**ফিলিপাইনে ঘূর্নিঝড়ে ৫ হাজারাধিক নিহত
১৯৯১ সালের ১০ নভেম্বর ফিলিপাইন সরকারের ত্রাণবিভাগের রিপোর্টে বলা হয় যে, মধ্য-ফিলিপাইনে ঘুর্ণিঝড়ে ৫৩৬৫জন প্রাণ হারিয়েছেন ।
স্থায়ী ত্রান সমন্বয় কমিটি বলেছে , ঝড়ে কমপক্ষে ২০৪৬জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং হতাহতের সংখ্যা ৭০০০ ছাড়িয়ে যাবে ।
১৯৯১ সালের ৫ নভেম্বরও ফিলিপাইনের লেইতে প্রদেশে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে কয়েক লক্ষ বসতবাড়ি ধ্বংস হয় এবং হতাহতের মোট সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১০ লক্ষে। সেবারকার করালগ্রাসী ঝড়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা ৫০ বছরের মধ্যে খুবই বিরল ।
** ফ্রান্স আর লিবিয়া চাদ থেকে প্রত্যাহ্যার সম্পন্ন করে
১৯৮৪ সালের ১০ নভেম্বর ফ্রান্স আর লিবিয়া একই সময়ে দু'দেশের রাজধানীতে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে যে , ১৭ সেপ্টেম্বর দু'দেশ " চাদ থেকে প্রত্যাহার সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করার পর, ২৫ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া প্রত্যাহার অভিযান ১০ নভেম্বর সম্পন্ন হয়েছে । ফ্রান্স আন্তর্জাতিক বেতারের অনুষ্ঠানে ফ্রান্স চাদ থেকে প্রত্যাহারসম্পর্কে ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার করে ।
তিনি বলেন, "ফ্রান্স আর লিবিয়া সরে যাবার পর চাদে কোনো বিদেশী বাহিনী থাকবে না , এটা খুব ভাল ।" তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রত্যাহারের পর আরো দু'টি বিষয় আছে । প্রথমত: ফ্রান্স আর লিবিয়ার সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে । এর আগের কয়েক বছরে ফ্রান্স আর লিবিয়া রাজনীতি, অর্থনীতি আর সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে লিয়াজোঁ করার সুবাদে মিলিত প্রত্যাহার সম্পন্ন হবার পর দু'পক্ষের সম্পর্ক আরো উন্নত হবে । তিনি আশা করেন ভবিষ্যতে দু'দেশ আরো উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ করতে পাবে । দ্বিতীয়ত:চাদ সমস্যা।সেদিন থেকে চাদের জনগণ নিজেরাই নিজেদের বিষয়াদি পরিচালনা করবেন । কিন্তু বর্তমানে চাদে বিরোধী দল রয়েছে বলে আফ্রিকার অন্য দেশের সাহায্যে জাতীয় সমঝোতা বাস্তবায়িত হবে ।
** নতুন শক্তি গেমস্ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় উদ্বোধন
১৯৬৩ সালের ১০ নভেম্বর প্রথম নতুন শক্তি চালিত গেমস্ জাকার্তায় উদ্বোধন হয় । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুকর্নো ভাষণ দেন । ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী মারাদি বলেন " আজকের স্টেডিয়ামে এক লক্ষের বেশী দর্শক এবং বাইরে আরো এক লক্ষ দর্শক আছে । তাঁরা ১০কোটি ইন্দোনেশীয় জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের ৫১টি দেশ ও অঞ্চল থেকে আসা ২৭০০জনেরও বেশী খেলোয়াড়কে আন্তরিক স্বাগত জানান ।
** রাশিয়ার মহান লেখক তলস্তয়ের মৃত্যু
লিও তলস্তয় (১৮২৮-১৯১০)রাশিয়ার কিংবদন্তী লেখক, সংস্কারক এবং চিন্তাবিদ । তাঁর সারাজীবনে তিনি অনেক উপন্যাস ও গল্প লিখেছেন । এগুলোর মধ্যে খুব বিখ্যাত দুটি উপন্যাস হচ্ছে "যুদ্ধ আর শান্তি" এবং "আন্না কারেনিনা" । তলস্তয়ের জীবনযাত্রা খুব অসাধারণ ,এর জন্যে তাঁর উপন্যাসের বর্ণনাও খুব চমত্কার। ১৯১০ সালের ১০ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন ।
|