চিনি আখ বা বীট থেকে প্রস্তুত করা হয়। এ কথা কারোই অজানা নয়। সাদা মিহিন চিনি, দানাদাং চিনি আর গুড়-এই তিনটি বৈচিত্র্যের চিনির কথা আমরা সবাই জানি। তবে চিনির উপাদানগুলোর মধ্যে কিছু কিছু সম্পর্কে হয়তো আমাদের সবার জানা নেই। এর উপাদানগুলোর মাঝে রয়েছেঃ
প্রধানতঃ সুক্রোজ, এরপর আরও আছে ক্লোরোফিল(chkorophyll), ঝ্যানথোফিল(xanthophyll), ক্যারোটিন(carrotene), এবং অজৈব লবণ। চিনির প্রধান প্রধান কল্যানকর বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে প্লীহাকে সবল করা, গুরুত্বপূর্ণ শক্তি সরবরাহ করা এবং হজমে সহায়তা করা।
এর পাশাপাশি ব্যথা উপশম করা, রক্ত সংবহন প্রক্রিয়াকে সহাজতর করা এবং রক্তে জমাট রাঁধতে না দেয়া-এগুলোও চিনির অন্যতম উপকারিতার অন্তর্ভূক্ত।
কোণ সমস্যায় কীভাবে চিনি দিয়ে চিনি পথ্য তৈরী করা ?
এক, সর্দগর্মি হলে কী করবেন? সেক্ষেত্রে ৫০ গ্রাম সিম পানিতে ভালোভাবে সেদ্ধ করবেন। এরপর তাতে সামান্য চিনি দিয়ে ইচ্ছেমতো খাবেন।
দুই, পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া হলে তার উপশমে চিনি দিয়ে তৈরী পথ্য বিশেষ কার্যকর বলে চীনা ঐতিহ্যিক চিকিত্সা বিদ্যায় বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যা করা উচিত, তা হচ্ছেঃ ৫০ গ্রাম ভূট্টার মদের সঙ্গে ১০গ্রাম গুড় মেশাবেন। এরপর মিশ্রণটি ভালোভাবে গুলে না যাওয়া পর্যন্ত সেদ্ধ করবেন।
তিনঃ ক্ষতিকর গরমের প্রভাবে ফ্যারিজাটিস, ল্যারিনজাইটিস এবং কাশি হলে তার জন্যেও চিনি দিয়ে পথ্য তৈরীর ব্যবস্থা রয়েছে। এ ধরণের সমস্যা হলে একটি কমলা থেকে একটা কোয়া খোসা-সহ কেটে আলাদা করুন । কোয়াটি থেকে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার কমলাটির ঠিক যেখানটি থেকে একটি কোয়া কেটে নেয়া হয়েছে, সেখানটা ১৫গ্রাম দানাদার চিনি পুরে দিন। এবার আলাদা করে রাখা খোসার টুকরোটি দিয়ে তা ঢেকে দিন এবং একটি টুথপিক বা খিলাল দিয়ে তা মূল কমলার সঙ্গে আঁটকে দিন। এবার কমলাটি বাষ্প সেদ্ধ করে সেবন করুন ।
|