** ১৯৬৪ সালের ২৯ অক্টোবর চীন ও জাম্বিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত
জাম্বিয়ার পুরোনাম জাম্বিয়া প্রজাতন্ত্র। আফ্রিকার দক্ষিণ-মধ্যাংশের এক অন্তঃদেশীয় দেশ। আয়তন ৭ লক্ষ ৫২ হাজার ৬২৪ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১ কোটি ১২ লাখ (২০০২ সাল)। অধিকাংশই হচ্ছে বানতু জাতির নিগ্রো, তা ছাড়া আরো আছে বেম্বা, তোঙ্গা প্রভৃতি ৭৩টি সম্প্রদায়। সরকারী ভাষা ইংরেজী, সম্প্রদায়ের ভাষা আছে ৩১টি। অধিকাংশ গ্রামবাসী আদিম ধর্মাবলম্বী। সারা দেশের প্রায় শতকরা ৩০ ভাগ লোক প্রটেস্ট্যান্ট খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী অথবা ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী, তা ছাড়া আরো আছে হিন্দী ধর্ম এবং ইসলাম ধর্ম। রাজধানী লুসাকা । জাম্বিয়ার খনিজ সম্পদ প্রচুর বলে "ব্রোঞ্জ রাষ্ট্র" নামে পরিচিত। বনাঞ্চলের আয়তন প্রায় ভূভাগের অর্ধেক। জাম্বিয়ার খনি শিল্প অপেক্ষাকৃত উন্নত এবং তার জাতীয় অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। তার প্রধান কৃষিজ দ্রব্য হচ্ছে ভুট্টা, চীনা বাদাম, তুলা , তামাক, আখ এবং শাকশব্জি ইত্যাদি। ১৯৬৪ সালের ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষিত হয়। ১৯৭৩ সালের আগস্ট মাসে নতুন সংবিধান গৃহীত হয়ে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৪ সালের ২৯ অক্টোবর চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।
** ১৯৯১ সালের ২৯ অক্টোবর শিয়ে জুন আন্তর্জাতিক নারী দাবার চ্যাম্পিয়ন হন
২০ বছর বয়স্ক চীনের নারী দাবাড়ু শিয়ে জুন ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন প্রতিযোগিতায় ১৫টি খেলার পর তিন বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সোভিয়েট ইউনিয়নের দাবাড়ুকে পরাজিত করে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন ।
** ১৯৫৬ সালের ২৯ অক্টোবর সুয়েজ খাল যুদ্ধ ঘটে
১৯৫৬ সালের ২৯ অক্টোবর ইস্রাইলী বাহিনী মিসরে অনুপ্রবেশ করে , সুয়েজ খাল যুদ্ধ অর্থাত্ দ্বিতীয় মধ্য প্রাচ্য যুদ্ধ ঘটে।
সুয়েজ খাল হচ্ছে ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকা এই তিনটি মহাদেশকে সংযোজন করার গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন লাইন, তার গুরুত্বপূর্ণ রণনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মূল্য আছে। মিসরের জনগণ রক্ত , ঘাম ও প্রাণ দিয়ে খালটি নির্মাণ করেছেন , কিন্তু যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের খাল কোম্পানি তা অধিকার করে নিয়েছে। সুয়েজ খাল কোম্পানি প্রত্যেক বছর বিপুল পরিমাণের মুনাফা অর্জন করে , এতে মিসরের ভিতরে একটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ১৯৫২ সালে জুলাই মাসের বিপ্লবে বিজয়ের পর মিসরের জনগণ ব্রিটিশ বাহিনী খাল অঞ্চল দখল করার বিরোধিতা করা এবং খালের সার্বভৌমত্ব অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম চালিয়েছে। ১৯৫৬ সালের ২৯ অক্টোবর ইস্রাইলী বাহিনীর দশটি ব্রিগেড চার দিক থেকে সিনাই উপদ্বীপে অনুপ্রবেশ করে খালের কাছে আক্রমণ করে। মিসরের বাহিনী ধৈর্যশীল প্রতি-আক্রমণ করেছে। ১৯৫৭ সালের ৮ মার্চ ইস্রাইল সিনাই উপদ্বীপ থেকে প্রত্যাহার করে। মিসর সুয়েজ খালের সার্বভৌমত্ব অর্জনের সংগ্রামে বিজয় লাভ করেছে।
** ১৯৫৮ সালের ২৯ অক্টোবর সোভিয়েত ইউনিয়নের লেখক বোরিস লেওনিদোভিচ পাস্তেরনাকসুইডেনের বিজ্ঞান একাডেমিকে জানিয়েছেন , তিনি নোবেল সাহিত্য পুরস্কারপরিত্যাগ করেন। উল্লেখ্য যে, একই বছরের ২৩ অক্টোবর সুইডেনের বিজ্ঞান একাডেমি পাস্টেতাকের উপন্যাস "ডক্টর জিভাগোকে" নোবেল সাহিত্য পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করে ।
** ১৯৬২ সালের ২৯ অক্টোবর জাতিসংঘের তত্কালীন মহাসচিব উ থান্টের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্র কিউবার বিরুদ্ধে নৌ অভিযান বাতিল করেছে।
|