জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনান ২৭ অক্টোবর ইরাকে "তেলের বিনিময়ে খাদ্য" কর্মসূচিতে দুর্নীতির ঘটনা সংক্রান্ত তদন্তের চুড়ান্ত রিপোর্ট নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। এই বিবৃতিতে তিনি আশা করেন যে, সংশ্লিষ্ট দেশ নিজ নিজের আইন-বিধি অনুযায়ী রিপোর্টে উল্লেখিত আইন ভঙ্গকারী তৈল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়ানো যায়।
এই বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, জাতিসংঘের পরিচালনা কার্যালয়ের ব্যাপক সংস্কার খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সদস্য দেশের আর্থিক অডিট ও তত্ত্বাবধান জোরদার, উদঘাটনকারী রক্ষা করা- সহ ধারাবাহিক সংস্কার ব্যবস্থাকে সমর্থন করবে বলে তিনি আশা করেন। এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে কফি আনান "তেলের বিনিময়ে খাদ্য"কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় ভালো পরিচালনা করেন নি বলে ধারণা করে যেতে পারে।
একই দিন ভোরে "তেলের বিনিময়ে খাদ্য" কর্মসূচির দুর্নীতি ঘটনা বিষয়ক স্বাধীন তদন্ত কমিটি কফি আনানের কাছে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, পরিকল্পনায় অংশগ্রহণকারী ৪হাজার ৫০০টি কোম্পানির মধ্যে ৬০টিরও বেশি দেশের ২হাজার ২০০টিরও বেশি কোম্পানি সাদ্দাম হোসেনের প্রশাসনকে ঘুষ দিয়েছে অথবা কমিশন দিয়েছে, যার পরিমাণ ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
|