** সোভিয়েট ইউনিয়নের নতুন সংসদের প্রথম সম্মেলন
১৯৯১ সালের ২১ অক্টোবর সোভিয়েট ইউনিয়নের নতুন গঠিত সর্বোচ্চ সোভিয়েটের ( সংসদের ) প্রথম অধিবেশন ক্রেমলিন ভবনে উদ্বোধন হয়।
শুধু সাতটি প্রজাতন্ত্র: রাশিয়া, বেলারুস, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান,কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তানের প্রতিনিধি এই অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন।
সোভিয়েট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট গোরবাছেভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোট ২৫ মিনিটের ভাষণ দেন । তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে , মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের সংকট থেকে মুক্তি লাভ করতে হবে। তিনি মনে করেন, বর্তমান ধারাবাহিক মৌলিক সমস্যা সমাধান করার দরকার আছে, এদের সবচেয়ে প্রধান সমস্যা হচ্ছে সোভিয়েট ইউনিয়নের রাষ্ট্রব্যবস্থার ভাগ্য ।
** এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (এপেকের )নবম অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলন চীনের শাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়
২০০১ সালের ২১ অক্টোবর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার ( এপেকের ) নেতাদের নবম অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন চীনের শাংহাইয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রদর্শনীভবনে অনুষ্ঠিত হয়, চীনের প্রেসিডেন্ট চিয়াং চেমিন সম্মেলন পরিচালনা করেন । অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হোওয়ার্ড, ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী ক্রেটিয়েন, চিলির প্রেসিডেন্ট রিকার্ডো লাগোস, চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রশাসক তোং চিয়ানহুয়া, ইন্দুনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট মেগাওয়াটি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী জুনিছিরো কোইজুমি, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম দাইজুং , মালয়েসিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহাথির , মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ভিসেনটে ফোক্স, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কলার্ক , পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী মোরাউটা, পেরুর প্রেসিডেন্ট টোলেদো , ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট আর্রোয়ো, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক টোং, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাক্সিন সিনাওয়াত্রা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ ও ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফান ভান খাই এই অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন।
সকাল আটটায় বিভিন্ন দেশের নেতারা চীনের জাতীয় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পোষাক পরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রদর্শনীভবনে যথাক্রমে পৌঁছেন। প্রেসিডেন্ট চিয়াং চেমিন তাঁদের সঙ্গে করমর্দন করেন। নেতারা এই শীর্ষ সম্মেলনের নেতাদের স্বাক্ষরের বিশেষ কাগজে স্বাক্ষর করার পর প্রেসিডেন্ট চিয়াং চেমিনের সঙ্গে সভাকক্ষে যান। চিয়াং চেমিন এই সম্মেলন পরিচালনা করেছেন আর অন্য নেতাদের সঙ্গে বিশ্ব ও আঞ্চলিক সামষ্টিক অর্থনীতির পরিস্থিতি, জনশক্তির প্রশিক্ষণ বা সামর্থ্য গঠন এবং (এপেকের ) ভবিষ্যতের উন্নয়নের দিশা ইত্যাদি আলোচ্যবিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এপেকের সকল সদস্যদেশ ও অঞ্চলের নেতারা এসব সমস্যায় ব্যাপক মতৈক্য অর্জন করেন এবং " নেতাদের প্রস্তাব" প্রকাশ করেন। তা'ছাড়া নেতারা সন্ত্রাসদমন সমস্যায় মত বিনিময় করেন এবং "এপেকের সন্ত্রাসদমন প্রস্তাব" প্রকাশ করেন। সম্মেলন সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়।
**মার্কিন-উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক সমস্যার কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর
১৯৯৪ সালের ২১ অক্টোবর উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জেনিভায় উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক সমস্যা সম্বন্ধে কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করে। দুপক্ষ তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় আলোচনা করার পর ১৭ অক্টোবর রাতে অবশেষে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে ।
|