v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-11-14 18:27:18    
তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা চীনের গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত হচ্ছে

cri
    চীনের শহরাঞ্চলে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে জ্ঞান ও তথ্য পেতে পারে, যেমন ইন্টার্নেট, টি.ভি বা সি.ডি'র সাহায্যে। কিন্তু চীনের কিছু দরিদ্র্য গ্রামাঞ্চলে অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া মুশকিল। এই অবস্থার পরিবর্তন সাধনের জন্য, দু'বছর আগে চীনের গ্রামাঞ্চলে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আমাদের সংবাদদাতা পূর্ব চীনের শানতুং প্রদেশের মোংইন জেলা গিয়ে এই প্রসংগে অনেকের সাক্ষাত্কার নিয়েছেন।

    ছাংলু উপজেলার কেন্দ্রীয় স্কুল হলো মোংইন জেলার একটি সাধারণ স্কুল। প্রায় ৬শ ছাত্রছাত্রী এখানে পড়াশোনা করে। সংবাদদাতা দেখেছেন ক্লাসরুম ও লাইব্রেরি ছাড়াও, স্কুলে মাল্টি-মিডিয়া রুম ও কম্পিউটার রুম আছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাং ফোং শিয়াং জানিয়েছেন স্কুলের তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর কোর্স গত বছর থেকে শুরু হয়েছে। তিনি বলেছেন:

    "তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর কোর্স মানে আমাদের মতে, টি.ভি ও ইন্টার্নেটের মাধ্যমে অন্য জায়গা ও বিদেশের কিছু অগ্রসর শিক্ষার ধারণা ও শিক্ষকের অভিজ্ঞতা শিখে নিজেদের শিক্ষার মান উন্নত করা।"

    তিনি বলেছেন, তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রণয়ন করার জন্য, মোংইন জেলার শিক্ষা বিভাগ কঠোর প্রয়াসে কম্পিউটার, টি.ভি, ডি.ভি.ডি ও উপগ্রহ টেলিভিশন রিসেপ্টর ইত্যাদি সংগ্রহ করেছে। সারা জেলার ২৪০টি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক-স্কুলে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর কোর্স প্রণয়ন করেছে।

    প্রধান শিক্ষক জাং ফোং শিয়াং বলেছেন, শিক্ষকরা এখন কোর্সের প্রস্তুতি নেয়ার সময়ে টি.ভি. শিক্ষা অনুষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে অথবা ইন্টার্নেটে পেইচিং ও শাংহাই শহরের বিখ্যাত শিক্ষকের অভিজ্ঞতা শিখতে পারে। এভাবে তাদের নিজেদের শিক্ষার মান অনেক উন্নত হয়েছে।

    মাল্টি-মিডিয়া রুমে এসে কম্পিউটার ও বড় একটি পর্দা এবং টি.ভি. ভিডিও মেশিন ও ডি.ভি.ডি. দেখা যায়। এখানে শিক্ষকরা ইন্টার্নেট ডিউনলোড করা ছবি ও বিভিন্ন তথ্যগুলো স্ক্রিনের মাধ্যমে ছাত্রদের দেখাতে পারেন। এতে ক্লাসে রঙিন ছবি ও ধ্বনির মাধ্যমে দরিদ্র্য গ্রামাঞ্চলের শিশুরা সরাসরি তাদের গ্রামের বাইরের বিশ্ব সম্বন্ধে জানতে পারে।

    কম্পিউটার রুমে সংবাদদাতা দেখেছেন, বহু ছাত্রছাত্রী কম্পিউটারের সামনে বসে বসে কোর্স শিখছে। দশ বছর বয়সের ছাত্রী লি শুয়ে সংবাদদাতাকে বলেছে, সে কম্পিউটার কোর্স খুব পছন্দ করে। সে এখন ভালোভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারে।

    "আমি টাইপিং শিখেছি। এম.এস.ওয়ার্ডে আমি টাইপ করতে পারি। মাঝে মাঝে কম্পিউটারে ছবি আঁকি, পোস্ট কার্ডও তৈরী করতে পারি।"

    শিক্ষক চৌ চুয়েন শিয়াং সংবাদদাতাকে বলেছেন, তিন সেশনে ছাত্ররা কম্পিউটার কোর্স শুরু হয়, প্রতি টার্ম কোম্পিউটার কোর্স প্রায় ৩০ ঘন্টা । এক বছর শেখার পর ছাত্ররা অনেক কিছু শিখেছে।

    "বিভিন্ন সেশনের ছাত্রদের কম্পিউটারের মান বিভিন্ন। যেমন তিন সেশনের ছাত্ররা কম্পিউটারে সুন্দর সুন্দর ই-কার্ড তৈরী করতে পারে। পাঁচ ও ছয় সেশনের ছাত্ররা নিজেদের ক্লাসের পরিক্ষার ফল এক্সেলের মাধ্যমে প্রিন্ট করতে পারে। তাছাড়া, অনেক ছাত্রছাত্রী নিজেদের লেখা প্রবন্ধ কম্পিউটারে টাইপ করে ই-মেলের মাধ্যমে বার্তা সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে। অনেকের প্রবন্ধ কাগজে ছাপানো হয়েছে।

    বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা পরিকল্পনা মোংইন জেলায় দ্রুতভাবে প্রচলতি হচ্ছে। মোংইন জেলার শিক্ষা বিভাগের পরিচালক জাংকুয়াংপাও বলেছেন, এই পরিকল্পনায় স্থানীয় শিক্ষা সম্পদের অভাবের সমস্যা সমাধান করা যায়।তিনি বলেছেন,

    "আমরা তিন বা পাঁচ বছরের মধ্যে মোংইন জেলায় তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করব। মানে প্রতি স্কুলে, প্রতি ক্লাসে ইন্টার্নেট সম্পদ ব্যবহার করা যাবে। তাতে আমাদের গ্রামাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসরুমে বসে বসে সারা দেশ ও বিশ্বের অগ্রসর শিক্ষা সম্পদ ও হাই-টেক শিক্ষা পদ্ধতি উপভোগ করতে পারবে।