v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-11-01 14:13:53    
বানর রাজা সুন উখোং (১৪)

cri
    উখোং মেঘে চড়ে দক্ষিণ সাগরে বোধিসত্ব কুয়ান ইনের সাহায্য নিতে গেলো । তিনি জানালেন , ঐ দানব দেবরাজের সেনাপতি ছিলো । রাজামাতার কাঁচের বাসন বেঙেছিলো । বলে তাকে ঐ নদিতে নির্বাসিত করা হয় । ও ভারি পাজি । খুবই গোলমাল করে । প্রায় নদির পাড়ের লোকজন ধরে ধরে খায় । আমি তাকে পরামর্শ দিলাম বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করতে । বলেছিলাম , ধর্মগ্রস্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তির্থযাত্রির জন্য অপেক্ষা করতে ।

    শিষ্য মোক্ষকে ডেকে দেবি তার হাতে একটা লাল লাউ দিলেন । কি করতে হবে বলে দিলেন সে কথাও । মোক্ষ উখোং-এর সঙ্গে মেঘে চড়ে এলো বালিস্রোত নদির পারে ।

    মোক্ষ এসে ডাক দিলো , ওহে উচিং উঠে এসো । বৌদ্ধশাস্ত্র সংগ্রহকারি তির্থযাত্রি এখানে আছেন । এবার তাঁর শিষ্য হও । তোমার অভিশপ্ত নির্বাসিত জিবনের অবসান হবে । তুমি মুক্তি পাবে এবার শাস্তির কবল থেকে ।

    দানব নদির মধ্যে পালিয়ে বসেছিলো । সেখান থেকেই শুনতে পেলো কে যেনো তাকে ডাকছে । মনে হলো দেবির কন্ঠ । আর তো থাকা যায়না । সুতরাং দেবির ডাক শুনে দানব উঠে এলো । মোক্ষ-এর নির্দেশ মতো আচার্যকে প্রণাম করলো দানব । উখোং এবং চু পাচিয়ের সঙ্গে দানবের পরিচয় করিয়ে দিলো মোক্ষ । দানব উচিং চু-কে দেখিয়ে বললো , ওর সঙ্গে দুদিন যুদ্ধ হয়েছে কিন্তু একবারও সে বলেনি তির্থ যাত্রার কথা । বলেনি বৌদ্ধশাস্ত্রগ্রন্থ সংগ্রহের কথা । আর উখোং-কে দেখিয়ে বললো , ও এতো ভয়ঙ্কর যে একসঙ্গে তির্থযাত্রায় পথ চলতে আমার ভয় লাগবে । মোক্ষ অভয় দিলো । উচিং-এর ভয় কেটে গেলো । চুকে গেলো বিবাদ ।

    দানব আচার্যের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তাঁর সঙ্গে বৌদ্ধশাস্ত্র গ্রন্থ সংগ্রহ যাওয়ার ইচ্ছে নিবেদন করলো । দানব হলো আচার্যের তৃতিয় শিষ্য । আচার্য তার নাম দিলেন , ভিক্ষু শা । সে তখন গলা লাউ কঙ্কালের খুলির মালা নদিতে ফেলে দিয়ে জপমালা পরলো । মোক্ষ বোধিসত্বের দেয়া তার মধ্যে থেকে এলো এক নৌকা । মোক্ষ আচার্য ও তার শিষ্যরা ঐ নোকায় উঠলেন । উত্তাল ঢেউ-এর ওঠা নামা সত্বেও নৌকা খুব শাস্তভাবে এগিয়ে যেতে লাগলো ওপারের দিকে ।

    কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশাল নদির ওপারে পৌঁছে গেলো সবাই । মোক্ষ লাউ নিয়ে ফিরে দক্ষিণ সাগরে গেলো । আচার্য এবং তাঁর তিন শিষ্য মোক্ষকে দিদায় জানিয়ে আবার পা বাড়ালেন পশ্চিম দেশের পথে । বৌদ্ধশাস্ত্র সংগ্রহ না করা পর্যন্ত চলবে তাঁদের যাত্রা । পথ যতোই কঠিন এবং ভয়ানক হোক , এগিয়েই যাবেন আচার্য সুয়ান চুয়াং ।

    থাং সন্যাসি সুয়অন চুয়াং এবং তাঁর তিন শিষ্য পশ্চিমদেশের পথে যেতে যেতে এক উঁচু পাহাড়ে উঠলেন । সেই পাহাড়ের অনেক চূড়া এবং জায়গাটা খুবই মনোরম । বন বনানিতে পরিপূর্ণ । আচার্য বলে উঠলেন আহ , কি চমত্কার জায়গা ।

    সামনেই এক উঁচু দালান দেখে সবাই সে দিকে অগ্রসর হলো । পথেই চোখে পড়লো এক প্রস্তর ফলকে লেখা "পরমায়ু পর্বত: পাঁচ গ্রামের মন্দির" । আচার্য বললেন এটা তাওদের মন্দির ।

    সকলকে নিয়ে আচার্য যখন মন্দিরে প্রবেশ করলেন তখন দুইজন তরুন তাও সন্যাসি এসে অভিবাদন জানালেন । তাদের নাম পবিত্র পবন এবং উজ্জ্বল চন্দ্র ।

    আচার্য তাঁদের গুরুর কথা জানতে চাইলেন । তরুন সন্যাসিরা জানালেন , তাঁদের গুরু গেছেন অমর চেন ইউয়ান স্বর্গের মিলুও প্রাসাদে । সেখানে তাঁর নিমন্ত্রণ

আছে । তবে যাবার আগে তিনি আপনাদের কথা বলে গেছেন । তাও সন্যাসিরা আচার্যকে ঘরে চা নিয়ে এসে আপ্যায়ন করলো ।