** জাতিসংঘ ইউয়ান লোংপিংকে বিজ্ঞান পুরস্কার দেয়
১৯৮৭ সালের ৩ নভেম্বর জাতিসংঘের ইউনেস্কো চীনের বিশেষজ্ঞ ইউয়ান লোংপিংকে ১৯৮৭ সালের বিজ্ঞান পুরস্কার দেয় ,যাতে সংকর জাতের চাল গবেষণা ক্ষেত্রে তাঁর চমত্কার সাফল্য প্রশংসা করা যায় ।
ইউয়ান লোংপিং হলেন হুনান প্রদেশের কৃষি বিজ্ঞান একেডামীর বিশেষজ্ঞ,হুনান প্রদেশের সংকর জাতের চাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক । দীর্ঘকালে তিনি সংকর জাতের চালের গবেষণা করেন । তাঁর নেতৃত্বাধীন গবেষণা গ্রুপ ধারাবাহিক চমত্কার সংকর জাতের চালের উদ্ভবনে গবেষণা করেন এবং কৃষি উত্পাদনে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয় । এতে বিরাট অর্থনৈতিক সাফল্য পাওয়া যায় ।
ইউয়ান লোংপিংয়ের উদ্ভাবিত সংকর জাতের চাল যুক্তরাষ্ট্র,জাপান, ভারত,পাকিস্তান,ইন্দোনেশিয়ায় চাষ করার পর ভাল ফলন পাওয়া গেছে ।
** মাও ইশেং যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৌশল পরিষদের বিদেশী সদস্য পুরস্কার পান
১৯৮২ সালের ৩ নভেম্বর চীনের বিখ্যাত সেতু বিশেষজ্ঞ, চীনের বিজ্ঞান পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাও ইশেং যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৌশল পরিষদের ১৮তম বার্ষিক সম্মেলনে বিদেশী সদস্য পুরস্কার পান । ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৌশল পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয় , প্রকৌশল ক্ষেত্রে এটি সর্বোচ্চ মার্কিনএকাডেমিক সংস্থা, সেখানে ১০৯৯জন স্বদেশী সদস্য আর ৯৭জন বিদেশী সদস্য রয়েছে ।
৮৬ বছর বয়সী ডঃ মাও ইশেং হলেন বিদেশী সদস্য পুরস্কার পাওয়ার প্রথম চীনা বিশেষজ্ঞ ।
**ক্লিন্টন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
১৯৯২ সালের ৩ নভেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয় । ডেমোক্র্যাটিক পদপ্রার্থী উইলিয়াম জেফরসন ক্লিন্টন অন্যান্য প্রতিযোগীদের হারিয়ে বিজয়ী হন এবং ৪২তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেন ।
১৯৪৬ সালের ১৯ আগস্ট ক্লিন্টন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের আর্কানসাস রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন । ছোটবেলা থেকে তাঁর পরিবার খুব গরীব, তাঁর জন্মের ৪ মাস আগে ,ক্লিন্টনের পিতা গাড়ী দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান । বিদ্যালয়ে লেখাপড়াকালে ক্লিন্টনের লেখা খুবই চমত্কার ছিল , ১৯৬৮ সালে তিনি জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী পান এবং বৃটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো দু বছর লেখাপাড়া করেন । স্বদেশের ফিরে আসার পর, তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয় লেখাপড়া করেন এবং ১৯৭৩ সালে আইন বিষয়ক ডিগ্রী পান । তারপর তিনি আর্কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজে কাজ করেন এবং একজন আইনজীবীতে পরিণত হন ।
১৯৭৮ সালের ৩২ বছর বয়সী ক্লিন্টন আর্কানসাস রাজ্যের গভর্নর নির্বাচিত হন ,তখনকার যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কমবয়সী গভর্নরে পরিণত হন ।১৯৮০ সালে গভর্নর নির্বাচনে তিনি ব্যর্থ হন, কিন্তু ১৯৮২ সালে তিনি আর্কানসাস রাজ্যের গভর্নর নির্বাচিত হন । তাছাড়া ক্লিন্টন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র কমিটি আর আন্তর্জাতিক তৃপাক্ষিক কমিটির সদস্য । ১৯৯১ সালের ৩ অক্টোবর, ক্লিন্টন আনুষ্ঠানিকভাবে ডেকোক্র্যাটিক ৱ পার্টির প্রেসিডেন্টের পদপ্রার্থ হন ।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি " যুক্তরাষ্ট্র সংবর্ধিত করা" স্লোগান দাখিল করেন ।
ক্লিন্টনের স্ত্রী হিলারি হলেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী , তাঁর পরিবার খুব ধনী । সেবারকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ক্লিন্টনকে বিরাট সাহায্য করেন । তাঁদের এক মেয়ে রয়েছে ।
|