v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-11-11 15:25:51    
আরাফাতের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী

cri
 গত বছরের ১১ নভেম্বর ফিলিস্তিনের নেতা ইয়াসের আরাফাত মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনের নতুন নেতৃমন্ডলী আরাফাতের অসম্পন্ন ইচ্ছা নিয়ে ফিলিস্তিনের জাতীয় স্বাধীনতা এবং মুক্তি অর্জনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বিপুল প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন।

 আরাফাতের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী ঘনিয়ে আসার বিশেষ সময়ে ফিলিস্তিনের মুক্তি ব্রতের এই প্রয়াত নেতাকে স্মরণ করার পরিবেশ গোটা ফিলিস্তিনে ছড়িয়ে আছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে আরাফাতের স্মৃতিরক্ষা সংক্রান্ত এক জাতীয় কমিটি গঠন করেছে , নানা আলোচনা সভা আয়োজন করেছে এবং ১১ তারিখে আরাফাতের নতুন সমাধি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। জানা গেছে, আরাফাতের নতুন সমাধি জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের শহর রামাল্লায় প্রেসিডেন্ট ভবনের প্রাঙ্গনে অবস্থিত । প্রেসিডেন্ট ভবনের গেটে দাড়ালে স্পষ্টভাবে দেখা যায় ফুল এবং আরাফাতের ছবি দিয়ে সাজানো কবরটি।

 ফিলিস্তিন জাতীয় ক্ষমতা সংস্থার পরিকল্পনা অনুযায়ী, পুনর্গঠনের পর আরাফাতের কবরের উচ্চতা হবে ১২মিটার । কবরের পাশে একটি ১৯ মিটার উচু জেরুজালেম পাথর দিয়ে তৈরি স্মৃতি সৌধ থাকবে, ০.৬ হেক্টর আয়তনের একটি বাগান থাকবে কবরের চার পাশে। ফিলিস্তিনের জনৈক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কবরের নিকটে একটি যাদুঘর এবং একটি মসজিদ নির্মিত হবে। যাদুঘরে আরাফাতের পিস্তল এবং কীর্তি ও নিত্য-ব্যবহার্য্য দ্রব্যাদি প্রদর্শিত হবে।

 আরাফাতের মৃত্যুর এক বছরে ফিলিস্তিনের নতুন নেতৃমন্ডলী নানান কঠিন অবস্থা অতিক্রম করে শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার একটি বছর কাটিয়েছেন। এই বছরের জানুয়ারী মাসে আব্বাস ফিলিস্তিন জাতীয় ক্ষমতা সংস্থার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর ইস্রাইলের বিরুদ্ধে রণনীতি পুনর্বিন্যস্ত করেছেন, নানান বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করে অভ্যন্তরের রাজনীতি ও নিরাপত্তার সংস্কার কার্যকরী করেছেন, পুনর্বার শান্তি প্রযুক্তি শুরু করা এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য শর্ত সৃষ্টি করেছেন। আব্বাস আলোচনা এবং সংলাপের মাধ্যমে বিভিন্ন সশস্ত্র দলকে রাজনৈতিক দলায়ন ত্বরান্বিত করেন, যাতে তারা ফিরিস্তিনের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় মিশে যেতে পারে। আব্বাস ভালো করে জানেন যে, চার বছরের সহিংস সংঘর্ষ দমন করার পর শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে ফিলিস্তিনের একমাত্র বাছাই। বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন আর সুযোগ হারাতে পারে না।

 এই বছরের গ্রীষ্মকালে ইস্রাইল গাজা অঞ্চলে প্রায় চল্লিশ বছরের সামরিক দখল অবসান করেছে। ফিলিস্তিনীদের হাতে ইস্রাইলের দখলকৃত ভূমি ফিরে আসায়, জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর, গাজা অঞ্চল এবং পূর্ব জেরুজালেমে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের দিকে তাঁরা আরেকটি পদক্ষেপ এগিয়েছেন। কিন্তু ইস্রাইল প্রত্যাহার ফিলিস্তিনীদের মনে আবার যে শান্তির আলো জ্বালিয়েছিল, তা দ্রুতই আবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্য ভেঙ্গে গেছে। ইস্রাইল গাজা অঞ্চল থেকে সরে যাওয়ার কারণে আর কর্তৃপক্ষ ফলপ্রসূভাবে চরমপন্থী সংস্থার ওপর আঘাত হানতে পারে না এই ওজুহাত কাজে লাগিয়ে শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়া আর শুরু করতে চায় না। যদিও মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার প্রধান মধ্যস্থতাকারীদেশ যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিন-ইস্রাইল বিরোধে মধ্যস্থতার মাত্রা জোরদার করেছে , তবু ইস্রাইল গাজা অঞ্চল থেকে প্রত্যাহার করার পর রোড ম্যাপ পরিকল্পনা পুনরায় শুরু করার বাস্তব ব্যবস্থা নিতে চায় না। তা ছাড়া, ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সশস্ত্র সংস্থা ইস্রাইলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম বন্ধ করতে অস্বীকার করেছে , তারা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের পুণর্বিন্যাস গ্রহণ করে না, ফলে আব্বাসের সংস্কার পরিকল্পনা নানা বাধাবিঘ্নের শিকার হয়েছে। আরাফাতের মৃত্যুর পর, ফিলিস্তিন সুষ্ঠুভাবে নেতৃমন্ডলীর রূপান্তর সম্পন্ন করেছে। ফিলিস্তিনের মুক্তি ব্রত নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে।