v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-11-08 16:46:01    
প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের ইউরোপ ও এশিয়া সফর শুরু

cri
    চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও আমন্ত্রণক্রমে যুক্তরাজ্য, জার্মানী, স্পেন এবং দক্ষিণ কোরিয়া এই চারটি দেশে রাষ্ট্রীয় সফর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বুশানে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (এপেক) ১৩তম অনানুষ্ঠানিক শীর্ষসম্মেলনে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে ৮ নভেম্বর পেইচিং ত্যাগ করেছেন। সফর ১২ দিন চলবে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি চাও শিং বলেছেন, এবারকার সফর চীন আর উল্লেখিত চারটি দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরো উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে এবং এপেকের অগ্রগতির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে এর সুদূরপ্রসারী তাত্পর্য আছে।

    যুক্তরাজ্য, জার্মানী, স্পেন এবং দক্ষিণ কোরিয়া সবই বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশ, এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়াদিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী দেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন আর এই চারটি দেশের সম্পর্ক নিরন্তরভাবে বিকশিত হয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা দিন দিন সুসংবদ্ধ এবং গভীরতর হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একটি সংবাদ সম্মেলনে লি চাও শিং এবারকার প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের এবারকার সফরের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের চার দেশীয় রাষ্ট্রীয় সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা বাড়ানো, মতৈক্য সম্প্রসারণ করা, সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা আর মৈত্রী জোরদার করা। সফরকালে তিনি চার দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করবেন, ব্যাপকভাবে বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, মিলিতভাবে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা উন্নয়নের পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন, সর্বমুখী দ্বিপাক্ষিক বিনিময় ত্বরান্বিত করবেন। প্রেসিডেন্ট হু বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভাষণ দেবেন, চীনের অনুসৃত শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথ এবং সংশ্লিষ্ট নীতি ব্যাখ্যা করবেন।

    ২০০৪ সালে চীন-যুক্তরাজ্য সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দ্রুতই উন্নয়নের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে। দু'দেশের নেতাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং আদান-প্রদান বজায় রয়েছে। দু'পক্ষের নির্ধারিত বাণিজ্য এবং পূঁজিবিনিয়োগ , অর্থ, শক্তিসম্পদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি , পরিবেশ সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন এই ছয়টি ক্ষেত্রে সহযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে নতুন অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের সফর হচ্ছে গত ছয় বছরে যুক্তরাজ্যে চীনের কোনো শীর্ষ নেতার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।

    জার্মানী হচ্ছে ইউরোপের প্রথম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য-দেশ, এবং পৃথিবীর তৃতীয় শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ। চীন ও জার্মানীর সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলেছে। দু'দেশের নেতাদের পারস্পরিক সফর বিনিময় ঘন ঘন হচ্ছে, পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা নিরন্তরভাবে বাড়ছে, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা অব্যাহতভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। গত বছরে দু'দেশের বাণিজ্য মূল্য ৫৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। দু'পক্ষ পরস্পরের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। কিছু দিন আগে জার্মানীতে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, চীন ও জার্মানীর সম্পর্ক উন্নয়নের এক নতুন যুগের সন্ধিক্ষণে রয়েছে ।

    চীন ও স্পেনের সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে বিকশিত হচ্ছে। দু'পক্ষের বহু পর্যায়েআর বহু ক্ষেত্রের আদান-প্রদান এবং সহযোগিতা দু'দেশের জনগণের জন্য বাস্তব উপকার বয়ে এনেছে। লি চাও শিং বিশ্বাস করেন, প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের সফর দু'দেশের সম্পর্ক আরো উন্নত করবে , তা আরো পরিপক্ক, স্থিতিশীল, সুষ্ঠু উন্নয়নের নতুন যুগে প্রবেশ করবে।

    দক্ষিণ কোরিয়া হচ্ছে চীনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ এবং সহযোগিতার অংশীদার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সার্বিক সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক দ্রুতই বিকশিত হয়েছে। চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া পরস্পরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও পূজিঁবিনিয়োগ অংশীদার। দু'পক্ষ কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং জাতিসংঘের সংস্কার প্রভৃতি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদিতে যোগাযোগ এবং সহযোগিতা করে । প্রেসিডেন্ট হু'র সফর হচ্ছে গত দশ বছরে চীনের কোন রাষ্ট্র নেতার প্রথম দক্ষিণ কোরিয়া সফর, এবং বর্তমান কোরিয় উপদ্বীপের পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের এক গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক তত্পরতা।

    এই বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে অব্যাহত প্রবৃদ্ধির প্রবণতা বজায় রয়েছে, আঞ্চলিক সহযোগিতা নিরন্তরভাবে গভীর হচ্ছে। এপেক হচ্ছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী আঞ্চলিক সংস্থা। চীন আশা করে, এপেক মুক্ত ও সুবিধাজনক বাণিজ্য ও পুজিঁবিনিয়োগ আর অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এই দুটি প্রধান বিষয় নিয়ে সহযোগিতা গভীরতর করবে।