চীনের বোবাই জেলার পার্টি-কমিটি আর জেলা সরকার শীতকালীন ফসল আর কৃষির উন্নয়নের উপর খুব গুরুত্ব দেয়। শীতকালীন ফসল চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার । শীতকালের চমত্কার ফসল চাষ করার পুরোপুরি চেষ্টা করতে হয় । বিশেষ করে এই নতুন ধরনের আলু উত্পাদন উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয় ,যাতে কৃষকদের আয় বাড়ানো যায় করেছে।
২০০৪ সালে এইজেলায় শীতকালে মোটি ১২ হাজার একর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে । প্রধানত উত্কৃষ্ট জাতের আলু চাষ পালনের রকম জনপ্রিয় করা হচ্ছে : যেমন, তা সিইয়াং, চিহুয়া, তাচে ১ নম্বর, হেচুও ৮৮ এবং হুই ২ নম্বর ইত্যাদি । শহর ও জেলার যৌথ উদ্যোগে ব্যবস্থা নেয়ার ফলে তা সিইয়াং , চিহুয়া এবং তাচে ১ নম্বর জাতের আলুর একরপ্রতি উত্পাদন যথাক্রমে ৯০৭২ কিলোগ্রাম , ৯৮২৬ কিলোগ্রাম,২০হাজার কিলোগ্রাম হয়। প্রত্যেক একরে ৪৮০০--৬০০০ ইউয়ানের লাভ হয়। সারাজেলার এই আলু চাষকারী কৃষক মাথা-পিছু আগের চেয়ে ৪৪--৫৫ ইউয়ান বেশি উপার্জন করেন। ওয়াং মাও থাকার তাশৌ গ্রামের লিউ জেনশ্যুএ মোট ১.৬ একরের তাচে ১ নম্বর আলু চাষ করেছেন, প্রত্যেক একরে আলু উত্পাদন ৯৭২০ কিলোগ্রাম বলে মোট উত্পাদন ১৬ হাজার ২ শো কিলোগ্রাম এবং প্রায় মোট উত্পাদন মূল্য ১৪ হাজার ৫৮০ ইউয়ান । প্রত্যেক একরে ৮৭৪৮ ইউয়ান আয়ের মধ্যে বীজ, রাসায়নিক সার, শ্রমের মূল্য ইত্যাদর খরচ ) মোট ২৫২০ ইউয়ান বাদ দেয়ার পর, প্রত্যেক একরে তিনি আসলে ৬২২৮ ইউয়ান উপার্জন করেছেন।
আগে কৃষকদের চাষ করা আলু সবই পুরানো জাতের আলু এবং উত্পাদন খুব কম ছিল। প্রত্যেক একরে শুধু ৬০০০ কিলোগ্রামেরও কম এবং দামও খুবই কম, প্রত্যেক কিলোগ্রাম শুধু ০.৫ ইউয়ান । বিক্রয় করা খুব কঠিন এমনকি কোনো কোনো আলু মোটেই বিক্রী করা যায় না।
এই অবস্থা দেখে , এই জেলা নতুন জাতের আলু চাষ জনপ্রিয় করা ও আলু চাষের নতুন প্রযুক্তিকে এই জেলার আলু চাষ উন্নয়নের প্রধান ব্যবস্থা হিসেবে অবলম্বন করেছে, এবং (অর্থাত্ জমি চাষ না করলেও আলু রোপণ করা যায়) বিশেষ মানুষকে চীনের হেই লুংচিয়াং, অন্তর্মঙ্গোলিয়া প্রভৃতি জায়গায় পাঠিয়ে উচ্চ উত্পাদনশীল ভাল গুণের নতুন জাতের আলু অর্থাত্ তাসিইয়াং, তাচে ১ নম্বর, হুই ২ নম্বর, হেচুও ৮৮ ইত্যাদি আলু আনার জন্য পাঠায়।পরিবহন করার এই নতুন জাতের আলুও শীতকালে চাষ করার বিশেষ উপযোগী। এই সব নতুন উত্কৃষ্ট জাতের আলু চাষ করা হয়েছে । গোটা জেলার ৮৫ শতাংশের বেশি আলু চাষের জমিতে । এই জেলা পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে সাহায্য করা ,বীজ ও রাসায়নিক সারের অর্থ-সাহায্য, প্রযুক্তির পরিসেবা ইত্যাদি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কর্মচারী ও বেসরকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে মালিককে আলু চাষ উন্নয়ত করতে উত্সাহ দিয়েছে। যারা নতুন জাতের আলু ৫০ একর বা আরও বেশি আয়তনের এক জমিতে চাষ করে, এই অবস্থা যাচাই করার পর সরকার প্রত্যেক একরে ১৮০ ইউয়ানের পুরস্কার প্রদান করে । এইভাবে আলু চাষের ব্যাপারে ব্যাপক কর্মীদের উদ্যম ও সক্রিয়তা বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য , আলু চাষের ভাল দৃষ্টান্ত স্বাপনের ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জেলার আলু চাষের আদর্শ জমির আয়তন ৪০৮ একর, পরীক্ষা করার পর দেখা গেছে, প্রত্যেক একরের গড়পড়তা উত্পাদন ৯০০০ কিলোগ্রাম । এইজেলার আলু চাষকারী কৃষকের বাস্তব উপকার হয়েছে, আয় বেড়েছে, তাতে আলু চাষের উত্সাহ বিপুলভাবে বেড়েছে।
|