v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-11-16 16:34:25    
এপেকের "দুই চাকা"

cri
    সাধারণত বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অবাধকরণ ও সহজায়ন এবং আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকে এপেকের " দুই চাকা" বলে গণ্য করা হয়। এপেকের উন্নয়ন ও পরিবর্তন বরাবরই এ "দুই চাকার" সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্লিষ্ট।

    বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অবাধকরণ ও সহজায়ন হচ্ছে এপেকের দীর্ঘকালীন লক্ষ্য। এপেকের সদস্য দেশগুলোর অর্থনীতির উন্নয়নের মানের ক্ষেত্রে বিরাট ব্যবধান বিরাজ করে বলে অবাধকরণের লক্ষ্য বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপে এপেক দুই' সময়সূচী প্রণয়ন করেছে। তা হচ্ছে উন্নত সদস্য দেশগুলো ২০১০ সাল এবং উন্নয়নমুখী দেশগুলো ২০২০ সালে মুক্ত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাস্তবায়ন করবে।

    মোটের উপর ১৯৯৪ সালে মুক্ত বাণিজ্য ও বিনিয়োগের দীর্ঘকালীন লক্ষ্য নির্ধারিত হওয়ার পর থেকে, বাণিজ্যের অবাধকরণের ক্ষেত্রে এপেকের কাজকর্মে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তার তুলনায় এশিয়ার আর্থিক সংকট ইত্যাদি উপাদানের প্রভাবে বিনিয়োগের অবাধকরণ প্রক্রিয়া একটু ধীর হয়েছে। তাতে আগের মতো তথ্যের আদান-প্রদান ও নীতিগত সংলাপ প্রধান বলে ধার্য করা হয়।

    বিভিন্ন সদস্য দেশের মধ্যে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চালানো হচ্ছে এপেকের অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। ১৯৯৫ সালে জাপানের ওসাকায় আয়োজিত অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ-সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এপেকের অন্য একটি চাকা বলে নির্ধারিত হয়। সম্মেলনে এপেকের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার কার্যক্রম প্রণয়ন করা হয় এবং সহযোগিতার লক্ষ্য, মৌলিক নীতি, সহযোগিতার উপায় ও ১৩টি সহযোগিতার ক্ষেত্র নির্ধারিত হয়। তা হচ্ছে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে এপেকের সুনির্দিষ্ট ও গঠনমূলক গতি -প্রকতির একটি প্রতীক।

    এর পরের প্রায় দশ বছরে, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে এপেকের সদস্য দেশগুলোর আদান-প্রদান গভীরতর হচ্ছে। ২০০০ সালের পর সামর্থ্য গঠন এপেকের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার প্রধান উপায়ে পরিণত হয়। তার সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রযুক্তিগত সহযোগিতা থেকে বাণিজ্যের সহজায়ন, সমাজের নিশ্চয়তা, বিভিন্ন সদস্য দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্রাকারের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ইত্যাদি অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অব্যাহতভাবে সম্প্রসারিত হয়।

    এশিয়ায় আর্থিক সংকট ঘটার পর এপেকের বিভিন্ন সদস্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার গুরুত্ব প্রসঙ্গে আরো চমকপ্রদ ধারণা উপস্থাপন করেন। তারা অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এশিয়া আর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হিসেবে গ্রহণ করে। তারা আশা করে, সহযোগিতার মাধ্যমে সামর্থ্য গঠন জোরদার হবে এবং মধ্যবর্তী ও দীর্ঘমেয়াদী অথনীতির উন্নয়ন সুষ্ঠু ভিত্তি স্থাপন করবে। কিন্তু এ পর্যন্তই অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার উন্নয়ন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অবাধকরণের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতির প্রধান কারণ হলো: ১.কিছু উন্নত সদস্য দেশ অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রসঙ্গে নিষ্ক্রিয় মনোভাব পোষণ করে। ২. এপেকের সদস্যদের রকমারি সহযোগিতার জন্যে ভিত্তি স্থাপন করে, তবুও তাতে সহযোগিতায় বিঘ্ন সৃষ্টির উপাদান আছে। ৩. সহযোগিতায় একটি কার্যকর ব্যবস্থা নেই, সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় অর্থ, প্রযুক্তি ও কর্মকর্তার সমর্থনের অভাব। ৪. অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সম্পর্কে উন্নয়নমুখী সদস্য দেশগুলো এবং উন্নত সদস্য দেশগুলোর ধারণা একই রকম নয়।