v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-10-24 19:58:35    
গেলো সপ্তাহ

cri
    ১৭ অক্টোবর ভোরে চীনের ৫ দিন আগে উতক্ষেপণ করা দ্বিতীয় মনুষ্যবাহী মহাকাশযান "শেনচৌ-৬" সাফল্যের সঙ্গে চীনের উত্তরাংশের অন্তর্মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে অবতরণ করেছে, দুজন নভোচারীর স্বাস্থ্যের অবস্থা বেশ ভাল ।

    শেনচৌ-৬ মহাকাশযান ১২ই অক্টোবর সকাল ৯ টার সময়ে উতক্ষপণ করা হয়েছিল । দু বছর আগে চীনের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশযান উতক্ষেপণের পর এটা চীনের দ্বিতীয় মহাকাশযান উতক্ষেপণ । দু বছর আগে মহাকাশযানে শুধু একজন নভোচারী ছিলেন, এবং মহাকাশে অবস্থানের সময় মাত্র ২৪ ঘণ্টার কম   ছিল । এবারকার মহাকাশযানে দুজন নভোচারী ছিলেন এবং মহাকাশে ৫ দিন পরিভ্রমণ করেছেন।

    শেনচৌ-৬ নভোযান সাফল্যজনকভাবে পৃথিবীতে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এ পি বার্তাসংস্থা, ফ্রান্সের এ এফ পি বার্তাসংস্থায় এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ পি বার্তাসংস্থায় বলা হয়েছে শেনচৌ -৬ নভোযানের সফল উদক্ষেপন আর প্রত্যাবর্তন থেকে প্রতিপন্ন হয়েছে, মহাকাশের বড় দেশ হিসেবে চীনের অবস্থান সুসংবদ্ধ হয়েছে। তা ছাড়া, ফিনল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং লিথুয়ানিয়া প্রভৃতি দেশের তথ্যমাধ্যমগুলোতে শেনচৌ -৬ নভোযান সম্বন্ধে খরব প্রচার হয়েছে।

    ১৭ অক্টোবর জাতি সংঘ মহা সচিব কফি আনান তাঁর মুখপাত্রের মাধ্যমে বলেছেন, চীনের শেনচৌ-৬ মানুষবাহী নভোযানের সফল উতক্ষেপন আর প্রত্যাবর্তন থেকে আরেক বার প্রতিপন্ন হয়েছে যে মহাকাশে অনুসন্ধানে মানব জাতির উদ্যোগ দেশের সীমা নেই। ভারত, ফ্রান্স, শিংগাপুর, কাম্বোডিয়া, মায়ানমার, বুলগেরিয়া প্রভৃতি দেশের নেতৃবৃন্দ পর পর অভিনন্দন বাণী পাঠিয়েছেন। এ সব নেতা বলেছেন, চীনের এই সাফল্যে প্রতিফলিত হয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চীন বিরাট অগ্রগতি অর্জন করেছে। চীন সকল শান্তিপ্রেমী দেশের শ্রদ্ধা পেয়েছে।

    জাপানের প্রধান মন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুসির ইয়াসুকুনি সমাধিতে শ্রদ্ধাতর্পন করার প্রতিবাদে ১৭ অক্টোবর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী লি চিয়াও শিং চীনস্থ জাপানের রাষ্ট্রদূত কোরেসিগে আনামিকে তলব করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি পাঠ করেছেন। বিবৃতিতে কোইজুমির এই ভূল আচরণের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৭ অক্টোবর জাপানের প্রধান মন্ত্রী কোইজুসির চীন আর এশিয়ার অন্যান্য দেশের জনগনের তীব্র বিরোধিতা উপেক্ষা করে আরেকবার ইয়াসুকুনি সমাধিতে শ্রদ্ধাতর্পন করেছেন। তার এই আচরণ দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদেশগুলোর জনগণের মনে ঘাত দিয়েছে। চীন সরকার আর চীনা জনগণ এ সব তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং জাপানের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ কানায়।

    ২০ অক্টোবর পেইচিংএ আয়োজিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খুং ছুয়েন বলেছেন, চীন পক্ষ মনে করে, ইতিহাসের ব্যাপারে জাপান সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা মেনে চলার জন্য জাপান সরকারের বাস্তব পদক্ষেপ নেয়া উচিত। চীন মনে করে, চীন আর এশীয় জনগণের ক্ষতি করে এমন কোনো কাজ না করাই কেবল দু' দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের পূর্বশর্ত আর ভিত্তি।

    ১৯ অক্টোবর জাপানের ও বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অব্যাহতভাবে প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমির ইয়াসুকুনি সমাধিতে শ্রদ্ধাতর্পণের নিন্দা করেছেন ।

    ১৭ অক্টোবর জাপানের কোমেই পার্টি , গণতান্ত্রিক পার্টি , কমিউনিস্ট পার্টি ও সোসাল ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রধানমন্ত্রী কোইজুমির এই আচরণের বিরোধিতা করেছে । জাপানের গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব হাটোয়ামা ইউকিও বলেছেন , আগ্রাসী যুদ্ধের প্রশংসার জন্যই ইয়াসুকুনি সমাধি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে । তথাকথিত নিহতদের আত্মা সান্তি কামনা করা নিছক সাফাই মাত্র । সোসাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব মাটাইছি সেইচি বলেছেন , কোইজুমি জাপানের সংবিধান পদদলিত করেছেন । তিনি এশীয় জনগণের ভাবানুভূতি উপেক্ষা করে আবার ইয়াসুকুনি সমাধিতে শ্রদ্ধাতর্পণ করেছেন ।

    দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন , জাপানের প্রধানমন্ত্রী কোইজুমি ইয়াসুকুনি সমাধিতে শ্রদ্ধাতর্পন করে আগ্রাসী যুদ্ধের প্রশংসা করার চেষ্টা করছেন এবং আঞ্চলিক শান্তি ও সহযোগিতা বানচাল করেছেন । তার আচরণের দরুন উত্তর- পূর্ব এশীয় অঞ্চলের শান্তির প্রতি যে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে , তার দায়িত্ব তাকে বহন করতে হবে । দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র ও যানবাহন মন্ত্রী বান কি মুন একই দিন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতকেডেকে পাঠিয়ে এই ঘটনার জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ।

    জাপানের গণতান্ত্রিক পার্টির প্রতিনিধি মায়েহারা সেইজি ডায়েটে কোইজুমির সঙ্গে পার্টিপ্রধানদের একটি অধিবেশনে বলেছেন , কোইজুমির এই আচরণ জাপান ও চীনের মধ্যে কৌশলগত সংলাপের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে । কোইজুমি যদি ইয়াসুকুনি সমাধিতে শ্রদ্ধাতর্পণ করতে জেদ ধরেন , তাহলে পারস্পরিক সমঝোতা ও আস্থা স্থাপনের ভিত্তিতে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে জাপানের ভবিষ্যতমুখী মৈত্রী সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব হবে না।

    একই দিন জার্মানী সফররত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি হাই ছান বলেছেন , কোইজুমির এই আচরণ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে জাপান অতীতের আগ্রাসী যুদ্ধকে সত্যিকারভাবে কখনোভুল মনে করে নি । তিনি মনে করেন , জাপান সমরবাদের ইতিহাস সম্বন্ধে অনুশোচনা করে নি , পক্ষান্তরে ইতিহাস বিকৃত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছে । ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক উত্তেজনা সংকুল হচ্ছে ।

    চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চীন পাকিস্তানের ভূমিকম্পের জন্য দেয়া নবম দফা জরুরী ত্রাণ সামগ্রী ইসলামাবাদে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত, চীন সরকার পাকিস্তানের ভূমিকম্প দুর্গত অঞ্চলের জন্য মোট ৬২ লাখ মার্কিন ডলার জরুরী সাহায্য দিয়েছে ।

    বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারকার ত্রাণ কাজে চীন সরকারের সাহায্য হচ্ছে সবচেয়ে দ্রুত এবং পরিমাণ সবচেয়ে বেশী। ভূমিকম্প হবার ২য় দিন, চীন সরকার ১ম দফা ত্রাণ সামগ্রী পাকিস্তানের ভূমিকম্প দুর্গত অঞ্চলে পাঠিয়েছে।

    ২০ অক্টোবর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খোং ছুয়ান পেইচিংয়ে বলেছেন, চীন সরকার এখন সত্রিয়ভাবে অতিরিক্ত ত্রাণ সামগ্রী দেয়ার কথা বিবেচনা করছে।

    তুরস্ক ও রোমানিয়ায় এইচ ৫ এন ১ ভাইরাস থেকে জনিত বার্ড ফ্লুর প্রকোপ দেখা দেয়ার পর তুরস্ক ও রোমানিয়ায় প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে , প্রতিবেশী দেশ স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ইত্যাদি দেশেও বার্ড ফ্লু প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ।

    রোমানিয়ায় বার্ড ফ্লু উপদ্রুত এলাকার হাসঁমুর্গী হত্যা করে মাটির নীচে পোতাঁর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে , উপদ্রুত এলাকায় ওষুধ দিয়ে পরিষ্কার পরিছন্ন করা হয়েছে এবং স্থানীয় অধিবাসীদের টিকা দেয়া হয়েছে। সরকার ১৫ অক্টোবর থেকে সকল হাঁসমুর্গী বাজার বন্ধ করে দিয়েছে ।

    তুরস্ক সরকার বার্ড ফ্লু উপদ্রুত এলাকার যাবতীয় হাঁস মুর্গী হত্যা ছাড়া অন্য অঞ্চলের সঙ্গে উপদ্রুত অঞ্চলের মানুষের আসা- যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এবং উপদ্রুত অঞ্চলে পাখির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানোর অবস্থা তত্ত্বাবধানেরব্যবস্থা নিয়েছে ।

    স্লোভাকিয়া সরকার সম্প্রতি বার্ড ফ্লু প্রতিরোধ ও হাসঁমুর্গী পালনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি জাতীয় কমিটি প্রতিষ্ঠা করেছে । উপদ্রুত অঞ্চলের হাঁস মুর্গী ও পাখি হত্যা করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় একটি বিশেষ দল প্রতিষ্ঠার কথা বিবেচনা করছে । তা ছাড়া বার্ড ফ্লু প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি আইনবিধি ১৫ অক্টোবর পোল্যান্ডে বলবত্ হয়েছে ।

    খবরে প্রকাশ , ক্রোয়াটিয়া ও রোমানিয়ার সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তার জানিয়েছেন , তাঁদের দেশের পাখি বার্ড ফ্লু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে । ব্রিটনের আমদানি করা একটি টিয়া পাখি বার্ড ফ্লু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

    ইউ-উ ক্রোয়াটিয়া থেকে হাঁসি-মোরগি আমদানি না করার কথা বিবেচনা করছে এবং রাশিয়ার ইউরোপীয় ভূভাগ থেকে পালক-জাত দ্রব্য আমদানি নিষেধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

    সুইজাল্যান্ড ও লিথুয়োনিয়ার সংশ্লিষ্ট বিভাগও বার্ড ফ্লু রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়েছে ।

    ১৭ অক্টোবর জেনিভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংক্রামক ব্যাধি পূর্বসতর্কতা বিভাগের মহা পরিচালক মাইকেল রায়ান হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, ইউরোপের বার্ড  ফ্লৃপরিস্থিতি বাড়িয়ে বলা উচিত নয়। তিনি স্বীকার করেছেন, অতিথি পাখির সঙ্গেতুরস্ক আর রোমানিয়ায় দেখা যাওয়া বার্ড ফ্লু ভাইরাসের কিছুটা সম্পর্ক আছে, উপরন্তু এই ভাইরাসের প্রকোপ অব্যাহত থাকবে। কিন্তু তিনি সঙ্গে সঙ্গে জোর দিয়ে বলেছেন, অতিথি পাখি মারা যাওয়ার কারণ অনেক। সুতরাং ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে হাঁস-মুরগীর মৃত্যু সম্বন্ধে তদন্ত কাজ চালানো উচিত। তিনি বলেছেন, ই ইউর সাহায্যে উপরোল্লেখিত দুটো দেশের বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আছে।

    ১৯ অক্টোবর বাগদাদের " গ্রিন জোনে" ইরাকের বিশেষ আদালতে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসন তার অন্য সাত জন সাবেক উচ্চ পদস্থ কর্মকতা এবং বাথ পাটির সদস্যদের বিচার শুরু হয়েছে। আদালতের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এই যে, সাদ্দাম সহ আট জন আসামী ১৯৮২ সালে বাগদাদের উত্তরাঞ্চলে শিয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত দুজেইল গ্রামে গণহত্যা চালিয়েছেন। যার ফলে ১৪৩জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। যদি আদালতের এই অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে সাদ্দাম ও তার সাবেক কর্মকতার্দেরমৃত্যুদন্ড হবে।

    ইরাকের বিশেষ আদালতে ১৯ অক্টোবর ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ও অন্য ৭ জন সাবেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে প্রথম বিচার শুরু হয়েছে । ইরাকের আন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও মার্কিন সরকার একে স্বাগত জানিয়েছে ।

    সাদ্দাম ও তার ৭ জন সাবেক কর্মকর্তা ১৯৮২ সালে বাগদাদের দুজইল গ্রামে গণহত্যা চালিয়েছে বলে ইরাকের বিশেষ আদালত সেদিন তাদেরকে মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করেছে । তিন ঘন্টার শুনানিতে বাদি ও আসামির মতানৈক্য থাকার কারণে জজ বিচার বন্ধ করে আগামী মাসের ২৮ তারিখ আবার বিচার শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে ।

    ইরাকের আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখপাত্র শুনানী শেষে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন , বিচারে ইরাকের আইনের স্বাধীনতা প্রকাশ পেয়েছে , ইরাক সরকার ও জনগণ এর জন্য গৌরব বোধ করে । এটি হল ইরাকের আইন ব্যবস্থাকে স্বাধীন করার সুষ্ঠু সুচনা ।

    মার্কিন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ১৯ অক্টোবর বলেছেন , সাদ্দামের বিচার হল আইনের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক ইরাক প্রতিষ্ঠারগুরুত্বপূর্ণ ধাপ । যুক্তরাষ্ট্র আশা করে এই বিচার ইরাকের আইনের পুনর্প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক হবে ।

    ২০ অক্টোবর পেইচিংএ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খুং ছুয়েন বলেছেন, চীন মনে করে, সাবেক প্রেসিডেন্টসাদ্দাম হোসেন ও ইরাকের সাবেক সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়তি ইরাকী জনগণের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর ছেড়ে দেয়া উচিত। তিনি বলেছেন. চীন আশা করে, ইরাকের পরিস্থিতি তাড়াতাড়ি স্থিতিশীল হবে। ইরাকী জনগণ ধাপে ধাপে পূর্ণগঠনের প্রক্রিয়া অর্জন করবেন এবং শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করবেন।

    ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অঞ্চলের অধিবাসীরা ১৯ অক্টোবর টেলিফোনে পাকিন্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অঞ্চলেরআত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছে। এটা হচ্ছে ১৯৯০ সাল থেকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অধিবাসীরা এই প্রথম পাকিন্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সঙ্গে টেলিফোন করতে অনুমতি পেয়েছেন।

    একই দিনের প্রথম টেলিফোন করা হয়েছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে পাকিন্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মোজাফরাবাদের সঙ্গে।

    দক্ষিণ এশিয়ার ভূমিকম্প হবার পর, ভারত সরকার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ্ মুসারাফ উপস্থাপিত দুই এলাকার মধ্যে টেলিযোগাযোগ চালু হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অঞ্চলে চারটি টেলিযোগাযোগ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য বিনা খরচে টেলিফোন করার সুযোগ দেয়া হয়।

    ভারতের রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব ২০ অক্টোবর নয়াদিল্লীতে আয়োজিত ২০তম আন্তর্জাতিক রেলপথ ইউনিয়নের বিশ্ব নির্বাহী পরিষদে বলেছেন , আগামী ৫ বছরে ভারত রেলপথের নির্মাণে ২ হাজার ৪০০ কোটি রুপি দেবে ।

    ভারতের এশিয়া সংবাদ সংস্থা রেলমন্ত্রীর কথা উদ্ধৃত করে বলেছে , ভারতের রেল মন্ত্রণালয় সব শক্তি নিয়ে নতুন রেল লাইন নির্মাণ করবে , যাতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ চালু করা যায় ।

    ভারতের রেলপথ কমিশনের চেয়ারম্যান সম্মেলনে বলেছেন , ভারতের রেল পরিবহনে পণ্যদ্রব্যের পরিবহন ৬৫ শতাংশ । ভারতের রেলপথ পরিচালনা বিভাগ বর্তমানে নয়াদিল্লী থেকে মুম্বাই পর্যন্ত বিশেষ রেল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করছে ।