ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ "ইসরাইলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার" যে আহবান জানিয়েছেন, তাতে আন্তর্জাতিক সমাজ ২৭ অক্টোবর পর পর বিস্ময় ও নিন্দা প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনান একইদিন একটি বিবৃতিতে মাহমুদ আহমাদিনেজাদের বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলের জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর উপযুক্ত মর্যাদাও দায়িত্ব ভোগ করারা অধিকার আছে। যাবতীয় সদস্য দেশ জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষর করার সময়ে অন্য সদস্য দেশের প্রতি হুমকি সৃষ্টি বা বলপ্রয়োগ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী শ্যারণ আর উপ-প্রধানমন্ত্রী শিমোন পেরেস একইদিন জাতিসংঘের উদ্দেশ্যে ইরানকে এই সংস্থা থেকে বহিস্কার করার আহবান জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিন সরকার আহমেদিনেজাদের উপরোক্ত বক্তব্যের প্রবল নিন্দা করেছে। ফিলিস্তিনের প্রধান আলোচনা প্রতিনিধি সায়েব এরেকাত বলেছেন, ফিলিস্তিন ইসরাইলকে স্বীকার করেছে এবং ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইরানের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।
২৭ অক্টোবর বৃটেনে অনুষ্ঠিত ই ইউ'র অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনে ২৫টি সদস্য দেশের নেতারা যথাক্রমে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন যে, তারা মনে করেন, ইরানের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য সংগত নয়। তা মধ্যপ্রাচ্যঅঞ্চলে ইরানের ভূমিকার প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজের সংশয় সৃষ্টি করবে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদ ২৬ অক্টোবর বলেছেন, ইসরাইলের প্রতিষ্ঠা হচ্ছে ইসলামি বিশ্বের প্রতি আন্তর্জাতিক আধিপত্যবাদী শক্তির এক ধরণের বৈরিতা। তাই ইসরাইলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে হবে।
|