v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-11-10 15:26:36    
এপেক

cri

 

    এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা (এপেক) প্রতিষ্ঠার আগে একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ফোরাম ও আলোচনা সংস্থা ছিল। বারো-তেরো বছরের উন্নয়নের ধারায় তা ক্রমে ক্রমে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সহযোগিতা ফোরামে পরিণত হয়েছে। আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য ও পুঁজি বিনিয়োগ ত্বরান্বিতকরণ এবং সদস্যদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অপরিহার্য ভুমিকা পালন করে আসছে।

    ২০ শতাব্দীর ৮০'র দশকে স্নায়ু যুদ্ধ শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি প্রশমিত হয়ে উঠেছে। সারা বিশ্বে অর্থনীতির বিশ্বায়ন, বাণিজ্য ও পুঁজি বিনিয়োগের অবাধকরণ আর আঞ্চলিকায়ন প্রধান প্রবণতা হয়েছে। ইউরোপীয় অর্থনীতির একায়ন দ্রুততর হওয়া, উত্তর আমেরিকান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের মৌলিক কাঠামো গড়ে ওঠা এবং বিশ্বের অর্থনীতিতে এশিয়ার অনুপাত স্পষ্টভাবে বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি প্রেক্ষাপটে, ১৯৮৯ সালের জানুয়ারী মাসে অষ্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হক এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠান এবং পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার বিষয়ক আলোচনার প্রস্তাব উথ্থাপন করেন। এই উদ্যোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান ও আসিয়ানের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে।

    ১৯৮৯ সালের ৬ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত, এপেকের প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন অষ্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত হয়। এটি এপেকের প্রতিষ্ঠার প্রতীক। ১৯৯১ সালের নভেম্বর মাসে, এপেকের তৃতীয় মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন আয়োজিত হয় দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে। 'সেবার সিউল ঘোষণা' গৃহীত হয়েছে। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সংস্থা পারস্পরিক নির্ভরশীলতা, অভিন্ন স্বার্থ, বহু পাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থায় অবিচল থাকা ও আঞ্চলিক বাণিজ্যের বিধি-নিষেধ কমানোর লক্ষ্য স্থির করেছে। এপেকের অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলন, মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সম্মেলন, কমিটি সম্মেলন ও বিশেষ ব্যাপারাদি নিয়ে কর্মগ্রুপ, সচিবালয় ইত্যাদি পর্যায়ে বিভক্ত হয়েছে।

    ১৯৯১ সালের নভেম্বর মাসে, চীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে, চীনের তাইওয়ান ও হংকং(১৯৯৭ সালের ১ জুলাই থেকে 'চীনের হংকং' নামে পরিবর্তিত) আঞ্চলিক অর্থনীতি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এপেকে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত এপেকের মোট সদস্য ২১টি; মোট জনসংখ্যা ২.৫ বিলিয়ন, অর্থাত্ বিশ্বের লোকসংখ্যার ৪৫ শতাংশ; জি.ডি.পি ১৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাত্ বিশ্বের ৫৫ শতাংশ; বাণিজ্যের পরিমান বিশ্বের ৪৭ শতাংশে'রও বেশী। এপেক বিশ্বের অর্থনৈতিক অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

    এর সদস্য অর্থনীতিগুলো হচ্ছে: অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, কানাডা, চিলি, চীন, চীনের হংকং, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, পেরু, ফিলিপাইন, রাশিয়া, সিংগাপুর, চীনের তাইপেই, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভিয়েতনাম।