মালয়েশিয়া জৈব শক্তি সম্পদ উন্নয়নকে শক্তি সম্পদের সাশ্রয়ের একটি প্রধান উপায় হিসেবে গ্রহণ করেছে। এ দেশের প্রধানমন্ত্রী বাদাবি গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে বলেছেন, সরকার জাতীয় জৈব জ্বালানি তেল নীতি প্রণয়ন করছে, যাতে জৈব জ্বালানি তেল ও পামঅয়েলের উত্পাদন ও ব্যবহার ত্বরান্বিত হতে পারে। তিনি বলেছেন, জাতীয় জৈব জালানী নীতির প্রধান প্রধান বিষয় হলোঃ পরিক্ষামূলক পদ্ধতিতে জৈব জালানী তেল ব্যবহার করতে সবাইকে উত্সাহ দেওয়া এবং সংশ্লিষ্ট জ্বালানি তেল কোম্পানি ও মালয়েশিয়া পামঅয়েলের ব্যুরো যৌথভাবে তেল কেন্দ্র স্থাপন করা। প্রধানমন্ত্রী বাদাবি আরও বলেছেন, মধ্যবর্তী কালের নীতি হিসেবে জাতীয় জ্বালানী তেল নীতি কার্যকরীকরণের পদক্ষেপের মধ্যে আরও রয়েছে, জাতীয় জ্বালানী তেল শিল্প সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা এবং বেশ কয়েকটি অনুপ্রেরণামূলক ব্যবস্থা নেওয়া, যেমন যেসব মোটর কম্পানি জৈব জ্বালানী তেল ব্যবহার করে, সেসব কম্পানিকে স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী দেওয়ার্ফান গত পয়লা সেপ্টেম্বর সরকারী মাসিক রিপোর্টে বলেছেন, সরকার বেশ কয়েকটি তেল সাশ্রয় ব্যবস্থা নেবে যাতে ফ্রান্সের অর্থনীতির ওপর আন্তর্জাতিক বাজারে আশোধিত তেলের দামের নিরন্তর বৃদ্ধির গুরুতর প্রভাব মোকাবিলা করা যায়।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, শক্তি সম্পদের সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে ফ্রান্স সরকার " দূষণমুক্ত গাড়ির ওপর কর মওকুফের নীতি" প্রবর্তন করেছে। যারা কম তেল ব্যবহারকারী ও কম দূষণকারী গাড়ি কিনেন, তাদের ১৫২৫ থেকে ২০০০ ইউরো কর মওকুফ করা হবে। তিনি ঘোষণা করেছেন, একশো কিলোমিটারের দূরত্ব অতিক্রম করলে গাড়ির তেল ব্যবহার ৩.৫ লিটারের নিচে দাঁড়াবে এমন দূষণমুক্ত গাড়ি উদ্ভাবনের জন্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ফ্রান্স ১০ কোটি ইউরো অর্থ বরাদ্দ করবে। একই সঙ্গে বেশি দূষণকারী বড় আকৃতির গাড়ি সীমিত করার জন্য ফ্রান্স সরকার ৮ শতাংশ গাড়ির উপর দ্বিগুণ লাইসেন্স ফি আদায় করবে। অন্যান্য গাড়ির উপর এ রকম ফি আগের মতো থাকবে।
তেলের অগ্নিমূল্য মোকাবিলার জন্য ফ্রান্স সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা হলো জৈব জ্বালানি ব্যবহার করতে উত্সাহিত করা। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ফ্রান্স সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ২০০৮ সালে জৈব জ্বালানী জ্বালানীর হার মোট চাহিদার ৫.৭৫ শতাংশে দাঁড়াবে, তা পূর্ব পরিকল্পনার দু'বছর আগে হাসিল হবে।
তেলের দাম বাড়ার কারণে ফ্রান্সের ড্রাইভারদের বেশি জ্বালানী তেলের কর দিতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন , ২০০৫ সালে জ্বালানী তেলের কর সংক্রান্ত বাজেটের তুলনায় যে পরিমাণে বেশি করে কর নেওয়া হয়েছে, সেগুলো ড্রাইভারদের ফেরত দেয়া হবে। তিনি বলেছেন, পরিবহণ বিভাগগুলো কর মওকুফের সুযোগ-সুবিধা পাবে। তাছাড়া সরকার কর দিয়ে অসুবিধাজনক শিল্পগুলোকে ও বেকারদের সাহায্য দেবে।
অন্য খবরে প্রকাশ, জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমানোর জন্য ফ্রান্স সরকার এক্স-প্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ১৩০ কিলোমিটার থেকে ১১৫ কিলোমিটারে কমাবে বলে চিন্তা করছে। রিপোর্টে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এ ব্যবস্থা নিতে চান না। তবে তিনি আশা করেন , প্রত্যক ড্রাইভার সচেতনভাবে তাদের গাড়ির গতি কমিয়ে আনবে।
|