহকারে কবিতা লিখতে শুরু করেন ।

    ১৯৮৭ সালে সু ছাই পেইচিং বিদেশী ভাষা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে চীনের তত্কালীন বৈদেশিক অর্থনীতি ও বানিজ্য মন্ত্রনালয়ে কাজ করতে শুরু করেন । বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ফরাসী ভাষা শিখেছেন বলে ১৯৯০ সালে তিনি সেনেগালস্থ চীনা দুতাবাসে কাজ করার সুযোগ পান। দুতাবাসের একজন কুটনীতিক হিসেবে সু ছাই আফ্রিকায় চার বছর কাটিয়েছেন । বিদেশে এই চার বছর তার পরবর্তীকালের জীবন ও কবিতা রচনার প্রতি প্রভাব বিস্তার করেছে । সু ছাই বলেছেন , সাধারণ অধিবাসীর চোখে কুটনীতিবিদ রহস্যময় ব্যক্তি , তারা ইচ্ছামতো কথা বলতে পারেন না , শৃঙ্খলা অনুসারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো গোপন রাখতে হবে । আসলে আমার স্বভাব কুটনীতিক হওয়ার উপযোগী , আফ্রিকা মহাদেশে থাকার অভিজ্ঞতা আমি মূল্যবান মনে করি । কিন্তু আমি এই পদ ছেড়ে দিয়েছি , কেননা স্বাধীনতা কবির পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ , কবিতা রচনা আমার সবচেয়ে প্রিয় কাজ । আফ্রিকায় তিনি কাজ করার সংগে সঙ্গেকবিতা লিখেছেন , ১৯৯৪ সালে সু ছাই দেশে ফিরে আসেন , সেই বছর ' নিঃসঙ্গ ' নামে তার একটি কবিতা সংগ্রহ প্রকাশিত হয় , এই কবিতা সংগ্রহে তার দশ বছরে লেখা দেড় শ'টি কবিতা আছে । এই সব কবিতায় সু ছাই নিজের অনুভুতি প্রকাশ করেছেন । তিনি মনে করেন , কবিতা রচনা মানুষের অনুভুতি ও আবেগ প্রকাশের সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি । তাই তিনি একটার পর একটা কবিতা লিখছেন । সু ছাই এক আবেগময় ব্যক্তি , কিন্তু তিনি শুধু তার কবিতার মাধ্যমেই নিজের সুক্ষ্ম অনুভুতি প্রকাশ করেন ।

    আরো একাগ্রচিত্তে কবিতা রচনার জন্য ২০০০ সালে সু ছাই একটি বানিজ্যিক কম্পানির পদস্থ কর্মকর্তার পদ ছেড়ে দেন , তিনি চীনের সমাজ বিজ্ঞান একাডেমীর বিদেশী সাহিত্য গবেষনাগারে ভর্তি হন । সেখানে তিনি কবিতা রচনার সংগে সংগে বিদেশের কবিতাগুলো অনুবাদের কাজ করেন । তিনি পর পর ফ্রান্সের দুজন বিখ্যাত কবি রেনে ছার আর পিয়েরে রেভারদির কবিতা চীনা ভাষায় অনুবাদ করে , এই দুজন কবির কবিতা সংগ্রহ প্রকাশ করেছে । এই দুজন ফরাসী কবির কবিতা থেকে তিনি নিজের অনুভুতির মিল আবিষ্কার করেছেন । তিনি বলেছেন , ফরাসী ভাষা জানেন এমন লোক এখনো কম বলে ফ্রান্সের কবিতাগুলো চীনের কবিতা অনুরাগীদের উপভোগ করার সুযোগ কম , আমি ফ্রান্সের বিখ্যাত কবিতাগুলো চীনা ভাষায় অনুবাদ করতে আগ্রহী , তবে আমি শুধু আমার প্রিয় কবির রচনা অনুবাদ করি , কারণ এই সব কবিতা অনুবাদের মধ্য দিয়ে আমি আনন্দ পাই । তিনি কবিতা পছন্দ করেন এবং রচনা করার প্রয়াস চালান । লিখতে লিখতে আর থামতে পারেন না , তিনি কবিতা রচনার কাজে এতই ডুবে গিয়েছেন যে মাথায় কবিতা ছাড়া আর কিছুই নেই । তিনি বলেছেন , অন্য লোকের চোখে আমি বোকার মতো কাজ করছি , কিন্তু আমি আজ পর্যন্ত পরিতাপ করি না ।আমি খ্যাতি ও স্বার্থের জন্য কবিতা রচনা করি নি , আমার লেখা কবিতাগুলো পাঠকরা পছন্দ করবেন , এটাই আমার সবচেয়ে বড় আশা ।