১৮৮৯ সালের ২৬ অক্টোবর ভূতত্ত্ববিদ লি সিকুয়াং'র জন্ম
১৮৮৯ সালের ২৬ অক্টোবর লি সিকুয়াং মধ্যচীনের হুপেই প্রদেশের হুয়াংকাং জেলার গ্রামাঞ্চলের এক গরীব পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। লি সিকুয়াং চীনের শক্তিসম্পদ, ভূমিকম্প, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশক প্রস্তাব ও মতামত প্রকাশ করে চীনের ভূতত্ত্ব কর্মের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছেন। তিনি প্রাচীন জীববিদ্যা, চতুর্থ 'যুগের' হিমবাহ সংক্রান্ত ভূতত্ত্ব এবং ভূতাত্ত্বিক বলবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। আগে অনেকের ধারণা ছিল : 'চীনের তেলসম্পদ খুবই কম'-- লি সিকুয়াং এই ভুল ধারণা ভেঙে দিয়ে চীনা জনগণের জন্য বিরাট তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করেছেন। এটা তাঁর আর একটি বিরাট অবদান।
এক দীর্ঘ কাল পর্যন্ত চীনা আর বিদেশী ভূতত্ত্ববিদরা বরাবরই মনে করতেন , ' চীন তেলসম্পদে দরিদ্র ' । কিন্তু লি সিকুয়াং এই ধারণার সঙ্গে একমত হন নি। তাঁর নেতৃত্বে জরীপ ,অনুসন্ধান আর গবেষণা চালানোর ফলে পর্যায়ক্রমে তাছিং তেলক্ষেত্র, তাকাং তেলক্ষেত্র, শেংলি তেলক্ষেত্র,হুয়াপেই তেলক্ষেত্র ইত্যাদি আবিষ্কৃত করা হয় । চীনের ভূতত্ত্ববিদ্যার উন্নয়নে লি সিকুয়াং অবিনশ্বর অবদান রেখেছেন।
১৮৬৩ সালের ২৬ অক্টোবর আধুনিক ফুটবলের জন্মদিবস
১৮৬৩ সালের ২৬ অক্টোবর ব্রিটেনের ফুটবল সমিতি লণ্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ফুটবল খেলার প্রথম নিয়মাবলী প্রণয়ন করা হয়, তাতে আধুনিক ফুটবলের জন্ম ঘোষিত হয়। পরে এই দিনকেই আধুনিক ফুটবলের জন্মদিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।
ফুটবল খেলার উন্নয়নের প্রয়োজনে ১৯০৪ সালের ২১ মে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নেদারল্যাণ্ড, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যাণ্ড প্রভৃতি দেশের উদ্যোগে প্যারিসে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়( যার সদরদফতর স্থাপিত হয় সুইজারল্যাণ্ডের জুরিখ শহরে)।
বিশ্বে দু রকম বড় ফুটবল প্রতিযোগিতা চালু রয়েছে । তার একটি হলো: বিশ্ব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ অর্থাত্ বিশ্ব কাপ প্রতিযোগিতা যা আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের উদ্যোগে প্রতি চার বছর একবার করে অনুষ্ঠিত হয়। এটাই সবচেয়ে উচ্চ মানের এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিশ্ব ফুটবল প্রতিযোগিতা। অন্য একটি হলো অলিম্পিক গেমসের ফুটবল প্রতিযোগিতা। যুব ফুটবল খেলোয়াড় প্রশিক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি দু বছর একবার করে বিশ্ব যুব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে এবং ১৯৮১ সাল থেকে বিশ্ব জুনিয়র (কিশোর ) ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ আয়োজন করেছে । বিভিন্ন মহাদেশের ফুটবল ফেডারেশনও বহু ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হবার পর তার সদস্য সংখ্যা বেড়ে শতাধিক দেশ বা অঞ্চল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ফেডারেশন হলো আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির বৃহত্তম একক ক্রীড়া সংস্থা।
১৯৫৫ সালের ২৬ অক্টোবর অস্ট্রিয়ার স্থায়ী নিরপেক্ষতা ঘোষিত হয়
১৯৪৫ সালে অস্ট্রিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম পরাজিত দেশ হিসেবে সোভিয়েট ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স --এই চার দেশের দ্বারা আলাদা আলাদাভাবে দখল করা হয়। ১৯৫৫ সালের ১৫ মে এই চার দেশ আর অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ভিয়েনায় ' স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক অস্ট্রিয়া রাষ্ট্রের পুনর্গঠন সংক্রান্ত চুক্তি' স্বাক্ষর করে, তাতে অস্ট্রিয়ার স্বাধীনতা পুনরায় ধার্য করা হয় এবং যুদ্ধোত্তর সমস্যা সম্পর্কে কতকগুলো নিয়ম নির্ধারণ করা হয়।
চুক্তিটি অনুযায়ী , ১৯৫৫ সালের ২৫ অক্টোবর চার দেশের বাহিনী ভিয়েনা থেকে প্রত্যাহার করা হয় ।১৯৫৫ সালের ২৬ অক্টোবরঅস্ট্রিয়ার জাতীয় সংসদ ঘোষণা করে যে, অস্ট্রিয়া স্থায়ীভাবে নিরপেক্ষ থাকবে , কোনো সামরিক জোটে অংশ নেবে না এবং অন্য কোনো দেশকে তার রাষ্ট্রীয় ভূভাগে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে অনুমতি দেবে না। সোভিয়েট ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ,ব্রিটেন আর ফ্রান্স একই দিন বিবৃতি প্রকাশ করে অস্ট্রিয়ার নিরপেক্ষতার স্বীকৃতি দেয়।
|