মস্কোর উপকন্ঠে ভুগর্ভে কয়লা থেকে সৃষ্ট গ্যাস দিয়ে বিদ্যুত উত্পাদনের প্রথম কারখানা স্থাপিত
১৯৫৭ সালের ১৬ই নভেম্বর মস্কোর উপকন্ঠে ভুগর্ভে কয়লা থেকে সৃষ্ট গ্যাস দিয়ে বিদ্যুত উত্পাদনের প্রথম কারখানা স্থাপিত হয় ।
এই কারখানা বড় নয় ।কিন্তু তার ৪০ মিটার নীচে রয়েছে প্রশস্ত কয়লার স্তর । মজুত কয়লার পরিমান পাঁচ কোটি টন এবং তা ৭০ বছর ধরে ব্যবহার করা যায়। সেখানে জ্বলন্ত আগুনের তাপমাত্রা প্রায় এক হাজার ডিগ্রী সেলসিয়াস । প্রতিঘন্টায় ৪০ হাজার ঘন মিটার গ্যাস উত্পন্ন হয় ।
কারখানাটির প্রথম বিদ্যুত উত্পাদনকারী যন্ত্রপাতির উত্পাদন-ক্ষমতা ১২ হাজার কিলোওয়াট ।
চীনের বেসামরিক বিমান কম্পানির প্রথম যাত্রীবাহী বিমান লন্ডনের কাইটওয়েক বিমান বন্দরে অবতরন করে
১৯৮০ সালের ১৬ই নভেম্বর সকালে চীনের বেসামরিক বিমান কম্পানির প্রথম যাত্রীবাহী বিমান লন্ডনের কাইটওয়েক বিমান বন্দরে অবতরন করে ।
১৯৭৯ সালে চীন ও বৃটেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত বিমান পরিবহন চুক্তি অনুযায়ী পেইচিং- লন্ডন বিমান পথ খোলা হয়। নতুন বিমান পথ দুদেশের জনগণের বন্ধুত্বপুর্ণ আদান প্রদান ও দু দেশের সম্পর্কের উন্নয়নের অনুকুল ।
চীনের নারী ভলিবল দল প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
১৯৮১ সালের ১৬ নভেম্বর১১ দিনব্যাপী তৃতীয় বিশ্বকাপ নারী ভলিবল প্রতিযোগিতা জাপানের ওসাকা শহরের জিমনেসিয়ামে সমাপ্ত হয়। তাতে চীনের নারী ভলিবল দল প্রথম বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করে।
সেবারকার বিশ্ব কাপ নারী ভলিবল প্রতিযোগিতার শেষ খেলায় চীনের নারী ভলিবল দল তিন-দুই গেমে জাপান দলকে পরাজিত করে এবং এর ফলে চীন দল গোটা বিশ্ব কাপের মোট ৭টি খেলার প্রত্যেকটিতে জয় লাভ করে বিশ্ব কাপ প্রতিযোগিতায় শিরোপা অর্জন করে।
১৯৯৩ সালের ১৬ নভেম্বর চীনের প্রথম শিল্পকলা মেলা কুয়াংচৌয়ে উদ্বোধন
চীনের প্রথম শিল্পকলা মেলা দক্ষিণচীনের কুয়াংচৌয়ে ' চীনের রপ্তানী পণ্য মেলা ভবনের সামনে মহাসমারোহে উদ্বোধন হয়।
সংশ্লিষ্ট মহলের বিশেষজ্ঞদের মতে , এই শিল্পকলা মেলা হলো চীনের শিল্পকর্মের "কুয়াংচৌ পণ্য মেলা"। আগে চীনের শিল্পকলা মেলা শুধু রাষ্ট্রের অর্থ -বরাদ্দের ভিত্তিতে আয়োজিত হতো । সেবার থেকে শিল্পকলা সমিতি , চিত্রগ্যালারি এবং ব্যবসায়ীদের যৌথ উদ্যোগে এ-রকম মেলা আয়োজিত হচ্ছে। জানা গেছে , সেবারকার শিল্পকলা মেলা ছিলো চীনের প্রথম উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক মেলা আয়োজনের মাধ্যমে চীনের শিল্পকর্মকে আন্তর্জাতিক শিল্পকর্ম বাজারে সুপারিশ করার প্লাটফর্ম। তাতে প্রতীয়মান হয়েছে যে, বৃহত্ সংস্কৃতির দেশ হিসেবে চীনের সংস্কৃতির উন্নয়নের ধাঁচ পরিকল্পনা -ব্যবস্থা থেকে বাজার -ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হচ্ছে।
সেই মেলায় দেশ-বিদেশের ২০০টি সংস্থা অংশ নেয়। মেলায় ৪৫০টিরও বেশি প্রদর্শনি-ইউনিট বসানো ছিল এবং চীনের ৪ হাজারেরও বেশি চমত্কার ঐতিহ্যিক চিত্র, তৈল চিত্র, লিপিকলা-কর্ম, লোক চিত্রইত্যাদি শিল্পকর্ম , বইপুস্তক আর কারুশিল্প কর্ম দেখানো হয়। সেগুলোর মধ্যে ১০ শতাংশই ছিল যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ইত্যাদি দেশ এবং হংকং , ম্যাকাও আর তাইওয়ান অঞ্চলের প্রদর্শনি-ইউনিট।
|