** ৭৬২ সালের ২২ অক্টোবর চীনের বিখ্যাত কবি লি পাইয়ের মৃত্যু
৭৬২ সালের ২২ অক্টোবর থাং রাজবংশের কবি লি পাই আনহুইয়ের তাংথুতে মৃত্যুবরণ করেন। লি পাইয়ের খেতাব থাই পাই, ৭০১ সালে তত্কালীন চীনের পশ্চিম গ্রীমতি অঞ্চলের সুই ইয়েতে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকে তাঁর বাবার সঙ্গে সিছুনে স্থানান্তরিত হন। লি পাইয়ের কবিতা আবেগপূর্ণ, সাহ্যিতে তিনি খুবই প্রতিভাবান, তাঁর কবিতা সক্রিয় রোম্যানস রুচি সম্পন্ন। লি পাই "লি থাই পাই সংগ্রহ" রচনা করেছেন।
** ১৯৭৮ সালের ২২ অক্টোবর তত্কালীন চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী তেং সিয়াও পিং জাপান সফর করেন। পর দিনে টোকিওতে চীন-জাপান শান্তিপূর্ণ মৈত্রী চুক্তির অনুমোদন পত্র বিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
** ১৯৮২ সালের ২২ অক্টোবর ষষ্ঠ বিশ্ব কাপ জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতা জুগোস্লাভিয়ার জাগরেবে অনুষ্ঠিত হয়। চীনের খেলোয়াড় থোং ফেই হরিজনটল বারের শিরোপা অর্জন করেন। লি নিং ফ্রি জিমন্যাস্টিকস, পোমেল হর্স, ফ্লাইয়িং রিং, জাম্পিং ওভার এবং পুরুষের সর্বশক্তিমান এই ছয়টি বিভাগের চ্যাম্পিয়ন হন।
** ১৯৮৬ সালের ২২ অক্টোবর চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ইয়ে চিয়ান ইং মৃত্যুবরণ করেন।
ইয়ে চিয়ান ইং অনেক আগে থেকে সান ইয়াত্-সেনের সঙ্গে বিপ্লব করেন। তিনি হুয়াংপু সামরিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক ছিলেন। "১২ এপ্রিল ঘটনার " পর কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। তিনি লাল ফৌজ এবং অষ্টম রুট বাহিনীর অন্যতম নেতা ছিলেন। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর তিনি প্রতিরক্ষা কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান, জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান প্রভৃতি পদে ছিলেন এবং মার্শ্যাল খেতাব পান। ১৯৭৬ সালে চিয়াং ছিং প্রতিবিপ্লবী গোষ্ঠীর বিরোধী সংগ্রামে তিনি চূড়ান্ত ভূমিকা পালন করেন।
** ১৯৩৬ সালের ২২ অক্টোবর স্পেন সরকার ফ্রান্কো ফ্যাসিবাদী ব্যক্তিদের চালানো সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতি-আক্রমণ করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক সৈন্যদল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। ৫৪টি দেশের প্রায় ৪০ হাজার জন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য এবং প্রগতিশীল ব্যক্তি স্বতঃস্ফুর্তে স্পেনে এসেছেন।
** ১৯৭৩ সালের ২২ অক্টোবর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েট ইউনিয়নের যৌথভাবে প্রণয়ন করা "যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব" অনুমোদন করে এবং ১২ ঘন্টার পর অর্থাত্ বিকাল ৬টা ৫২ মিনিটে কার্যকরী করার সিদ্ধান্ত নেয়। আরব-ইস্রাইলের "অক্টোবর যুদ্ধ " যুদ্ধবিরতি হয়।
** ১৯৮১ সালের ২২ অক্টোবর কানকুন সম্মেলন অনুষ্ঠিত
কানকুন হচ্ছে মেক্সিকোর এক পর্যটন স্থান। ১৯৮১ সালের ২২ অক্টোবর এই মনোরম ছোট দ্বীপে চীন সহ ১৪টি উন্নয়নমুখী দেশ এবং ৮টি শিল্পোন্নত দেশের শীর্ষনেতা বা সরকারী প্রধানদের অংশগ্রহণ করা প্রথম "সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অধিবেশন " অর্থাত্ কানকুন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কানকুন সম্মেলনে উন্নয়নমুখী দেশের শীর্ষনেতা আর শিল্পোন্নত দেশের শীর্ষ নেতারা একই আলোচনার টেবিলে বসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ করে দক্ষিণ-উত্তর সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। ইতিহাসে এই প্রথম বার।
** ১৯৯৫ সালের ২২ অক্টোবর জাতিসংঘের ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
১৯৯৫ সালের ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত নিউইয়োর্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮৫টি দেশের নেতারা এবং প্রতিনিধিরা মিলিত হয়ে অতীতের সারসংকলন করেন, ভবিষ্যত প্রত্যাশা করেন, এক সাথে কি ভাবে আরো সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করার বিষয়ে আলোচনা করেন। এটা হচ্ছে জাতিসংঘের ইতিহাসে সবচেয়ে বিরাকাটারের এবং মনোজ্ঞ একটি উদযাপনী অনুষ্ঠান। প্রেসিডেন্ট চিয়াং ছে মিন প্রথম চীনের শীর্ষনেতা হিসেবে জাতিসংঘের মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। সম্মেলনের পর "জাতিসংঘের ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনী ঘোষণা " গৃহীত হয়েছে। ঘোষণায় পুনরায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, সদস্য দেশগুলোকে "জাতিসংঘের সনদের" উদ্দেশ্য এবং মৌলিক নীতির প্রতি দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করতে হবে।এ থেকে জাতিসংঘের উন্নয়নের এক নতুন যুগ শুরু হয়েছে।
|