v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-11-18 18:35:11    
হু চিন থাওঃ মুক্তমনে সহযোগিতার মাধ্যমে অভিন্ন বিজয় অর্জন করুন

cri
    ১৭ নভেম্বর চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে অনুষ্ঠিত এশিয়া ও প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা-- এপেকের শিল্প ও বানিজ্য মহলের শীর্ষসম্মেলনে ' মুক্তমনে সহযোগিতার মাধ্যমে অভিন্ন বিজয় অর্জন করুন ' নামে একটি ভাষণ দিয়েছেন । শিল্প ও বানিজ্য প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও বানিজ্যিক সম্পর্কের সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল বিকাশ তরান্বিত করার এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । এপেক সম্মেলন হচ্ছে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-বানিজ্যিক সহযোগিতা ফোরাম । নিয়ম অনুসারে এপেক সম্মেলন চলাকালে শিল্পপতি ও বানিজ্য মহলের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । সম্মেলনে এপেকের সদস্য দেশের নেতারা নিজ দেশের রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের নীতি ও প্রস্তাব ব্যাখ্যা করেন ।

    প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও তার ভাষণে প্রধানতঃ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়ন বাড়ানোর বিষয় নিয়ে চীনের মতাধিষ্ঠান ব্যাখ্যা করেছেন । তিনি বলেছেন , বর্তমানে চীনের উন্নয়ন আন্তর্জাতিক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ নতুন দৃষ্টি দিয়ে চীনকে পর্যবেক্ষণ করছে । একই সময় চীন নিজেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিন্তা করছে । এই সমস্যা হলো নিজ দেশের উন্নয়ন তরান্বিত করার মাধ্যমে অব্যাহতভাবে আঞ্চলিক ও বিশ্ব সমৃদ্ধির জন্য অবদান রাখা ।

    হু চিন থাও তার ভাষণে বলেছেন , সংস্কার অভিযান শুরু হওয়ার পর চীনের অর্থনীতি স্থিরগতিতে বিকশিত হচ্ছে , চীনের রাষ্ট্রীয় শক্তি ক্রমেই বাড়ছে , চীনের এক শ' ত্রিশ কোটি জনগণের জীবনযাত্রার মানও ক্রমেই উন্নত হচ্ছে । বাস্তব ঘটনা প্রমাণ করেছে যে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুধু চীনা জনগণের জন্যেই কল্যনকর নয় , পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জন্যেও অর্থবিনিয়োগের আরো বেশী সুযোগ ও বাজার সরবরাহ করেছে । চীন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল ও বিশ্ব অর্থনীতি প্রসারের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত হচ্ছে ।

    কিন্তু এই কথাও বলতে হবে যে , যদিও চীন অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথেষ্ট বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে , তবে চীন এখনও পৃথিবীর একটি বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ । তিনি বলেছেন , চীন মুক্তদ্বার নীতিতে অবিচল থাকবে , বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহযোগিতা চালানোর চেষ্টা করবে , অর্থবিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করে আর বাজার উন্মুক্ত করে পারস্পরিক কল্যানের ভিত্তিতে অভিন্ন বিজয় লাভের চেষ্টা করবে । বাস্তব ঘটনা প্রমাণ করেছে , চীনের উন্নয়ন অন্য দেশের উন্নয়নের বাধা ও হুমকি হয়ে দাড়াঁবে না , চীনের উন্নয়ন বিশ্বশান্তি , স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্যে কল্যানকর ।

    বর্তমানে শক্তিসম্পদ ও পরিবেশ সমস্যা উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাড়িঁয়েছে , বানিজ্য সংরক্ষনবাদের নতুন প্রকাশও দেখা দিয়েছে । বিশ্ব অর্থনীতি নানা অসুবিধা ও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে । শক্তি সম্পদ সমস্যা বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত । এ সম্পর্কে হু চিন থাও বলেছেন , বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বিশ্ব শক্তিসম্পদ বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা । বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীল প্রসারের জন্য একটি নিরাপদ ও পরিস্কার-পরিছন্ন শক্তিসম্পদ পরিবেশ সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন, এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সহযোগিতা বাড়াতে হবে ।

    বাণিজ্যের ভারসাম্যহীনতা সম্বন্ধে হু চিন থাও বলেছেন , চীন বৈদেশিক বাণিজ্যে বিপুল পরিমানে উদ্বৃত্তচায় না , অভ্যন্তরীন চাহিদা ও বাজার চীনের অর্থনীতির প্রসারের প্রধান চালিকা শক্তি । চীন আমদানি বাড়ানো ও মেধাস্বত্ব রক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববানিজ্যের স্থিতিশীল বৃদ্ধির জন্য অবদান রাখতে চায় ।