v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-10-14 13:42:23    
১৬ অক্টোবর

cri
** ৬৯০ সালের ১৬ অক্টোবর উ জে টিয়ান চীনের প্রথম সম্রাজ্ঞী হন

 উ জে টিয়ান ৬৬৫ সালে রাণী হয়ে সাম্রাজ্য সংক্রান্ত রাজনীতিতে অংশ নেয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা করায়ত্ত করে মোট ৫০ বছর ক্ষমতা অধিকার করেছিলেন। শেষের ১৫ বছরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্রাজ্ঞী ছিলেন। উ জে টিয়ান হলেন চীনের ইতিহাসে একমাত্র সম্রাজ্ঞী।

 উ জে টিয়ান একজন সর্বোচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন সামন্ততান্ত্রিক রাজনীতিবিদ। তিনি সামর্থ্যের উপর নির্ভর করে কর্মকর্তাদের নিয়োগ করেন, কৃষি উত্পাদনের উপর গুরুত্ব দেন এবং এসব ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করেন, থাং রাজবংশের সীমান্ত অঞ্চলে বিভিন্ন জাতির সম্পর্ক উন্নত করেন। উ জে টিয়ান ক্ষমতাসীন হওয়ার সময়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছেন, কেন্দ্রশাসনাধীন সামন্ততান্ত্রিক প্রশাসন জোরদার করেছেন, বহুজাতির সামন্ততান্ত্রিক দেশের ঐক্য রক্ষা ও সুসংবদ্ধ করেছেন। থাং রাজবংশের প্রায় তিন শতাব্দীর সময়ে উ জে টিয়ান একাই প্রায় অর্ধ শতাব্দী ক্ষমতাসীন ছিলেন। তিনি সমৃদ্ধ থাং রাজবংশের সমৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

** ১৯৪৯ সালের ১৬ অক্টোবর চীন ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত

 মঙ্গোলিয়ার পুরো নাম মঙ্গোলিয়া রাষ্ট্র। এশিয়ার মধ্যাঞ্চলের অন্তঃর্দেশীয়দেশ। আয়তন ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ হচ্ছে খালখা মঙ্গোলীয় জাতি, আর আছে কাজাখ জাতি ইত্যাদি। প্রধান ভাষা হচ্ছে খালখা মঙ্গোলীয় ভাষা। রাজধানী উলানবাটোর। পশুপালন শিল্প হচ্ছে জাতীয় অর্থনীতির ভিত্তি। ১৯৮৭ সাল থেকে অর্থনৈতিক সংস্কার চালু হয়। ১৯৯১ সাল থেকে বাজার অর্থনীতিতে স্থানান্তর করে যথাক্রমে ব্যক্তিমালিকানা ব্যবস্থা কার্যকরী করে। প্রধান কৃষিজ দ্রব্য হচ্ছে গম, বাঁধাকপি, মিষ্টি আলু এবং গবাদি পশুর খাদ্য ইত্যাদি। প্রধান গবাদি পশু হচ্ছে উট, ঘোড়া, গরু, ছাগল ইত্যাদি। শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতি অনুসরন করে। তার দুটি বড় প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া আর চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক উন্নয়নের উপর জোর দেয়। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি পাশ্চাত্য দেশ এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কের উপরে আরো বেশি গুরুত্ব দেয়। ১৯৪৯ সালের ১৬ অক্টোবর চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।

** ১৯৬৪ সালের ১৬ অক্টোবর চীনের প্রথম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ

 ১৯৬৪ সালের ১৬ অক্টোবর বিকাল ৩টায় চীনের পশ্চিমাঞ্চলে সাফল্যের সঙ্গে প্রথম পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো। যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েট ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্সের পর চীন বিশ্বের পঞ্চম পারমাণবিক অস্ত্র অধিকারী দেশে পরিণত হয়।

 চীন সরকার এক বিবৃতিতে ঘোষণা করে, চীনা জনগণ পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি এড়ানোর জন্য পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন করেছে। চীন যে কোন সময় যে কোন অবস্থায় প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না, এবং পারমাণবিক অস্ত্রের সার্বিক নিষিদ্ধ আর নির্মূল করার সমস্যায় আলোচনা করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করার প্রস্তাব করে।

** ১৯৭৩ সালের ১৬ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী তেল সংকট ঘটানো

 মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে আরব তেল উত্পাদনকারী দেশগুলো ইস্রাইল এবং তার সমর্থককে আঘাত হানার জন্য তেলকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, দখলকৃত ভূমি পুনরুদ্ধার করা এবং আধিপত্যবাদের বিরোধী রণনৈতিক অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগায়। তারা উত্পাদনের পরিমাণ কমানো, দাম বাড়ানো, পরিবহন নিষিদ্ধকরণ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত করা প্রভৃতি ব্যবস্থার দ্বারা সারা বিশ্বকে কাঁপানো পেট্রোলিয়াম সংগ্রাম চালায়। এটা আধিপত্যবাদের বিরোদ্ধে তৃতীয় বিশ্বের এক মহান তত্পরতা ।

 তেল সংগ্রামের মাধ্যমে আরব দেশগুলোর অর্থনৈতিক শক্তি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কেবল দাম বাড়ানোর ফলে আরব দেশগুলো তেলের আয় ১৯৭৩ সালের ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে হঠাত্ ১৯৭৪ সালের ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পৌঁছে। এটা তৃতীয় বিশ্বের জনগণ নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থ রক্ষা করার প্রতি বড় উত্সাহ দিয়েছে এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশবাদ এবং আধিপত্যবাদের বিরোদ্ধে চালানো সংগ্রামের জন্য এক নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।