অনেকেই হয়তো বলবেন, "গম" কি করে স্বাস্থ্য বিষয়ক আসরের বিষয়বস্তু হয়? এতো মূল্যবান বিষয় থাকতে এটি কোনো? এই প্রশ্নের উত্তরে এই জানা বিষয় সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য দেওয়া হবে।
গত হচ্ছে গ্রামিনী পরিবারভুক্ত একটি প্রধান খাদ্যশস্য। গমের মাঝে রয়েছে প্রাটিন, শরকরা, ম্যাকারিন, চর্বি, সেলুলোজ, লেসিথিন, এমাইলেজ, ভিটামিন-বি ইত্যাদি হৃত্পিন্ড এবং মনের স্বস্থতা গম বিশেষ উপকারী। শারীরিক দুর্বলতাহেতু ঘাম বেশী হলে এবং কোঁড়া আর দুষ্ট ব্রণ তথা টিউমারের সমস্যায়ত্ত গম উপকারী বলে চীনা ঐতিহ্যিক চিকিত্সা ব্যবস্থায় মনে করা হয়েছে।
ডাক্তারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, পুরনো গম চর্ম রোগ উপশমে সহায়ক।
১. এ ক্ষেত্রে এক বছর বা তারো বেশি পুরনো এক কেজি তিন কেজি পানিতে তিন দিন চুবিয়ে রাখার পর সেই গম পিষে এই পানিতে মেশাবেন। তারপর ছেঁকে পানিটুকু ফেলে দিন। এখন জমে থাকা তলানিতে সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে বাম বা অয়েন্টমেন্টের মতো তৈরী করে।
২. মুখের ফোড়া জাতীয় জিনিস, অন্যান্য ফোঁড়া এবং দুষ্ট ব্রন সারাতে এই বাম ব্যবহার করা যেতে পারে। দুর্বলতাহেতু ঘাম বেশি হলে পানিতে ভাসে এমন পরিমাণ মতো গম নিয়ে শুকনো কড়াইতে বাদামী রঙ ধারণকরা পর্যন্ত ভাজবেন। তারপর তা পিষে গুচো করবেন এবং দিনে দু/তিনবার সেদ্ধ পানির সাথে ১০ গ্রাম গুড়ো মিশিয়ে খাবেন।
৩. মৃগী রোগ বা ইংরেজীতে হিস্টিরিয়া হরে ৩০ গ্রাম গমশস্য নিয়ে তার সাথে ১০ গ্রাম যষ্টিমধু এবং পাঁচটি লাল খেজুর পানিতে দিয়ে সেদ্ধ করে রোগীকে একসঙ্গে একবারেই খেতে দিন। দিনে একবার সেবনযোগ্য।
৪. অনিদ্রা প্রতিরোধেও গমের কার্যকর ভূমিকা আছে। সে ক্ষেত্রে ৬০ গ্রাম গমশস্যের সাথে ২৫টি লাল খেজুর ১৫ গ্রাম যষ্টিমধু নিয়ে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার পানিতে মিশিয়ে অল্প আঁচে এমনভাবে সেদ্ধ করুন, যাতে পুরো মিশ্রণটির পরিমাণ ২৫০ মিলিলিটার অর্থাত্ এক পোয়ালিটারে কমে আসেন। এখন পুরো মিশ্রণটি সমান দু'ভাগে করে সকালে আর সন্ধ্যায় একবার করে খাবেন।
|