v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-11-02 14:55:33    
হারিরিকে হত্যার ঘটনা ও তার ওপর আন্তর্জাতিক তদন্ত

cri
    হারিরি আরবের বিখ্যাত ফিনান্সার। ১৯৯২ সালের অক্টোবর তিনি প্রথম বারের মতো লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯৫ সালে তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০২ সালের অক্টোবর ৫৬ বছর বয়সী হারিরি তৃতীয় বারের মতো লেবানন সরকার গঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর হারিরি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করেন।

    গত ১৪ ফেব্রুয়ারী, লেবাননের রাজধানী বেইরুতে হারিরির বিরুদ্ধে গাড়ি বোমা হামলা ঘটে, তাতে হারিরি-সহ ২১জন নিহত হন। একই দিন লেবানন সরকার মন্ত্রী সভার জরুরি অধিবেশন অনুষ্ঠান করেছে। এই অধিবেশনে হারিরিকে হত্যার ঘটনা তদন্তের জন্য একটি আইনগত তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    আন্তর্জাতিক সমাজ হারিরিকে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে। লেবাননের সিরিয়া- বিরোধী দল এবং কয়েকটি পশ্চিমা দেশ সিরিয়া ও সিরিয়া ঘেঁষা লেবানন সরকারই হারিরিকে হত্যার ঘটনার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেন এবং তারা হামলার ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত করার অনুরোধ জানায়।

    গত ১৫ ফেব্রুয়ারী জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মহাসচিব কফি আনানের প্রতি এই ঘটনা তদন্ত করার দাবি জানায়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী আনান আয়ার্ল্যান্ডের  পুলিশ ব্যুরোর উপ-পরিচালকের নেতৃত্বাধীন তদন্ত দলকে বেইরুতে তদন্ত করতে পাঠান। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী দেশ-বিদেশের চাপের কারণে প্রধানমন্ত্রী কামিল্লার নেতৃত্বাধীন লেবানন সরকার যৌথভাবে পদত্যাগ করে। গত মার্চের শেষ দিকে এই তদন্ত দল নিরাপত্তা পরিষদের কাছে দাখিল করা একটি রিপোর্টে বলে যে, লেবানন সরকার গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ঘটনার তদন্তকরে নি। সেইজন্য এই দল স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত করার প্রস্তাব পেশ করে।

    গত ৭ এপ্রিল নিরাপত্তা পরিষদে ১৫৯৫ নম্বর প্রস্তাব গৃহীত হয়। তাতে এই ঘটন পুরোপুরিভাবে তদন্ত করার জন্য স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত মার্চ মাসের শেষ দিকে জার্মানির প্রধান অভিশংসকের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি লেবাননে পৌঁছে এবং গত ১৬ জুনে ব্যাপকভাবে কাজ শুরু করে।

    গত ২০ অক্টোবর আন্তর্জাতিক কমিটি জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে প্রথম রিপোর্ট দাখিল করে। এই রিপোর্টে বলা হয় যে, লেবানন ও সিরিয়ার কয়েকজন উচ্চ কর্মকর্তা হারিরিকে হত্যার ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু সিরিয়া ও লেবানন এই রিপোর্ট গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং এই রিপোর্ট মোটেই সত্য নয় বলে মনে করে।

    গত ৩১ অক্টোবর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে ১৬৩৬ নম্বর প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এই প্রস্তাবে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে এই ঘটনার তদন্তে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়। এ আহ্বানের মধ্যে রয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সিরিয়ার কর্মকর্তাকে গ্রেফতার এবং তার তদন্ত করা। এই প্রস্তাব অনুযায়ী আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটির মেয়াদ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হবে।