v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-10-26 15:51:50    
সাদ্দাম হোসেন ও অন্য ৭ জন সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা

cri
    পরিকল্পনা অনুসারে ইরাকের বিশেষ আদালতে ১৯ অক্টোবর বাগদাদের গ্রিনজোনে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ও অন্য ৭ জন সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিচার শুরু হয়েছে। আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে ১৯৮২ সালে বাগদাদের উত্তরাঞ্চলের শিয়া বসতি এলাকা দুজাইল গ্রামে গণহত্যা চালানোর মতো মানবতা লংঘনের অপরাধ সাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই গণহত্যায় ১৪৩ জন নিহত হন।

এক নম্বর বিবাদী: ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন

    ৬৮ বছর বয়সী সাদ্দাম ১৯৭৩ সালে ইরাকের মধ্যাঞ্চলের সালাউদিন প্রদেশের তিক্রিত শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮ বছর বয়সে সাদ্দাম রাজনৈতিক তত্পরতায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। ২০ বছর বয়সে তিনি আরব বাথ পার্টিতে যোগ দেন এবং ধীরে ধীরে এই পার্টির নেতৃ-পর্যায়ে প্রবেশ করেন। ১৯৬৮ সালে সাদ্দাম ইরাকের বিপ্লবী পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানপদে নিযুক্ত হন এবং ইরাকের দ্বিতীয় সুনির্দিষ্ট ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিতে পরিণত হন। ১৯৭৯ সালে সাদ্দাম ইরাকের প্রেসিডেন্ট হন। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি ইরাকের বিপ্লবী পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রী এবং আরব বাথ পার্টির আঞ্চলিক নেতৃমণ্ডলীর সাধারণ সম্পাদক ইত্যাদি পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি পার্টি, রাজনীতি ও বাহিনীর ক্ষমতা অর্জন করেন।

    আগে যুক্তরাষ্ট্র ছিল সাদ্দাম প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। গত শতাব্দীর ৮০'র দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরাককে ব্যাপক অস্ত্রশস্ত্র ও অর্থনৈতিক সাহায্য সরবরাহ করে। কিন্তু ১৯৯০ সালে সাদ্দাম কুয়েতে অনুপ্রবেশ করে উপসাগরীয় যুদ্ধ সৃষ্টি করার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী ইরাকী বাহিনীকে কুয়েত থেকে তাড়িয়ে দেয়। ২০০৩ সালে সাদ্দাম জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব কার্যকরী করতে অস্বীকার করেন এবং কথিত গণ-বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরী ও গোপন করেন বলে যুক্তরাষ্ট্র তার অজুহাতে ইরাক যুদ্ধ বাঁধায়। এই যুদ্ধে একই বছরের এপ্রিল মাসে সাদ্দাম প্রশাসন উত্খাত হয়। ওই বছর ডিসেম্বর মাসে সাদ্দামের জন্মস্থান তিকরিতে মার্কিন বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে। এ পর্যন্ত সাদ্দাম বন্দী রয়েছেন।

    দু'নম্বর বিবাদী: ইরাকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট তাহা ইয়াসিন রামাদান

    রামাদানের বর্তমান বয়স ৬৭ বছর। তিনি ১৯৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। গত শতাব্দীর ৫০-এর দশকে তিনি ইরাকের আরব বাথ পার্টিতে যোগ দেয়ার পর সাদ্দামের সঙ্গে পরিচিত হন। আস্তে আস্তে তিনি সাদ্দাম প্রশাসনের নেতৃ-পর্যায়ে কট্টর-পন্থি ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হন। রামাদান সাদ্দাম প্রশাসনে শিল্পমন্ত্রীসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত ছিলেন। ২০০৩ সালের আগষ্ট মাসে তিনি ইরাকের উত্তরাঞ্চলের মোসুল শহরে গ্রেফতার হন।

    তিন নম্বর বিবাদী: সাদ্দামের আত্মীয়, প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা বারজান ইব্রাহিম আল-তিকরিতি।

    চার নম্বরবিবাদী: সাদ্দাম প্রশাসনের বিপ্লবী আদালতের পরিচালক, প্রধান বিচারপতি আওয়াদ হামেদ আল-বানদার।

    অন্য চার জন বিবাদী হচ্ছেন ইরাকের আরব বাথ পার্টির দুজায়ল গ্রামের কর্মকর্তা।

    তারা হচ্ছেন যথাক্রমে আবদুল্লাহ কাজেম রুয়াইত , আলি দাঙ্গম আলি, মোহামেদ আজাভি আলি এবং মিজহার আবদুল্লাহ রাভেদ । দুজায়েল গ্রামের গণহত্যা চালিয়েছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।