v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-10-19 10:37:14    
১৯ অক্টোবর

cri
১৯৩৬ সালের ১৯ অক্টোবর মহান লেখক লু স্যুনের মৃত্যু

লু স্যুন চীনের একজন মহান সাহিত্যিক, চিন্তাবিদ এবং বিপ্লবী। তিনি তাঁর তীক্ষ্ম কলম দিয়ে পুরাতন দুনিয়ার কদর্যতা উদ্ঘাটন করেন, যাতে জনসাধারণ শাসকদের জঘন্য স্বরূপ পরিষ্কারভাবে দেখতে পান, নিজেদের অজ্ঞতা সম্বন্ধে সচেতন হতে পারেন এবং উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠতে পারেন। তাঁর রচনা " পাগলা ব্যক্তির ডায়রি" চীনের নয়া সাহিত্যের প্রথম অধ্যায় সূচিত করেছে। পরবর্তী কালে তাঁর রচিত "ওষুধ", " আকিউ'র আসল কাহিনী", "আশীর্বাদ" প্রভৃতি গল্প ও উপন্যাস ছিল আধুনিক যুগে চীনের সাফল্যপূর্ণ সাহিত্যকর্ম।

মাও সেতোং লু স্যুনের সারা জীবনের কীর্তিকলাপ ও সংগ্রামী মর্মতেজের সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ণ করেছেন। তিনি বলেছেন: " লু স্যুন ছিলেন চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের প্রধান সেনাপতি, তিনি শুধু যে একজন মহান সাহিত্যিক তা নয়, উপরন্তু মহান চিন্তাবিদ ও মহান বিপ্লবীও বটে । লু স্যুনের বিপ্লবী মনোবল সবচেয়ে সুদৃঢ়, তাঁর লেশমাত্র দাসত্ব বা মোসাহেবির মনোবৃত্তি নেই। এটা ঔপনিবেশিক ও আধা-ঔপনিবেশিক দেশের জনগণের মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান চারিত্রিক গুণ। সাংস্কৃতিক ফ্রণ্টে লু স্যুন গোটা জাতির বেশির ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে শত্রুদের ব্যূহ ভেদ করতে এগিয়ে যাওয়া সবচেয়ে সঠিক, সবচেয়ে সাহসী , সবচেয়ে দৃঢ়, সবচেয়ে নিষ্ঠ (অনুগত), সবচেয়ে আন্তরিক অভূতপূর্ব জাতীয় বীর । লু স্যুনের দীশা হলো চীনা জাতির নয়া সংস্কৃতির দীশা।

১৯৬৫ সালের ১৯ অক্টোবর চীন-নেপাল আনুষ্ঠানিক ডাক-ব্যবস্থা চালু

১৯৬৫ সালের ১৯ অক্টোবর চীন-নেপাল আনুষ্ঠানিক প্রত্যক্ষডাক-ব্যবস্থা চালু হয় । এই দিন দুদেশের মধ্যে আজকের চীন-নেপাল সীমান্তের মৈত্রীসেতুতে প্রথম বারের মতো সরাসরি ডাক-বিনিময় হয়েছে।

ঐ বছরের জানুয়ারিতে চীন আর নেপালের মধ্যে প্রত্যক্ষ ডাক বিনিময় সংক্রান্ত অস্থায়ী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । দুদেশের ডাক(পোষ্ট বা পোষ্টাল ম্যাটার) লাসা-কাঠমণ্ডু সড়কের মাধ্যমে মৈত্রীসেতুটিতে সরাসরি বিনিময় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ।

ডাক- বিনিময় ব্যবস্থা চালু হওয়ার অনুষ্ঠানে চীনের ডাক মন্ত্রণালয়ের অফিসের উপ মহাপরিচালক ওয়াং ইয়াং চীনের ডাক-মন্ত্রী চু স্যুয়েফানের অভিনন্দন বাণী পাঠ করেন। তাতে বলা হয়, চীন-নেপাল দুদেশের মধ্যে প্রত্যক্ষ ডাক বিনিময়ের সম্পর্ক স্থাপন শুধু যে দুদেশের ডাক যোগাযোগ জোরদার করেছে তা নয়, উপরন্তু দুদেশের জনগণের ভ্রাতৃসুলভ বন্ধুত্ব বাড়ানো এবং দুদেশের মৈত্রী ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

১৯৯৬ সালের ১৯ অক্টোবর চীনের প্রথম হট এয়ারশীপের সাফল্যজনক উড্ডয়ন

১৯৯৬ সালের ১৯ অক্টোবর পেইচিংয়ে চীনের প্রথম হট এয়ারশীপ --" চীন ১ নম্বর" সাফল্যের সঙ্গে আকাশে উড়ে ।

একটি বেসরকারী কোম্পানি এই এয়ারশীপ তৈরি করে । কোম্পানিটির নাম " পেইচিং খোইউয়ান হাল্কা ধরনের বিমান লিমিটেড কোম্পানি"। এটা চীনের প্রথম বেসরকারী বিমান নির্মাণ শিল্পপ্রতিষ্ঠান । এর এক বছর আগে এই কোম্পানির তৈরী "এ ডি ২০০" ধরনের বিমান সবেমাত্র রাষ্ট্রের দেয়া উত্পাদনের অনুমতি পেয়েছে এবং বছরে ১০০টি বিমান উত্পাদনের ক্ষমতা অর্জন করেছে। পেইচিং আর নানচিংয়ের দুটো বিমান ও মহাকাশ বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দশ জন বিমান বিশেষজ্ঞের সাহায্যে দু মাসের মধ্যেই চীনের প্রথম হট এয়ারশীপ নির্মাণ করেছে । হট এয়ারশীপ হলো বিশ্বের এক নতুন ধরনের আকাশপথের যানবাহন। তার আছে হট এয়ার বেলুন এবং সাধারণ এয়ারশীপের যৌথ বৈশিষ্ট্য।