** ১২ অক্টোবর পেইচিং সময় সকাল ৯টায় চীনের তৈরী মনুষ্যবাহী নভোযান শেনচৌ-৬ উত্তর পশ্চিম চীনের চিউ ছুয়ান উপগ্রহ উতক্ষেপন কেন্দ্র থেকে সাফল্যের সঙ্গে উতক্ষেপন করা হয়েছে। বিগত পাঁচ দিনে শেনচৌ-৬ গোটা চীনের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্র পাঁচ দিন ব্যাপী লাইভ অনুষ্ঠান প্রচার করেছে। আনন্দের খবর হচ্ছে ১৭ অক্টোবার ভোরবেলায় চীনের এই দ্বিতীয় মনুষ্যবাহী নভোযান "শেনচৌ-৬" সাফল্যের সঙ্গে চীনের উত্তরাংশের অন্তর্মঙ্গোলিয়ার অঞ্চলে অবতরণ করেছে, দুজন নভোচারী ফেই জুন লং এবং নিই হাই শাংয়ের স্বাস্থ্যের অবস্থা বেশ ভাল।
দু'বছর আগে চীনের প্রথম মনুষ্যবাহী নভোযান উতক্ষেপনের পর এটা চীনের দ্বিতীয় মহাকাশযান উতক্ষেপন। দু'বছর আগে মহাকাশযানে শুধু একজন নভোচারী ছিলেন এবং মহাকাশে অবস্থানের সময় ২৪ ঘন্টার কম ছিল। এবারকার মহাকাশযানে দুজন নভোচারী ছিলেন এবং মহাকাশে ৫ দিন পরিভ্রমণ করেছেন। এবারকার মহাকাশযানে সাফল্যের সঙ্গে নানা রকম বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে।
চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের চেয়ারম্যান উ পাং কুও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি, রাষ্ট্রীয় পরিষদ এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের পক্ষ থেকে অভিনন্দনবাণী পাঠ করেছেন। বানিতে বলা হয়, "শেনচৌ৬" মনুষ্যবাহী মহাকাশাযানের সাফল্য থেকে প্রতীযমান হয়েছে, মনুষ্যবাহী মহাকাশযানের প্রযুক্তি উন্নয়নে এবং মহাকাশে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে মানুষের অংশগ্রহণের ব্যাপারে এটা চীনের একটি মাইলফলক। চীন অব্যাহতভাবে মনুষ্যবাহী মহাকাশযানের প্রযু্ক্তি উন্নয়ন করবে এবং সক্রিয়ভাবে মহাকাশের সম্পদ উন্নয়ন করবে এবং মানবজাতির কল্যাণ সৃষ্টি করবে।
১৫ অক্টোবর চীনের নভোচারী বিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের প্রথম দিক থেকে চীনে প্রথম কিস্তির নারী নভোচারীর বাছাই কাজ শুরু হবে।
এদিকে শেনচৌ-৬ উতক্ষেপন বহু বিদেশী বার্তা সংস্থার নজর আকর্ষণ করেছে, তারা জরুরী পদ্ধতিতে নভোযানের প্রতি মুহূর্তের খবর প্রচার করেছে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, শেনচৌ-৬ নভোযান নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করা মানে চীনের পৃথিবীর বৃহত্ মহাকাশ কর্মসূচির দেশে পরিণত হওয়ার পথে এক নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে।
রয়টার বলেছে, চীনের মহাকাশযান পরিকল্পনা অপেক্ষাকৃত অল্প বরাদ্দ দিয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। চীন গোটা "শেনচৌ প্রকল্পে" মাত্র ২৩০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।
এপি এবং জার্মান বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, নভোচারীদের শেনচৌ ৬ নভোযানে চালানো পরীক্ষা ভবিষ্যতে মহাকাশে হাঁটা, সংযুক্ত করা এবং মহাকাশে পরীক্ষাগার স্থাপনের পরিকল্পনার বাস্তবায়নের জন্য পথ সুগম করেছে।
** চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৬তম কেন্দ্রীয় কমিটির চার দিন ব্যাপী পঞ্চম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন ১১ অক্টোবর বিকালে পেইচিংয়ে শেষ হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে "চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির জাতীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ১১তম পাঁচসালা পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রস্তাব" অর্থাত্ ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ১১তম পাঁচসালায় চীনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের যে সব প্রধান লক্ষ্য উত্থাপিত হয়েছে, তা হচ্ছে ২০১০ সালে মাথাপিছু জি.ডি.পির. মোট মূল্য ২০০০ সালের চেয়ে দ্বিগুণ বাড়ানো, শক্তি সম্পদের প্রয়োগের হারে লক্ষণীয় উন্নত করা, শক্তি সম্পদের ব্যয় জি.ডি.পির বর্তমানের হারের চেয়ে শতকরা ২০ ভাগ কমানো, শহরাঞ্চলের কর্মসংস্থানের সংখ্যা নিরন্তরভাবে বৃদ্ধি করা, দরিদ্র জনসংখ্যা অব্যাহতভাবে হ্রাস করা, শহর এবং গ্রামাঞ্চলের জনগণের আয় এবং জীবনযাপনের মান উন্নত করা।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ প্রফেসর হান পাও চিয়াং মনে করেন যে, এটা পরবর্তী পাঁচ বছরে চীনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রধানলক্ষ্য এবং বিকাশের দিক সম্পর্কে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব।
** চার বছর পরপর আয়োজিত চীনের জাতীয় গেমস যেমন চীনের বৃহত্তম বহুমুখী ক্রীড়া সম্মিলনী তেমনি চীনের বহুমুখী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বৃদ্ধি ও গোটা জাতির শরীরচর্যা আন্দোলনের বিকাশ দেখানোর এক জানালাও।
১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় চীনের চিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানচিংয়ে চীনের দশম জাতীয় গেমস শুরু হয়েছে। ১২ দিন ব্যাপী দশম জাতীয় গেমস অলিম্পিক গেমসের যাবতীয় ইভেন্টের প্রতিযোগিতা সহ মোট ৩২টি ইভেন্টের প্রতিযোগিতায় বিভক্ত। মাতৃভূমি চীনের মূলভূভাগের ৩১টি প্রদেশ, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, কেন্দ্র শাসিত মহানগর এবং হংকং ও ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনিক এলাকার প্রায় দশ হাজার ক্রীড়াবিদ গেমসটিতে অংশ নিচ্ছেন।
** বিশ রাষ্ট্র গোষ্ঠীর অর্থমন্ত্রী আর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরদের সপ্তম সম্মেলন ১৫ অক্টোবর পেইচিংয়ে শুরু হয়েছে। এ সব দেশের অর্থমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সংস্থা সহ তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থার তিন শতাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
১৯৯৯ সালে বিশ রাষ্ট্র গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক বছর মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন এক বার করে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর চীনে প্রথম বার এই সম্মেলন আয়োজিত হয়।
এবারকার সম্মেলনে সাধারণ নীতি অনুসারে "অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরদের সম্মেলন সম্পর্কিত যৌথ ইস্তাহার" প্রকাশিত হয়েছে। ব্রেটন উডজ ইন্সটিটিউশনের সংস্কার ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সমস্যা প্রসঙ্গে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ ত্বরান্বিত হয়েছে।
** পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ ১৫ অক্টোবর জানিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রবল ভূমিকম্পে এই পর্যন্ত ৫৩ হাজার লোক নিহত এবং ৬০ হাজার লোক আহত হয়েছেন। অন্য ৩০ লক্ষাধিক লোক বিভিন্ন মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেছেন, পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চল এবং পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির অঞ্চলের পুনর্গঠনের জন্য প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। দুর্গত অঞ্চলের পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় প্রায় দশ বছর লাগবে।
সাম্প্রতিক কয়েক দিনে কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দেশ অব্যাহতভাবে ভূমিকম্প দুর্গত এলাকাকে জরুরী সাহায্য দিয়েছে।
চীনের প্রধানমন্ত্রী উয়েন চিয়া পাও ১০ অক্টোবর পেইচিংয়ে চীনে নিযুক্ত পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান এই তিনটি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাত্ করার সময় বলেছেন, চীন তিনটি দেশের ভূমিকম্প দুর্যোগ হওয়ায় সমবেদনা জানায় এবং যথাসাধ্য আওতায় তিনটি দেশকে সাহায্য করতে চায়।
ভূমিকম্পের পর চীন সরকার সবচেয়ে গুরুতর দুর্গত পাকিস্তানকে ৬২ লাখ মার্কিন ডলার সাহায্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং চার কিস্তি উদ্ধার সামগ্রী পাঠিয়েছে। চীন সরকারের পাঠানো ৪৯ জন নিয়ে গঠিত উদ্ধার দলও দুর্গত অঞ্চলে পৌঁছেছে। চীনের প্রতিরক্ষা দপ্তর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা দপ্তারের কাছে এক লক্ষ মার্কিন ডলার মূল্যের জরুরী মানবিক সাহায্য দিয়েছে।
চীনের রেডক্রস সোসাইটি পাকিস্তানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য এক লক্ষ মার্কিন ডলার প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে চীনের রেডক্রস সোসাইটি ভারতের রেডক্রস সোসাইটিকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার প্রদান করবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাভতেজ সর্ণা ১৪ অক্টোবর নয়াদিল্লীতে বলেছেন, ভূমিকম্পের পর ভারত ও পাকিস্তান ত্রাণ কাজে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। বর্তমানে ভারত তার তৃতীয় কিস্তির ত্রাণের সামগ্রী পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর আগে বিশ্ব ব্যাংক পাকিস্তানের পুনর্গঠনের জন্যে দু'কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
রাশিয়া ও জাপান দুর্গত এলাকায় উদ্ধার দল পাঠিয়েছে। থাইল্যান্ড সরকার পাকিস্তানের দুর্গত অঞ্চলে পুনর্গঠনের জন্যে এক লক্ষ মার্কিন ডলার দিয়েছে। সিঙ্গাপুরের সরকার পাকিস্তানের ত্রাণ তত্পরতায় অংশ নেয়ার জন্যে ৪৪ জন নিয়ে গঠিত একটি ত্রাণ দল পাঠিয়েছে।
তা ছাড়া মালয়েশিয়া ও স্পেন প্রভৃতি দেশও পাকিস্তানের দুর্গত অঞ্চলে ত্রাণদল পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে এবং ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।
** শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট চান্দ্রকা কুমারাতুঙ্গা ১২ অক্টোবর কলম্বোর প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তরের কুরুনেকালা এলাকায় ঘোষণা করেছেন যে ১৭ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর তিনি রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বিদায় নেবেন।
তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, বর্তমানের প্রধানমন্ত্রী মাহিনদা রাজাপাকসের একটি নির্বাচনী সম্মেলনে এ কথা বলেছেন । তিনি আরো বলেছেন যে তিনি রাজাপাকসেকে ক্ষমতাসীন ফ্রিডম পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সমর্থন করেন , নির্বাচন হওয়ার পর তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাবেন এবং সরকারের কোনো কাজ নিযুক্ত হবে না। কিন্তু শ্রীলন্কার জনগণের সেবা অব্যাহত রাখবেন।
** ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ১০ অক্টোবর জানিয়েছে যে, ভারত ও রাশিয়ার "ইন্দ্র-২০০৫" নামক যৌথ সামরিক মহড়া ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের থার মরুভূমি ও বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতীয় এশীয় বার্তা সংস্থার খবরে প্রকাশ, এবারের সামরিক মহড়া এক সপ্তাহ চলবে। ভারতের সামরিক পক্ষের মুখপাত্র বলেছেন, এবারের মহড়ায় দু'বাহিনীর সমন্বিত লড়াইয়ের সামর্থ্য, ধৈর্য ও অস্ত্র ব্যবহারের সামর্থ্য পরীক্ষা করা হবে। রাশিয়ার বিমান বাহিত বাহিনীর কমান্ডার এলেক্সান্দার কলমাকোভ বলেছেন, এবারের মহড়ার লক্ষ্য সন্ত্রাস দমনে দু'দেশের সহযোগিতা জোরদার করা, কোনো তৃতীয় পক্ষের বিরোধিতা নয়।
** ভারতের অভ্যন্তরীন বিভাগ ১৪ অক্টোবর এক বিবৃতিতে বলেছে , ভারত মায়ানমারের সঙ্গে ভারত বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর আঘাত হানবে এবং অবৈধ অর্থ লেনদেন ও মাদক দ্রব্যের চোরচালান দমনে সহযোগিতা জোরদার করবে ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে , ভারতের অভ্যন্তরীন বিভাগের কর্মচারী ভিনোদ কুমার দুগাল সম্প্রতি মায়ানমারের রাজধানী ইয়াংগুনে মায়ানমারের উপ অভ্যন্তরীন মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার ফোন স্উই -এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন । দু'পক্ষ মায়ানমারে আল-কায়েদা সংস্থার ভারত বিরোধী শাখার ভারতে ঢোকার তত্পরতা দমন করার সমস্যা নিয়ে মত বিনিময় করেছে এবং গত বছর স্বাক্ষরিত দু'পক্ষের যৌথ নিরাপত্তা বিষয়ক সহযোগিতার স্মারকলিপি , সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান চুক্তি ও মায়নমারের অবকাঠামো নির্মাণে ভারতের সাহায্য করার চুক্তির বাস্তবায়নের ব্যবস্থা যাচাই করেছে ।
** জার্মানীর ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন অর্থাত্ সি ডি ইউর চেয়ারম্যান এনজেলা মেরকেল জার্মানীর নতুন চ্যান্সেলর পদে অধিষ্ঠিত হবেন।
১০ অক্টোবর জার্মানীর ২ নং টেলিভিশন কেন্দ্রের খবরে প্রকাশ, জার্মানীর সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অর্থাত্ এস পি ডি আর ইউনিয়ন পার্টি যুক্ত সরকারের চ্যান্সেলার প্রার্থীর বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছে। এনজেলা মেরকেল জার্মানীর নতুন চ্যান্সেলার পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তিনি জার্মানীর ইতিহাসের প্রথম নারী চ্যান্সেলর হবেন।
** ১৫ অক্টোবর সকাল সাতটা থেকে ইরাকের যুদ্ধোত্তর প্রথম সংবিধানের গণভোট শুরু হয় । প্রেসিডেন্ট জালাল তালাবানী ও প্রধানমন্ত্রী ইব্রাহিম আল জাফারি বাগদাদের গ্রিন জোনে ভোট দিয়েছেন ।
তালাবানি ইরাকের সকল অধিবাসীদের এই সংবিধান গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন । কারণ এই সংবিধানে একটি গণতান্ত্রিক , ঐক্যবদ্ধ ও স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার দৃঢ সংকল্প প্রকাশিত হয়েছে । জাফারী বলেছেন , আজ এক ঐতিহাসিক দিন , সংবিধান দেশের সংহতির জন্য ভিত্তি স্থাপন করবে । জনসাধারণ এই সংবিধান গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশা করেন ।
ইরাকের নতুন সংবিধানের গণভোট স্থানীয় সময় ১৫ অক্টোবর বিকাল ৩টায় শেষ হয়েছে । আন্তর্জাতিক মহল এ জন্য স্বাগত জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন , নতুন সংবিধানের গণভোটের সাফল্য ইরাকিদের গণতন্ত্রিক উপায়ে রাজনৈতিক আকাংখা প্রকাশ করার দৃঢ়সংকল্প প্রকাশ করেছে । বিবৃতিতে বলা হয়েছে , জাতিসংঘ আগের মত ভবিষ্যতেও ইরাকের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করবে ।
একইদিন , ই-ইউ'র কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক সদস্য বেনিটা ফেরেরো ওয়ালদনার তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন , নতুন সংবিধানের গণভোটের আয়োজন ইরাক গণতন্ত্র ও স্থিতিশীল প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ । ই-ইউ কমিশন অব্যাহতভাবে ইরাকিদের গণতান্ত্রিক সংস্থার মধ্যমে স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ দেশ স্থাপন করাকে সাহায্য দেবে।
** ১৪ অক্টোবর বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে যে তামাক নিয়ন্ত্রন কাঠামো চুক্তির সদস্যদেশগুলোর প্রথম সম্মেলন ২০০৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৭ই ফেব্রুয়ারী জেনিভায় অনুষ্ঠিত হবে । এই সম্মেলনে এই চুক্তির কার্যকরী করা , একটি সেক্রেটারিয়েত প্রতিষ্ঠা আর আর্থিক সাহায্য ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করা হবে ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি সেই সব দেশের প্রতি ৮ নভেম্বর আগে চুক্তির অনুমোদন পত্র জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জমা দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে , কেননা অনুমোদন পত্র জমা দেয়ার ৯০ দিন পরই সেই সব দেশ এই চুক্তির আনুষ্ঠানিক সদস্য দেশ হতে পারে এবং এই চুক্তির প্রথম সম্মেলনে অংশ নিতে পারে ।
উল্লেখ্য , ২০০৩ সালের মে মাসে জেনিভায় অনুষ্ঠিত ৫৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে তামাক নিয়ন্ত্রন কাঠামো চুক্তি গৃহীত হয় এবং ২০০৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে বলবত্ হয় । আজ পর্যন্ত চীনসহ ৮৯টিদেশ এই চুক্তির অনুমোদন পত্র জমা দিয়েছে ।
|