জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় একটি রূদ্ধদ্বার সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও ফ্রান্সের উত্থাপিত সিরিয়াকে শাস্তি দেওয়া সংক্রান্ত প্রস্তাবের খসড়া নিয়ে আলোচনা করেছে। কিন্তু খসড়ার বিষয়ে মতৈক্য অর্জিত হয় নি। লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হারিরিকে হত্যার ব্যাপার সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে এই তিনদেশ খসড়াটি উত্থাপন করেছে।
জানা গেছে, রাশিয়া, আলজেরিয়া, চীন ইত্যাদি দেশ আলোচনায় নিজেদের ভিন্নমত পোষণ করেছে।
জাতিসংঘস্থ চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ওয়াং কুয়াংইয়া চীনা ভাষার সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন, এই খসড়া হারিরিকে হত্যার ব্যাপারকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার আশংকা আছে।এটি প্রহণ করতে চীন, রাশিয়া ও আলজেরিয়া ইত্যাদি দেশের জন্য মুশকিল হবে।
অর্গনাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স ২৬ অক্টোবর একটি বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের উদ্দেশ্যে হারিরিকে হত্যার ব্যাপারে আর্ন্তজাতিক তদন্তের প্রাথমিক ফলাফলের ওপর সর্বোচ্চ সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে মধ্য-প্রাচ্য অঞ্চলের পরিস্থিতির ওপর কুপ্রভাব ফেলতে না পারে। এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, মুসলিম বিশ্ব বরাবরই যে কোনো দেশের ওপর শাস্তি দেওয়ার বিরোধিতা করে আসছে। কারণ যে দেশের ওপর শাস্তি দেয়, প্রথমত সে দেশের জনগণ ও তাঁদের মৌলিক স্বার্থের ক্ষতি হয়।
একই দিন, আরব লীগের চেয়ারম্যান দেশ আলজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এই বিবৃতিতে নিরাপত্তা পরিষদের উদ্দেশ্যে আরব দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার ভিত্তিতে এই ব্যাপার মোকাবিলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
|