v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-10-19 19:37:15    
চীনা শিল্পীদের বাজানো বিদেশী সঙ্গীত

cri
    সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা এখন শুনছেন আজকের সুরের ভুবন অনুষ্ঠান। পরিবেশন করছি আমি লিলি। আজকের অনুষ্ঠানে আমি চীনা শিল্পীদের বাজানো কয়েকটি বিদেশী সঙ্গীত আপনাদের উপহার দেবো।

    প্রথমে আমি " নারী সঙ্গীত দল"নামে একটি ব্যান্ড সম্বন্ধে আপনাদের কিছু বলবো।এই দল ১৩ জন মেয়ে নিয়ে গঠিত একটি নতুন ব্যান্ড। তাঁরা আলাদা আলাদাভাবে আরহু, বাঁশী, ফিপ, কুচেং, ইংছিন ও হু লুসি প্রভৃতি চীনের ঐতিহ্যিক জাতীয় বাদ্যযন্ত্র এবং গিটারসহ অনেক পশ্চিমা বাদ্যযন্ত্র বাজান। এই ব্যান্ডের সদস্যরা চীনের বিভিন্ন সঙ্গীত ইন্সটিটিউট থেকে আসেন। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানোর সময়ে তাঁরা চীনের ঐতিহ্যিক জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে আধুনিক সঙ্গীতের উপাদান মিশিয়ে যেমন স্বাভাবিক, তেমনি আধুনিক রীতিনীতি গড়ে তুলেছেন। এখন আমরা একসাথে এই ব্যান্ডের বাজানো " তারা" নামে একটি সঙ্গীত শোনবো। এই সঙ্গীত ইন্দোনেশিয়ার লোকসঙ্গীত অনুসারে সংশোধন করা হয়েছে। পরিবেশনে চীনের জাতীয় বাদ্যযন্ত্র হু লুসির মনোগ্রাহী ও নমনীয় সুরে প্রেমিকার প্রতি একজন যুবকের গভীর ভালোবাসা পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ পেয়েছে। আচ্ছা, এখন একসাথে সঙ্গীতটি শুনবো আমরা।

    ২০০৪ সালে এই ব্যান্ড নিজের প্রথম CD সংকলন প্রকাশ করেন। সংকলনের সঙ্গীতগুলো পশ্চিমা বাদ্যযন্ত্রের প্রেক্ষাপটে প্রধানত চীনের ঐতিহ্যিক জাতীয় বাদ্যযন্ত্র দিয়ে বাজানো হয়। তা আমাদের জন্যে নতুন অনুভূতি এনে দিয়েছে। এখন এই ব্যান্ডের বাজানো " চাঁদের আলো" নামে একটি জাপানী সঙ্গীত শোনা যাক।

    প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের বাকী সময়ে আমি চীনের তরুণ শিল্পী ইয়াং ফানের পরিবেশিত কয়েকটি বিদেশী সঙ্গীত শোনাবো। ইয়াং ফান একটি সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকে তিনি বাবার কাছে অ্যাকোর্ডিয়ান শেখেন এবং সুষ্ঠু সঙ্গীত শিক্ষা ও কঠোর প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে চীনের সি ছুয়ান সংগীত ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি অ্যাকর্ডিয়ানের বিষয়ে শিক্ষকতা করেন এবং বহু সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি চীনের বিভিন্ন জায়গায় কন্সার্টের আয়োজন করেন। তাঁর রোম্যানটিক , উদার ও আবেগপূর্ণ রীতিনীতি ব্যাপক শ্রোতা সমাদর পায়। এখন আমরা একসাথে ইয়াং ফানের বাজানো একটি সঙ্গীত শুনবো। তা ইতালীর সুরকার টোসেল্লির সৃষ্ট সুর অনুযায়ী সংশোধন করা হয়। এই সঙ্গীতে হাল্কা ও মধুর সুরে আগের সুখী দিনের উপর প্রধান চরিত্রের স্মৃতি ব্যক্ত করা হচ্ছে। আচ্ছা, প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, সঙ্গীতটি শোনা যাক।

    বহু বছর ধরে অন্যান্য শিল্প উপায়ের সঙ্গে অ্যাকোর্ডিয়ানসঙ্গীতের আদান-প্রদান ও মিলনের ক্ষেত্রে ইয়াং ফান বরাবরই অন্বেষণ ও চেষ্টা করছেন। গত আগস্ট মাসে তিনি পেইচিংয় নিজের একক কন্সার্টের আয়োজন করেছেন। এই কন্সার্টে তিনি সিম্ফোনি, নাচ ও গানের সঙ্গে অ্যাকোর্ডিয়ান সংলাপ ও মিলনের মাধ্যমে সর্বোতভাবে অ্যাকোর্ডিয়ানের সম্বন্ধে তাঁর সমঝোতা ও ব্যাখ্যা প্রকাশ করেছেন। আজকের অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা একসাথে তাঁর অ্যাকোর্ডিয়ান দিয়ে বাজানো একটি সঙ্গীত শুনবো। সঙ্গীতের নাম হচ্ছে হো গাছ। তা প্রাক্তন সোভিয়েট ইউনিয়নের একটি সঙ্গীত অনুসারে রিমেক করা হয়েছে। সঙ্গীতে প্রেমের নদীতে নিমজ্জিত একজন মেয়ের মমত্ব প্রকাশ পেয়েছে। আচ্ছা, আর বেশি কথা নয়। প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আসুন , গানটি শোনা যাক।

    প্রিয় বন্ধুরা, আজকের সুরের ভুবন অনুষ্ঠান এ পর্যন্তই। আমাদের অনুষ্ঠান সম্বন্ধে আপনাদের কোনো মতামত থাকলে দয়া করে আমাদের জানাবেন। আগামী সপ্তাহের একই সময়ে আমাদের আবার কথা হবে। আজকের অনুষ্ঠান শোনার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।